বর ছাড়া বরযাত্রী

সামাজিক সংগঠন উন্নয়ন প্রচেষ্ঠার নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাজাহান কবীর জানান, উপজেলার শংকরপাশা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তার (১১)। তার (সোনিয়ার) পিতা শংকরপাশা গ্রামের মালেক গোমস্তা দীর্ঘদিন থেকে দুবাইতে রয়েছেন। এ সুযোগে সোনিয়ার মা আলমতাজ বেগম তার পঞ্চম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যার বিয়ে ঠিক করেন পার্শ্ববর্তী পিঙ্গলকাঠী গ্রামের বেলায়েত সরদারের পুত্র প্রবাসী মান্নান সরদারের (২৮) সাথে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে তিনিসহ নারী ও সামাজিক উদ্যোক্তারা গত বৃহস্পতিবার ভোরে কনে সোনিয়াদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য উভয় পরিবারের অভিভাকদের অনুরোধ করেন। এসময় সোনিয়ার মা আলমতাজ বেগম তাদের ওপর চড়াও হয়। বিষয়টি তিনি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এস.আই মিজানুল হক বলেন, প্রাথমিক ভাবে সামাজিক সংগঠন উন্নয়ন প্রচেষ্ঠার নেতৃবৃন্দকে বাল্যবিবাহ বন্ধের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তাদের কথা অমান্য করায় গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বরের ভাই সুলতান সরদার, দাদন সরদার ও কনের মাতা আলমতাজ বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেছি।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তারের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দিতে পারবেন না। থানা পুলিশের কাছে দেয়া এ মুচলেকা অমান্য করা হলে ওই দুই (বর ও কনের) পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।    

এ ব্যাপারে কনে সোনিয়া আক্তারের মা আলমতাজ বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রসংঙ্গে কোন কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।