পলাশবাড়ীতে এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারের আটদিন পরেও….

মোঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  গত ১লা জুন সন্ধ্যায় পলাশবাড়ীর ঢোলভাঙ্গায় ডিবি’র এসআই আনিছ ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শ্যামপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র সামছুল আলম(৫০)কে আটক করেন।

থানা সুত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় পুলিশবাদী  হত্যা মামলা, দ্রুত বিচার মামলা ও একটি বিস্ফোরক মামলাসহ একাধীক মামলা রয়েছে। আটকের পর উপর মহলের চাপে ডিবি পুলিশ সামছুলকে থানায় হস্থান্তর করেন। আসামী পক্ষের সঙ্গে থানা পুলিশের দফায় দফায় বৈঠাকের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ সামছুলকে নিয়ে দীর্ঘ ২২ ঘন্টা পর এজাহার নামীয় মামলায় আটক না দেখিয়ে ১৫৪ ধারায় তাকে কোটে চালান করেন। এই ঘটনায় এলাকার জনমনে পুলিশের দায়ীত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অথচ রহস্যজনক ভাবে ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসাবে পথচারী ও অন্য থানার আটক আসামীদেরকে ওই মামলায় আটক দেখিয়ে মাসের পর মাস জেল খানায় রাখছেন। কিন্ত এজাহার ভুক্ত আসামীকে ১৫৪ ধারায় চালান করেন।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নুতুন পুলিশ সুপারে নিকট জেলাবাসীর দাবী। স্থানীয়দের অভিযোগ এজাহার ভুক্ত আসামীদের সঙ্গে বেশির ভাগ পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন চায়ের টেবিলে আড্ডা দেয়, তাদের না ধরিয়ে বানিজ্যের জন্য সহজ সরল পথচারীকে বা অন্য থানার আটকদের পলাশবাড়ীর হত্যা ও দ্রুত বিচার মামলায় আটক দেখানো হয়। এজাহার ভুক্ত ৫৭ নম্বার আসামী সামছুলের বিরুদ্ধে ৮ দিনেও হত্যা ও দ্রুত বিচার মামলা না লাগায় পুলিশের দায়ীত্ব কর্তব্য নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

এলাকাবাসী আসামী নিয়ে বানিজ্য বন্ধ ও ৫৭ নাম্বার আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার মূলে আটক দেখানের জন্য জোর দাবী জানান।এ ব্যাপারে নতুন পুলিশ সুপার সাজিদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।