শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হরিজন শিশুরা

তাদের অনেকেই আর তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়না। সিপিডির দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র শুকলাল, জয়ন্ত, তপু, বাধঁন এবং নয়ন জানায়, তারা স্কুলে প্রতিদিনই আসে। তাদের পড়তে ভাল লাগে। তবে এদের বাবা মা সবাই সুইপারের কাজ করেন। তারা জানায় গরমের দিনে তারা খুব কষ্টে লেখাপড়া করে। স্কুলের কক্ষটি ভাল নয়। কক্ষের মধ্যে একজন ভাড়াটিয়া থাকে। রাতের বেলায় তাদের ক্লাসরুমেও লোকজন থাকে। মেঝেতে বসে তারা লেখাপড়া করে। নেই কোন বেঞ্চ, টেবিল এবং ব্লাকবোর্ড। এর মধ্যেই চলে তাদের লেখাপড়ার কাজ। এসব সন্তানদের লেখাপড়ার তেমন কোন সুযোগ না থাকায় তারা প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠের পর ঝরে পড়ে। আর লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। জয়ন্তর পিতা সুইপার সুখলাল জানান, তার ইচ্ছা ছেলেকে লেখাপড়া শেখানোর। কিন্তু বেশিদিন লেখাপড়া করাতে পারবে না।
স্কুল টিচার রোজিনা আক্তার জানান, তিনি এই স্কুলের উন্নয়নের জন্য এনআইডিপি কর্তৃপক্ষকে বলেছেন। তারা স্কুলের উন্নয়নের ব্যপারে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কোন ছেলের পিতাই তার সন্তানদের লেখাপড়ার কোন খোঁজ খবর নেয়না। আবার অনেক সময় তাকেই ডেকে ডেকে ছাত্রদের আনতে হয়। নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান এই স্কুলের বিষয়ে বলেন, স্কুলের ব্যাপারে তিনি তেমন কিছু জানেন না বা তাকে জানানো হয়নি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার সহযোগিতা চাইলে তিনি তা করবেন বলে জানান। জলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মালবিকা ভৌমিক জানান, যেহেতু এই বিদ্যালয়টি একটি বেসরকারী সংস্থা পরিচালনা করে থাকে এবং রেজিষ্টার্ড কোন বিদ্যালয় নয় যে কারণে সরকারিভাবে সেখানে তেমন কোন সাহায্য করার কোন সুযোগ নেই। তবে বই দিয়ে সাহায্য করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।