সাভার ট্র্যাডেজিতে পঙ্গুদের হুইল চেয়ার প্রদান

গাইবান্ধা প্রতিনিধির সকল সংবাদ দেখতে বিস্তারিত ক্লিক করু

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল গাইবান্ধা ॥  সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় পঙ্গু হওয়া নারী-পুরুষের মধ্যে বিনামূল্যে ৫০টি হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে গাইবান্ধার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কর্মীর হাত’। বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্মীর হাত ‘আমেরিকার ফ্রি হুইল চেয়ার মিশন’ প্রদত্ত এসব চেয়ার বিতরণ করে।বিতরণকৃত চেয়ারগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়।সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সোবহান জানান, পর্যায়ক্রমে আরও ৫৫০টি হুইল চেয়ার প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিতরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

মিঠাপুকুরে পিতা কর্তৃক কন্যাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

মিঠাপুকুরে কন্যা আর্জিনা বেগম (১৪) কে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের খামার ফতেপুর গ্রামে। এলাকাবাসি গুরুত্বর আহত আর্জিনাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের খামার ফতেহ্পুর গ্রামের বাটুল মিয়া ১ম স্ত্রীর কন্যা আর্জিনার (১৪) কাছে ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। এতে আর্জিনা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বাড়ীর পাশ্বে মসজিদের টয়লেটের কাছে নিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। এক পর্যায় আর্জিনার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ঘাতক পিতা বাটুল পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

গোবিন্দগঞ্জে ডিএসএফ মাতৃভাউচার স্কিমের ওরিয়েন্টেশন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে ডিএসএফ মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম কার্যক্রমের উদ্যোগে ডিএসএফ কমিটির সদস্যদের এক দিনের ওরিয়েন্টেশনের অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়রাম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। ডিএফএফ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে উক্ত ওরিয়েন্টেশনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ফকু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুনা আরজু মনোয়ারা ইডেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসএম আব্দুল জলিল, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুলেখা খানম, ডিএসএফ কো-অর্ডিনেটর নুরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারীদের শোকজ

সাদুল্যাপুরের জয়েনপুর আদর্শ কলেজের ২০ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার ২০১৩/৪৯ নং অফিস আদেশখানা শিক্ষক কর্মচারীদের জানানোর জন্য মাইকে প্রচার করা হয়। এই সকল শিক্ষক কর্মচারী দীর্ঘদিন থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা ছুটি না নিয়ে কলেজে অনুপস্থিত আছেন বলে কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জানান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক/কর্মচারী চাকরির আচরণবিধি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এবং পেশাগত অসদাচরণের দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা সাতদিনের মধ্যে নিজে উপস্থিত হয়ে অথবা লিখিতভাবে অধ্যক্ষকে জানানোর জন্য এই অফিস আদেশে বলা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এই অফিস আদেশ প্রচার করা হয় তারা হলেন মোছা: শাহীনারা বেগম, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: শামসুজ্জামান-প্রভাষক, বিদ্যুৎ কুমার রায়, মো: রেজাউল করিম, প্রভাষক, মো: মোজাফ্ফর হোসেন. মো: আব্দুল মতিন, প্রীতি রাণী রায়, মো: আব্দুল বারী সরকার, মো: শরিফুল ইসলাম, সুনীল চন্দ্র সরকার, মো: মোস্তাফিজার রহমান, মো: হারুন-অর-রশীদ মন্ডল, মোছা: রোকেয়া খাতুন, মো: মজিবর রহমান, মো: ফেরদৌস মিয়া, রানু বেগম, মো: মিজানুর রহমান, মো: শামসুল হক ও সুশীল চন্দ্র সরকার।

 

 

সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দাপট

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক ব্যাপকহারে ঘুষ আদায় করছেন ঠিকাদারদের কাছ থেকে। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকের বাড়ি বগুড়ার গাবতলিতে। প্রকৌশলী আজিজুল হকের শ্বশুর বাড়ি এমপি ফজলে রাব্বী মিয়ার গ্রামের বাড়ি সাঘাটা উপজেলার গটিয়া এলাকায়। তাই তিনি নিজেকে এমপির জামাই হিসেবে দাবি করে ঠিকাদারদের জিম্মি করে রেখেছেন। তার অনিয়ম-দুর্নীতির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন ঠিকাদাররা। তার ঘুষের জোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন ঠিকাদাররা। কোন ঠিকাদার ঘুষ দিতে দেরি করলে সেই ঠিকাদারের বিলও আটকে রাখেন মাসের পর মাস। তার দুর্নীতির কারণে ঠিকাদারদের অবস্থা এখন ত্রাহি মধুসূদন। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকের প্রধান সহযোগী উপসহকারী প্রকৌশলী আজহারুল হান্নান। তিনি একই কর্মস্থলে রয়েছেন ৯ বছর ধরে। উপসহকারী প্রকৌশলী আজহারুল হান্নানের ব্যক্তিগত নিয়ম হচ্ছে- হয় ঘুষ দিতে হবে, নতুবা হয়রানির শিকার হতে হবে ঠিকাদারকে। এর বাইরে আবার রয়েছে বেনসনের প্যাকেট। এ অভিযোগ ভূক্তভোগী ঠিকাদারের। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের অভিযোগে জানা যায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজহারুল হান্নান প্রায় ৯ বছর ধরে সাদুল্যাপুর উপজেলায় কর্মরত আছেন। যিনি উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে সাদুল্যাপুরে যোগদান করেন, তাকেই নিজের আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে নেন আজহারুল হান্নান। দুই জনের পারস্পরিক যোগসাজসে চলে অনিয়ম দুর্নীতি।বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায়, গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে তার সামনেই সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক উচ্চস্বরে কয়েকজন ঠিকাদারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমার চাহিদামত আমাকে টাকা (ঘুষ) দিতে হবে, নতুবা এলজিইডিতে ঠিকাদারী করতে পারবেন না। উপজেলা প্রকৌশলীর এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যে এলজিইডির সর্বস্তরের ঠিকাদারদের মাঝে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে তার এতো ক্ষমতার উৎস কোথায়?

 

ঘোড়াঘাটে তীরবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

বৃহম্পতিবার বেলা বিকালেদিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কানাগাড়ী ভেলাইন গ্রামে বিতর্কিত একটি আম বাগান থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে আজিজার রহমান ও আদিবাসী সনতো হোপনার মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত এবং ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়ে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কানাগাড়ী ভেলাইন গ্রামের আজিজার রহমান ও আদিবাসী সনতো হোপনার মধ্যে রঘুনাতপুর মৌজার ৫০ বিঘা জমির উপর আম বাগান নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সুত্র ধরে গতকাল  অদিবাসী রাবন কানাগাড়ী বাজারে একটি সেলুনে সেফ করার সময় আজিজারের লোকজন আতর্কিত হামলা করে তাকে গুরুত্বর জখম করে। এ সংবাদ আদিবাসীদের মধ্যে পৌছিলে তারা তীর, বল্লম, দা বটি নিয়ে আজিজারের লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই ভেলাইন গ্রামের আজাহার আলীর পুত্র মোরশেদ (২৮) নিহত হয় এবং আজিজার সহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর আজিজারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে কানাগাড়ী মিশনে এবং আমিন বাসকে নামে এক অদিবাসীর বাড়ীতে হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জন কে আটক করে ঘোড়াঘাট থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলো, ডিঘিপাড়া গ্রামের লক্ষিরামের পুত্র নরেশ (২৮), জগেনের পুত্র বিমল (২৫) পাউশের পুত্র কাটিশ (২২), কমলেশের পুত্র রুবেল (২৫), জেঠার পুত্র সাকিল (২৪), জালুর পুত্র সানিয়েল (২০) ও  ঠাকুরের পুত্র রাবন (৩০)।

 

রংপুরে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে তিনজন নিহত

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন বাসযাত্রী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আহসান এন্টারপ্রাইজের একটি নৈশ কোচ ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলো। কোচটি রংপুরের মিঠাপুকুরে পৌঁছালে ধর্মঘটের কারণে মিঠাপুকুরের শ্রমিকরা যেতে বাধা দেয়। পরে কোচটি গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোচটি শাল্টি গোপালপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা কয়েকটি বাঁশকে কাটিয়ে যেতে চাইলে কোচটির ওপরে থাকা তিন যাত্রী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় আরও পাঁচজন আহত হয়।গুরুতর আহত চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।মিঠাপুকুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 

 

রংপুরে সাব রেজিস্ট্রারের নামে পরোয়ানা

রংপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার বজলুর রহমান এবং দলিল লেখক কাজী ওবায়দুলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।অশালীন আচরণ ও দলিলপত্র ছিনিয়ে নিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী খ. ম. রেয়াজুল কাইয়ুম এনাম বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুই আসামিকে গতকাল আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য ২৬ মে সমন জারি করেছিলেন মুখ্য বিচারিক হাকিম। কিন্তু হাজির না হওয়ায় আদালতের বিচারক মনসুর আলম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ২৬ মে মামলাটি করেন ভূপতি চন্দ্র রায়।

 

রংপুরের পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি অপসারণসহ ১৪ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট গতকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে রংপুর বিভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনদুর্ভোগ বেড়েছে হাজার হাজার যাত্রীর। গাড়ি না পেয়ে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছে মানুষ। আন্ত:জেলার মানুষদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে কয়েকগুন। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কয়েকশ ট্রাক ও বাস সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে। ট্রেনের টিকিটও মিলছে না। দুরপাল্লার পরিবহন না থাকায় ক্ষেত খামারের শাক সব্জি নষ্ট হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা লোকসানের আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের সব্জি বিক্রিতারা। এদিকে মাঠ ঘাট থেকে সব্জি ও তরিতরকারী সরবরাহ না হওয়ায় খুচরা বাজারে বেড়েছে মাছ শাক সব্জিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পন্যের দাম। গতকাল বুধবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।রংপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতার বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেনি।এদিকে শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনকে আমাদের দাবিগুলো বলে আসছি। প্রশাসন বাস্তবায়ন নিয়ে টালবাহনা শুরু করে। একই অবস্থা ছিল মঙ্গলবারের সমঝোতার বৈঠকে। তাই আমরা তাদের প্রস্তাব গ্রহন করিনি। আমাদের কর্মসুচী অব্যাহত রয়েছে। দাবি পুরণ করা না হলে ৪৮ ঘণ্টা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হবে।শ্রমকি নেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের ৭ জুন রংপুর বিভাগীয় কমিটি ১০ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট এবং ৮ নভেম্বর অবার ১০ দফা দাবিতে পুনরায় ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়। এর পর সাবেক বিভাগীয় কমিশনার জসীম উদ্দিন আহমেদ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বসেন এবং দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। এতে ফেডারেশন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। কিন্তু আজ পর্যন্তও ওইসব দাবি আলোর মুখ দেখেনি।এছাড়াও রংপুর সদর থানার ওসি শাহাবুদ্দিন খলিফা যোগ দেয়ার পর মেডিকেল মোড় থেকে ৩ জন ড্রাইভারকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে ২ দিন আটক করে অমানসিক নির্যাতন করা হয়। এ খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর সড়ক সম্পাদক মোতালেব হোসেন থানায় নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ওসি রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন এবং ঘাড়ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। এর পর মোতালেব থানার বারান্দায় অবস্থান করলে একজন পুলিশ কনস্টেবল তাকে থানা বাউন্ডারী থেকে বের করে দয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়াও ওসি মাইক্রোবাস শাখার সম্পাদক রাজু আহমেদকে হুমকি দেন এবং লাঞ্চিত করেন। তিনি জেনে শুনে পরিবহন সেক্টরে অশান্তি এবং অরাজগতা সৃষ্টি করছেন। শ্রমিকদের হয়রানী অব্যাহত রাখছে। এ কারণে দ্রুত তাকে অপসারণ করতে হবে।একইভাবে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন্সে উৎকোচ বন্ধ এবং ওই অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ এবং  হারুণ অর রশিদকে অপসারণ করতে হবে, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হবে, মহাসড়কে নছিমন করিমন, ভটভটি বন্ধসহ ১৪ দফা দাবি মেনে নেয়ার দাবি তোলেন শ্রমিক নেতারা। এসব দাবি মানা না হলে হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়ার হুমকি দেন তারা। রংপুর শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয় সভাপতি আকতার হোসেন বাদল বলেন, আমরা অন্যায় কোন আবদার করিনি। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য এ ধর্মঘট। আমরা আশা করবো কালক্ষেপন নয়, দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

 

রংপুরে সরকারি ডাকবাংলো দখল

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রংপুর জেলা পরিষদের ডাকবাংলো অবৈধভাবে দখল করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ওএসডি) আবুল কালাম আজাদ। পাশাপাশি তিনি একটি রুমও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাবলেট দিয়েছেন ওষুধ কোম্পানীর এক প্রতিনিধিকে। এ কারণে রংপুরে সরকারি কাজে আসা অনেক ভিআইপি ব্যক্তি ও  উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ডাকবাংলোর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে তারা উচ্চ মূল্যে নগরীতে আবাসিক হোটেল কিন্বা বাসা বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন। এতে এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার এহেন কর্মকাণ্ডে খোদ প্রশাসনেই নীরব তোলপাড় চলছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলেই কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর আর.কে রোডের ইসলামবাগে অবস্থিত এই ডাকবাংলোটি। চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। ডাকবাংলোটি দেখভালের জন্য জেলা পরিষদ রেখেছে একজন সার্বক্ষনিক কেয়ারটেয়ার। বাংলোর দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলীকে বাংলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে ওই পরিবারটির আর্দালির কাজে। জানা গেছে, ওই যুগ্ম সচিব ডাকবাংলোর পশ্চিম পার্শ্বের একটি রুম একজন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে ভাড়া দিয়েছেন। বাংলোর ভিতরে টিনের কাচা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। ডাক বাংলোটি সরকারি হলেও বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ওই সুরক্ষিত বাড়িটি সরকারি ডাকবাংলো।জানা গেছে, সরকার ওই ডাকবাংলোটির পেছনে একজন কেয়ারটেকারকে প্রতিমাসে বেতন দেয় ৬ হাজার টাকা। সেখানে বিদ্যুৎ বিল আসে প্রতি মাসে পৌনে চার হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। এছাড়াও সরকারি এই বাড়ির পেছনে খরচ হয় আরো ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। সব মিলে বাংলোর পেছনে সরকারের খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। অথচ তিনি মাত্র ৫ হাজার ২শ ৫০ টাকায় ৫টি রুম ব্যবহার করছেন ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। রংপুর জিলা পরিষদ সুত্র জানিয়েছে, সচিব আবুল কালাম আজাদ রংপুরে জোনাল সেটেলম্যান্ট অফিসে  কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি ২০০৯ সালে এই বাংলোটিতে থাকতে শুরু করেন। এরপর তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এতে করে চরম বিপাকে পড়ে জিলা পরিষদ। এক পর্যায়ে তিনি ঢাকায় জনপ্রশাসন বিভাগে পদোন্নতি পেয়ে যোগদান করেন। সেখানে যাওয়ার পরেও ওই বাংলোটি তিনি ছেড়ে দেননি। ৫টি রুমের ভাড়া ৫ হাজার ২শ ৫০ টাকা দেয়ার কারণে রংপুর জিলা পরিষদ অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়েই গেল বছরের ১৮ জুন একটি বৈঠক করে। বৈঠকে ওই বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকার পরিবর্তে একবারে ১৫ হাজার ৭৫০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। একটি সুত্র জানায়, ১৫ হাজার টাকা ভাড়া করার পেছনে মুল কারণ হলো, যেন ওই সচিব বাংলোটি ছেড়ে দেন। তবুও তিনি বাংলোটি ছেড়ে দেননি। সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা পারভীন জেলা প্রশাসন পরিচালিত রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। জিলা পরিষদের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বাংলোর কেয়ারটেকার মোহাম্মসদ আলীকে সরকার নিয়োগ করলেও ওই যুগ্ন সচিব তাকে ব্যবহার করছেন তার আর্দালি হিসেবে। তার এক সন্তানকে স্কুল থেকে আনা নেয়া, তার বাড়ির হাট বাজার করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। সূত্র জানিয়েছে, প্রায় চল্লিশ শতক জমির উপর নির্মিত এই ডাকবাংলোটি সরকারি কর্মকর্তাদের রেষ্ট হাউস হিসেবে ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তিনি বাংলোটি এমনভাবে ব্যবহার করছেন, সরকারি অনেক কর্মকর্তা এবং স্থানীয়রা জানেন ওই বাংলোটি এখন সচিব মহোদয় ক্রয় করে নিজের আয়ত্বে নিয়েছেন। এ কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তার দখলেই রয়েছে। সেখানে তিনি এবং তার পরিবার ছাড়া নতুন কোন কর্মকর্তাকে বাংলোটিতে যাতায়াত করতে দেখা যায়নি। জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন আর বাংলোটিতে রয়েছেন স্ত্রী সন্তানরা। অথচ বাংলো থাকার পরেও তিনি সেটি না ছাড়ায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার দেলোয়ার বকতসহ অনেক কর্মকর্তাই থাকছেন সার্কিট হাউস, হোস্টেল, বাসা-বাড়ি ভাড়া করে।সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচ কক্ষের এই ডাকবাংলোটি বেশ ছিমছাম। চারিদিকে নিরাপত্তা প্রাচীরে ঘেরা। রয়েছে অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। যুগ্ন-সচিব আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় সচিবালয়ে কর্মরত অবস্থায় কি করে সরকারি এই ডাকবাংলোটি বরাদ্দ নিয়েছেন, এই নিয়ে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, কোন সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা বদলী জনিত কারণে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রেক্ষিতে বাসা না পাওয়ায় বিভাগীয় বা জেলা সদর/ উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত জিলা পরিষদের ডাকবাংলোতে সীট বা কক্ষ খালি থাকা সাপেক্ষে এবং পরিষদের অনুমোদন ক্রমে অবস্থান করতে পারবেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় অবস্থান করলেও বাংলোটি না ছাড়ায় সরকারি অন্য কর্মকর্তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। বাংলোয় উঠতে পারছেন না তারা। রংপুর জেলা পরিষদে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা সরকারি ডাকবাংলোয় পরিবার পরিজন নিয়ে এতদিন বসবাস করতে পারেননা। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই কর্মকর্তা সেখানে বসবাস করছেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে। অথচ রংপুরে কর্মরত অনেক সরকারি কর্মকর্তা সরকারি বাড়ির অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মস্থল রংপুরে বসবাস করতে পারছেন না।যুগ্ন সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, আমি ঢাকায় সরকারি কোন বাড়ি বরাদ্দ নেইনি। সে কারণে রংপুরের ওই বাংলোটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকছি এবং নিয়ম মাফিক ভাড়া প্রদান করছি। ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে ভাড়া দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অসহায় ও গরীব হওয়ায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দেলোয়ার বখত জানান, এ বিষয়টি আমি জানতাম না। জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কে ডাকাতি ২ চালক আহত লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কের গুলিয়ার ব্রীজের পূর্ব পাশ্বে  গতরাত পৌনে ১টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত বেড়িকেড দিয়ে ২টি ট্রাক,২টি পিকআপ,১টি সিএজি ও ১টি ভটভটির আরোহীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন,নগদ অর্থসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়েছে। এসময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবু ও মোমিন নামে ২ ট্রাক চালক গুতর আহত হয়েছে। এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শেখ দেলোয়ার হোসেন জানান , ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি।