জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় : ধর্ষণ মামলার প্রত্যাহারে কতিথ সালিশ বৈঠক


তপন বসু, আগৈলঝাড়া ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা গত ২৩ মে রাতে কতিথ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সাদা কাগজে জোরপূর্বক ধর্ষিতা ও তার বাবার স্বাক্ষর আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে থানা পুলিশ ও মিডিয়া কর্মীদের ম্যানেজ করতে ওই প্রভাবশালী মহলটি ১০ লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।

 
কতিথ সালিশ বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি ও ধর্ষিতা যুবতী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী সিরাজ হাওলাদারের বরাত দিয়ে ধর্ষিতা ও তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্থানীয় ইদ্রিস চৌকিদার। ওই রাতেই সিরাজ হাওলাদারের মাছের ঘেরের একটি ঘরে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসার নামে প্রহসন মূলক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে সিরাজ হাওলাদারের ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন, গ্রাম্য পুলিশ ইদ্রিস আলী, শিক্ষক মোজাম্মেল হক, ধর্ষক শরিফুলের বাবা সেকান্দার আলী গাইন, ধর্ষিতার বাবা ও চাচা রবার্ট বৈদ্য উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ষিতা যুবতী অভিযোগ করে বলেন, কতিথ সালিশ বৈঠকে বসামাত্রই জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে আমার ও বাবার স্বাক্ষর আদায় করে নেয়া হয়। পরে সালিশরা মামলা উত্তোলনের জন্য আমাকে শ্বাসিয়ে দেয়। অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করা হবে বলেও হুমকি দেয়। ধর্ষিতা যুবতী আরো জানায়, প্রভাবশালী সিরাজ হাওলাদারের মাছের ঘেরে তার বাবা দিনমজুরের কাজ করায় সিরাজ তার বাবাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিম আমবৌলা গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুরের কন্যাকে (১৯) বিয়ের প্রলোভন ও বিদেশে নেয়ার কথা বলে সেকেন্দার আলী গাইনের দুবাই ফেরত পুত্র শরিফুল  ইসলাম একাধিকবার ধর্ষন করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধর্ষিতা যুবতী আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করছে।