সাদুল্যাপুরে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি সকল সংবাদ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  সাদুল্যাপুর উপজেলার পল¬ীতে বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেল নাসরিন খাতুন (১১) নামের এক ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। থানা পুলিশ বর মানিক মিয়া (১৩) কে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে।জানাগেছে, উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ৫ম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে নাসরিন খাতুন (১১) এর সাথে একই গ্রামের সাজু আকন্দের ছেলে স্থানীয় অনাথ একাডেমি স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র মানিক আকন্দ (১৪) বিয়ের হওয়ার গোপন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মওলার নেতৃত্বে ও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম রব্বানী সঙ্গীয় নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বর মানিক মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মানিক মিয়া থানায় আটক ছিল।

 

সহপাঠীরা রুখে দিল সাহেদার বাল্য বিয়ে

৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাহেদা। বিয়ের পিঁড়ি কি ? তা বোঝার বয়স না হলেও গায়ে হলুদ মাখানো হচ্ছিল অবুঝ ওই শিশুটির। রাতে বর এসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বধূ বেশে নিয়ে যাবে তাকে। বৃহস্পতিবার সাহেদার বিয়ের খবর স্কুলে পৌঁছলে ছুটে আসে সহপাঠীরা। সবাই মিলে দাবি তুলে বিয়ে বন্ধ করার। শেষ পর্যন্ত সহপাঠীদের দাবি মুখে থানা পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয় ওই বাল্য বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্ণা গ্রামে। পুলিশ ও এলাকাবাসীরা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব সিন্দূর্ণা গ্রামের আব্দুস সোবাহানের মেয়ে ও হাতীবান্ধা ১ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাহেদা আক্তার। তার বিয়ে ঠিক হয় পার্শবর্তী সিঙ্গীমারী গ্রামের দবিয়ার রহমানের পুত্র আজিজুলের সাথে।বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ের নির্ধারিত দিন। সকালে থেকে চলছিল বিয়ের আয়োজন। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তাপস সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরন্নবী ও স্থানীয় নারী সংগঠন আঁচলের নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়েটি ভেঙ্গে দেয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরন্নবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনেকটা চুপি সারে ওই বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস সরকার জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

পীরগঞ্জে ৬ ডাকাত গ্রেফতার

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ বুধবার রাতে ওই ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এরা হচ্ছে-পীরগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র জামাল হোসেন(৪০), লালদীঘি মেলার পশ্চিম শেরপুর গ্রামের হাসান আলীর পুত্র রুবেল(২৮), গৌরিশ্বেরপুর গ্রামের খলিল মিয়ার পুত্র আব্দুল খালেক(৪২), রংপুর কোতয়ালী থানার নুরপুর মহাদেবপুর গ্রামের কবির উদ্দিনের পুত্র সাজু মিয়া(৫৫), খলিফাটারি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র রুহুল আমীন(৪৮) ও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ছাইগাড়ি ইসলামপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের পুত্র তারা মিয়া(৪০)। পুলিশ জানায়, গোপন সুত্রে সংবাদ পেয়ে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ বুধবার গভীররাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ উপজেলা সীমানায় তুলারাম মজিদপুর নামক স্থানে নৈশ কোচে দুর্র্ধষ ডাকাতি হয়। সংঘবদ্ধ ডাকাতরা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে আগত ২ টি নৈশ কোচ ও বিপরীত দিক থেকে আগত ৩ টি ট্রাকের যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল সহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত ডাকাতি চলে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায় এবং একই স্থানে ওই ঘটনার পূর্ব রাতে একই কৌশলে ডাকাতির চেষ্টা করলে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোঁড়ে। ফলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।    

 

এক কলেজে দু’অধ্যক্ষ

সাদুল্যাপুর উপজেলার মাদারগঞ্জ কলেজে এখন দু জন অধ্যক্ষ দায়ীত্ব পালন করছেন। ১৩ জুন মাদারগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হোসেন অবসর গ্রহণের উদ্দেশ্যে কলেজ থেকে বিদায় নেয়ার পূর্ব মুহুর্তে কলেজ পরিচালনা কমিটির ৬ জন সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে জুনিয়র প্রভাষক রায়হান কবীরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব অর্পন করেন। এদিকে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপ-সচিব মোকলেছুর রহমান ৪ জন সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক সিনিয়র অধ্যাপক দবির উদ্দিন কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব অর্পন করেন। বৃহস্পতিবার যথারীতি রায়হান কবীর দায়ীত্ব পালনের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষের চেয়ারে গিয়ে বসেন। তার হাজিরা খাতায় মাত্র ৩ জন শিক্ষক কর্মচারী স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি দবির উদ্দিনের হাজিরা খাতায় মোট ২৪ জন শিক্ষক কর্মচারী স্বাক্ষর করেছেন। তিনি অধ্যক্ষের দায়ীত্ব পালনে পাশর একটি কক্ষে দিয়ে বসেন। সকাল থেকে এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দু পক্ষের হাজারো উৎসুক জনতা কলেজের আশপাশে গিয়ে অবস্থান নেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারকে দুদকে তলব

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার শাজাহান আলী মন্ডলকে রংপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জের অর্থ কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাকে তলব করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর দুদকের উপপরিচালক আব্দুল করিম।রংপুর দুদকের উপপরিচালক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অব্যহতি পাওয়া ভিসি আব্দুল জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। ওই সময় রেজিস্টার ছিলেন শাজাহান আলী মন্ডল। সে কারণেই আমরা রেজিস্টার মহোদয়কে ডেকেছি। তিনি বৃহস্পতিবার কার্যালয়ে এসেছেন। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

 

সুন্দরগঞ্জে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জয়নাল আবেদীন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের এক শিশু (৫) কে  প্রতিবেশী মৃত-কফিল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল কৌশলে নিজ ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।পরে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুর মা রূপসী বেগম বাদী হয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন।মামলার পরদিন পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

সুন্দরগঞ্জে তিন ইউপি সদস্য বরখাস্ত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, সোনারায় ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের তিন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই তিন ইউনিয়ন পরিষদ হতে এ তথ্য জানা গেছে। বরখাস্তকৃত তিনি সদস্য হলেন, বেলকা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জহুরুল হক, সর্বানন্দ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড  সদস্য জহুরুল ইসলাম এবং সোনারায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য তোফাজ্জল হক। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবিরের কর্তৃক তাণ্ডব ও সহিংসতার মামলার আসামি হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান হাবিব বলেন, ‘‘আমার দপ্তরে এখনো এ সংক্রান্ত কোনো প্রকার চিঠিপত্র আসেনি।’’সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী খান জানান, ওই তিন ইউপি সদস্য ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি।