আগৈলঝাড়া হাসপাতালে অবৈধ নিলাম স্থগিতের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবৈধভাবে নিলামের মাধ্যমে উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালের ১০ লাখ টাকার মালামাল মাত্র  ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ।

এ সংক্রান্ত সংবাদ দেশের প্রথম উপজেলা ভিত্তিক অনলাইন দৈনিক গৌরনদী ডট কম এ প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়েছে সিভিল সার্জনের। নিলাম স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ এটিএম মিজানুর রহমান জানান, অবৈধভাবে নিলাম ডেকে  গত ১৭ মে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত করে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালের অব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্স,এক্স-রে মেশিন, মোটর সাইকেল, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৭৪ প্রকারের কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়। ওই টেন্ডারের আগে নিলাম কমিটি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এটিএম মিজানুর রহমানের কাছ থেকে বিধি মোতাবেক নিলামের অনুমতি প্রাপ্ত হয়বলে তিনি জানান। অনুমতির পর তারা নিয়ম ও সম্পূর্ন এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে এ্যাম্বুলেন্স ও এক্স-রে মেশিন বিক্রির নিলাম আহ্বান করেছে। ওই নিলাম কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. সেলিম আহম্মেদ, সদস্য সচিব আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুবল কৃষ্ণ কুন্ডুর যোগসাজসে অফিস প্রধান সহকারী সাহাদাৎ হোসেন আইন বহির্ভূতভাবে নিলামে মালামাল বিক্রি করেন। যা সস্পূর্ণ বে-আইনী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নিলাম কমিটির সদস্যরা একটি ঔষধ কোম্পানীর স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি জুয়েল শিকদারের মাধ্যমে স্থানীয় শামীম সরদার ও আবু খলিফাকে নিয়ে তিন সদস্যর একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে হাসপাতালের মালামাল নিলামে বিক্রি করেছেন।

এ সংক্রান্ত প্রকাশের পর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এটিএম মিজানুর রহমান ২১ মে অবৈধ নিলাম স্থগিতের নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিলাম আহ্বান করে রাজস্ব ফাকি দিয়ে অধিক টাকার মালামাল মাত্র ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগে ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহামুদ হাসান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের সমন্ময়ে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিশন সরেজমিনে আগৈলঝাড়া হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন বলেও সিভিল সার্জন জানান। তিনি আরও জানান,তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।