বিজয়ে কাঁদলেন কামাল ও মুজিবর রহমান সরওয়ার এমপি

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার  ঘোষণা শোনা মাত্রই ভোট কেন্দ্র প্রাঙ্গণে কাঁদলেন ১৮ দলের প্রার্থী মো. আহসান হাবিব কামাল (প্রতীক আনারস) এবং তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবর রহমান সরওয়ার এমপি। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে ৮৩ হাজার ৭৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কামাল এ তথ্য জানার পরেই কামাল এবং সরওয়ার দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কয়েক মিনিট কাঁদতে থাকেন।

এদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. শওকত হোসেন হিরন (টেলিভিশন প্রতীক) ৬৬ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়েছেন। দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান হলো ১৭ হাজার ১০টি ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল হক খান মামুন (প্রতীক দোয়াত-কলম) পেয়েছেন এক হাজার ৮০৭ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত মেয়র প্রার্থী মো. শওকত হোসেন হিরন বলেন “রায় যাই হোক ফলাফল মেনে নেবো।”

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবশ্যই সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।” বরিশালের উন্নয়নে নির্বাচিত মেয়র কামালের সঙ্গে একসাথে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন পরাজিত এই মেয়র প্রার্থী। প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বসিক) ওয়ার্ডের সংখ্যা সংরক্ষিত ১০ এবং সাধারণ ৩০টি। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ১১ হাজার দুইশ ৫৭ জন।  এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ৬৩২ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৪৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন।

শনিবার (১৫ জুন-২০১৩) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ গ্রহণ করা হয়। এদিন নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত ২৯ এপ্রিল বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময়সীমা ছিল ১২ মে। এরপর ১৫ ও ১৬ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৬ মে। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট সর্বশেষ এ চার সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।