গাইবান্ধা প্রতিনিধির সকল সংবাদ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥ বহু প্রতিক্ষিত গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া-মহিমাগঞ্জ সড়কের বাটী রেলব্রিজ সংলগ্ন সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্তের পথে। ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে যানবাহন চালক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে। সেতুর নির্মাণ কাজ সহ দু-পাশের সংযোগ সড়কের কাজও শেষের পথে। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচলের উদ্ভোধন শুরু হবে সেতুর উপর দিয়ে। গাইবান্ধার সাঘাটা- ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন সহ জেলা সদরের সাথে বগুড়া তথা রাজধানীর যোগাযোগ রক্ষা করা বেশ কষ্ঠসাধ্য ও ভোগান্তির ছিল।
এলাকাবাসীকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী হয়ে ৭০ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে বগুড়া যেতে সময় লাগত ৫ঘন্টা। ব্রীজটি নিমার্ণে বগুড়া যেতে সময় লাগবে এখন ২-৩ঘন্টা। ব্রিজের কারনে উন্নত কোন দুর-পাল্লার বাস স্টেশন গড়ে উঠেনি এলাকায়। উপজেলার বোনারপাড়া-মহিমাগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়া আসার জন্য পুরো সড়ক পাকাকরণের কাজ শেষ হলেও মাঝপথে শুধু উক্ত বাটী ব্রিজটির অভাবে যোগাযোগ কষ্টকর ছিল। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে উক্ত স্থানে ৪৫০ মিটার আরসিসি ব্রিজ (সেতু) নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ৮ডিসেম্বর।এডিবি, ডিএফআইডিও, কেএফডাব্লিউ, জিটিজেট এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ৬শ ৫৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ব্রিজটির জন্য। বগুড়ার কাটনার পাড়ার মেসার্স মাসুমা বেগম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বা¯ত্মবায়ন করছে। বোনারপাড়া-মহিমাগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান সেতুর অভাবে সড়কটি অচল হয়েছিল।সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় নির্বিঘেœ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বাড়বে।সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় স্বস্থির নিশ্বাস ফেললেন ওই এলাকার হাজারো বাসিন্দা । উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসী যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে গেল। সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
গাইবান্ধায় কলেজ ভবনে ফাঁটল
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী আর্দশ কলেজের বহুতল ভবনের উপর মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণ করায় ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। টাওয়ারটি অপসারণের জন্য ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা অবহিত করলেও রহস্যজনক কারণে তা কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালে তৎকালীন কলেজ পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের সহযোগীতায় প্রকৌশল বিভাগের কোন প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই মোবাইল কোম্পানীকে টাওয়ার নির্মাণের অনুমতি দেন। মোবাইল কোম্পানীও দুর্যোগ প্রতিরোধক কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ভবনের উপর টাওয়ারটি নির্মাণ করেন। ঝড়ের কারণে ভবনের উপর চাপ পড়ায় ইতিমধ্যে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। বর্তমানে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, টাওয়ার নিমার্ণের সময় স্থানীয় ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনের উপর টাওয়ার নির্মাণের বাধা নিষেধ করলেও তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা কমিটি টাওয়ার নির্মাণের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতি বছর ভাড়া বাবদ ৭২ হাজার টাকা পাওয়া যাবে, তাই কমিটি একটেল কোম্পানীর সাথে ১০ বছরের চুক্তি করেন।
গোবিন্দগঞ্জে আইন শৃংখলার চরম অবনতি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভা ও ১৭টি ইউনিয়নসহ গোটা উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করেছে। ২০১৩সালের জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫ মাসে সন্ত্রাসী, ভাড়াটিয়া কিলার ও পারিবারিক কলহের জের ধরে এসব হত্যা কান্ড ঘটেছে। জানা গেছে,এক অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ১১ জনকে নৃশংশ ভাবে খুন হয়েছে । এবং শিশু র্ধষন সহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে ৩১ টি।জানুয়ারী মাসে খুন ৩ ও নারী ও শিশু নির্যাতন ৩জন। ফেব্রয়ারী-খুন ২ ও নারী নির্যাতন ৪ ,র্মাচ-খুন ১ ও নারী নির্যাতন ১৫,এপ্রিল-খুন ৩ জন,নারী নির্যাতন ৪,মে মাসে খুন ২ ও নারী নির্যাতন ৩ জন। উল্লেখ্য যোগ খুনের ঘটনা গুলির মধ্যে গত ৯ জানুয়ার হামিদ পুর চিত্তিপাড়ায় পিতা তার নিজ পুত্র কে পিটিয়ে হত্যা করেছে , ২৬ জানুয়ারী রাতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাটাখালী ব্রীজের অদুরে দুবৃত্তরা একটি সি এন জি ছিনতাই কালে তারা চালককে জবাই সি এন জি নিয়ে যায়,২৮ জানুয়ারী ফুলপুকুরিয়া বাজারের পার্শ্বে পুকুর পারে রাতে পেশাদার খুনিরা এক অজ্ঞাত যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করে আগুন দিয়ে তার মুখমন্ডল সহ শরিল ঝলসে দিয়েছে। এয়াড়া ৩ টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে। ফেব্রয়ারী মাসে খুন মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দরবস্ত ইউনিয়নের গন্ধববাড়ী ও দরবস্ত গ্রামে ২ জন খুন এবং ৪ টি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। মার্চে সব চেয়ে নারী ও শিশু নিযাতন মামলা হয়েছে মোট ১৫ টি ,খুন হয়েছে ১ জন।এপ্রিলঃ খুন ৩ টি ,নারী নির্যাতন মামলা ৪টি, মেঃ- মাসে খুন ২ টি ও নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে ৩ টি। সর্বত্র আইন শৃংখলার চরম অবনিতি ঘটেছে।এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানা ইনর্চাজ (ও সি) শেখ দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান,পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্তে বেশীভাগ হত্যা কান্ড ঘটেছে এবং আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।২৮ জানুয়ারী ফুলপুকুরিয়া থেকে র্উধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির ৫ মাসেও পরিচয় না পাওয়ায় খুনের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভাব হয়নি তবে মামলাটি সি আই ডিতে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।
গোবিন্দগঞ্জে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ২৩ বছর ধরে চাকুরী
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভূয়া নিয়োগ ও সার্টিফিকেটের মাধ্যমে এবং তৎকালীন অধ্যক্ষের যোগসাজশে ২৩ বছর ধরে কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রভাষকের চাকুরী করে বেতন ভাতা বাবদ সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করছেন গোলাম মোস্তফা নামের এক ভূয়া কলেজ শিক্ষক। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় ধুরন্ধর এই শিক্ষককে সাময়িক ভাবে চাকুরী থেকে বহিস্কার করলেও নেপথ্যের কুশীলবদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকার অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেয়া দিয়েছে।জানা গেছে, বগুড়া’র শিবগঞ্জ উপজেলার পলাশী গ্রামের গোলাম মোস্তফা মাস্টার্স পাশ করার আগেই তিনি ভূয়া মাস্টার্স পাশের সনদ দেখিয়ে কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে ১৯৯০ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন। কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখা দেখা গেছে গোলাম মোস্তফা ১৯৯১ সালে মাস্টার্স পাশ করেন। এক্ষেত্রে তিনি ভূয়া সনদের মাধ্যমে নিজেকে মাস্টার্স পাশ দেখিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। অন্য দিকে চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে চরম দুর্নীতি তিনি এই কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলেও তার নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কোন রেজুলেশন ও পত্রিকায় কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট সীটও নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক অডিটেও গোলাম মোস্তফা নামের কোন প্রভাষকের নাম নেই। অথচ ভূয়া এই শিক্ষক প্রতি বছর বেতন ভাতা বাবদ এ যাবত সরকারী কোষাগার থেকে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করছেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গত ৩১ মে ২০১৩ তারিখে উক্ত কলেজের গভর্নিং বডির এক সভায় ভূয়া প্রভাষক গোলাম মোস্তফাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যপারে কামদিয়া নূরুল হক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর সাথে তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ১৯৯২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি আমার সময়ের সব কাগজ পত্র থাকলেও এর পূর্বের কোন কাগজপত্র আমি বুঝে পাইনি। তাই তার নিয়োগের কাগজ পত্রের ব্যাপারে তৎকালীন অধ্যক্ষ বলতে পারবেন। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, রেজুলেশন রিজাল্টসীট রাখার দায়িত্ব কলেজের আমার নয়। তার পরেও আমার কাছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’র কাগজ রয়েছে। তিনি বলেন একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবে এটি করা হচ্ছে।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম
রংপুরের বদরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের তিন কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিল আদায়ে দিন-রাত ১০টি টিম মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও চলছে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের আশা-৩০জুনের মধ্যে শতভাগ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা সম্ভব হবে।স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট ১৫হাজার ৭৪জন গ্রাহকের কাছে ৩কোটি ৯লাখ ৩৫হাজার টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। এর মধ্যে ১১হাজার আবাসিক গ্রাহকের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৪২লাখ ৬৭হাজার টাকা, ১হাজার ২৮৫জন বাণিজ্যিক গ্রাহকের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ২৬লাখ ৩০হাজার টাকা, ২হাজার ২০০সেচ গ্রাহকের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ১কোটি ৫০লাখ টাকা, ৩২৭টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৩লাখ ৫হাজার টাকা, ২৬২টি সাধারণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৮৬লাখ ৭৯হাজার টাকা এবং রাস্তার বাতি বাবদ পৌরসভার কাছে বকেয়া রয়েছে ৫৪হাজার টাকা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রংপুর-২ এর বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন এবিনিউজকে বলেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে এরই মধ্যে পৌরসভার মেয়রসহ উপজেলার ১০ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে যাতে গ্রাহকদের বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় এজন্য পৌরশহরসহ উপজেলার ১০ইউনিয়নে ১৫জন এজেন্টের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে এসএমএস’র মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে মাঠ পর্যায়ে ১০টি টিম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে চালানো হচ্ছে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। এতোসবের পরেও যেসব গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে গড়িমশি করছে সেসব গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে ইতোমধ্যে ২৫ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতকিছুর পর গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে থাকতে পারবেননা। তাই আশা করা যায়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের শতভাগ আদায় করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বজ্রপাত ও সর্প দংশনে দু’জনের মৃত্যু
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বজ্রপাত ও সাপের কামড়ে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বজ্রপাতে আদিবাসী আন্দ্রিয়াস টুডু (৪০) নামের এক ভ্যান-চালকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লী বুজরুকপাড়া গ্রামের বুদু টুডুর পুত্র আন্দ্রিয়াস টুডু বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।অপরদিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের সিংজানি গ্রামের শুকুর আলীর শিশু পুত্র কেনাল মিয়া (৬) বাড়ির উঠোনে বসে ফল খাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী ঝোপের আড়াল থেকে একটি বিষধর সাপ এসে তাকে দংশন করে পালিয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
অগ্নিকান্ডে মেসের ছয়টি কক্ষ পুড়ে ছাই
রংপুরের বদরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ছাত্রাবাসের ৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ সোমবার বেলা পৌণে ২টায় বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন ‘শিহাব ছাত্রাবাস’ নামে ওই মেসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।বদরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের এসও(স্টেশন অফিসার) গোলাম মোস্তফা এবিনিউজকে জানান, প্রায় এক ঘন্টা ২০মিনিট চেষ্টা চালিয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকান্ডের ফলে ৬টি কক্ষের প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় ৪লাখ টাকা মূল্যের মালামাল রক্ষা পেয়েছে। তিনি জানান, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মেস মালিক অধ্যাপক আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, প্রায় ৩/৪মাস ধরে ওই মেসে কোন ছাত্র নেই।
পুলিশ ১৬ ঘন্টা পর ছেড়েন দিলেন আসামিকে
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানার এসআই তাজুল ইসলাম কতৃকধৃত গরু চুরির আসামী নাছির মিয়া (৩৫) কে আটক করে থানায় নিয়ের আসার ১৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিলেন থানা পুলিশ। নাছির দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চি দামোদরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।জানাগেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রতিদিন কোথাও না চুরি ঘটনা ঘটছে। ফলে দিন দিন এলাকায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবন্নতি ঘটছে। এ কারনে পেশাদার জুয়ারু ও অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত লোকজনের দাপটে এলাকার সাধারন জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এলাকায় প্রতিনিয়ত জুয়া খেলা লাগামহীন ভাবেই চলছে। আর এই সব জুয়ার টাকা জোগান দিতে চুরি ও ডাকাতির মত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে এই জুয়ারুরা। বর্তমান ওসি মজনুর রহমান থানায় যোগদান করার পর থেকেই জুয়ারুরা পাল্লা দিয়ে জুয়া খেলার আসর বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ দিকে ৯ জুন রবিবার রাত ৯টার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজনুর রহমানের নির্দেশে এসআই তাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় কান্তানগর বাজার থেকে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নাছির মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় নিয়ে আসার ১৬ ঘন্টা পর থানা পুলিশ ছেড়ে দিলেন নাছির মিয়াকে।এলাকার জনৈক এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতিকালে ওই আটককৃত নাছির মিয়ার নামে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের গরু চুরির মামলায় সে এজাহার ভুক্ত আসামী। এ ছাড়াও ওই নাছির একজন পেশাদার জুয়ারু বলে এলাকায় তার বেশ খ্যাত নামা রয়েছে। গত কয়েক দিনে শুধু দামোদরপুর ইউনিয়নেই ১৫/২০টি গরু চুরি হয়েছে। নাছিরকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করার খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে ছিল কিন্তু আজ দুপুর ১২ টার পর পুলিশ বিনিময়ের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেওয়া পুলিশের প্রতি সাধারন জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে থানার এসআই তাজুল ইসলাম জানান, আমি ওসি সাহেবের নির্দেশেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আর কিছু জানি না।থানার অফিসার ইনচার্জ মজনুর রহমান আসামী ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তার নামে গরু চুরির মামলা আছে তবে সে জামিনে আছেন। তাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন তার বিরুদ্ধে কোন সু নিদিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে সমন্বয় সভা
পীরগঞ্জে এডিপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উদ্দ্যোগে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সভা আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় শিক্ষক, সাংবাদিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। সভায় মুল আলোচক ছিলেন পীরগঞ্জ লাইভলিহুড্স সিকুরিটি প্রাজেক্টের ম্যানেজার সাগর ডি কষ্টা।অন্যানের মধ্যে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, এডিপি ওয়াল্ড ভিশন এর ফাইন্যান্স অফিসার মিন্টু বাড়েই, ম্যানেজার বনি হালদার, লাইভলিহুড্স সিকুরিটি প্রাজেক্টের ম্যানেজার ফারুক হোসেন, বিজ চতরা শাখা ম্যানেজার আশরাফুল আলম, সমকাল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার এমআইএস অফিসার তাজউল ইসলাম, দেবী চৌধুরাণী পল্লী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি কোনাম মহন্ত। সভায় সংস্থা গুলোর নিজ নিজ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি করনীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
পুষ্টি সমাবেশ
রংপুরের পীরগঞ্জে ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ’ এডিপির উদ্যোগে শিশু মৃত্যুহাররোধে ‘শিশু পুষ্টি এখনিই’ র্শীষক পুষ্টি সমাবেশ উপজেলা অডিটরিয়ামে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্প ম্যানেজার বাদল সাংমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভূমি র্কমর্কতা রাশেদুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার মোস্তফা কবির আহমেদ, বিপ্লব কুমার সাহা, প্রবিশ হাসদা, নমিতা সরকার ও তানজিরা খাতুন। অনুষ্ঠান শেষে ৬০০ অংশগ্রহণকারী অপুষ্ট শিশুর বাবা-মা’র মাঝে বালতি ও মগ বিতরণ করা হয়।
৫ কোটি টাকার জমি বেদখল
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী মৌজায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৫ কোটি টাকার জমি বেদখল হয়েছে। এর সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের পাশ দিয়ে ঘোড়াঘাট- দিনাজপুর সড়কের অবস্থান। এ সড়কের কশিগাড়ী মৌজাটি ঘোড়াঘাট- দিনাজপুর সড়ক সংলগ্ন। এই মৌজায় জমির পরিমাণ ৬৬ শতক। এর মধ্যে এরশাদ সরকারের আমলে ৩৮ শতক জমি সড়ক ও জনপদ বিভাগ অধিগ্রহণ করে নেয়। বাকী ২৮ শতক জমির ওয়ারিশ থাকে ৩ ভাই ও ২ বোন। এসব ওয়ারিশরা তাদের নিজ নিজ অংশ বিক্রি করে। এর মধ্যে সেই ঘোড়াঘাটের অলৌকিক কন্যা রেশমার মা জোবেদা বেগমও ৬ শতক জমি ক্রয় করে বসবাস করছে। বাকী ২২ শতক জমি রেশমার মায়ের বসতবাড়ীর দুই ধারে অবস্থিত। এসব সড়ক ও জনপথের জমিগুলো বর্তমান ক্রেতারা দখল করে পাকা বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছে।এ বিষয়ে এলাকাবাসী দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর ও ফুলবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আর কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বাড়ি-ঘর নির্মাণে উৎসাহিত করে। এ ছাড়াও কশিগাড়ী মৌজায় রানীগঞ্জ হাট সংলগ্ন খাদ্য গুদামের পশ্চিমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৭৫ শতক জমির উপর জনৈক ব্যক্তি মাছের আড়ৎ নির্মাণ করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর সড়ক সংলগ্ন জমিগুলির অবস্থান হওয়ায় সড়ক ও জনপদের এসব জমি অতি মূল্যবান।