গাইবান্ধায় জামায়াত নেতা গ্রেফতার

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় সোমবার বেলা ১টায় জামায়াতের রোকন মধু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে আগুন ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, লুটপাটসহ চার পুলিশ সদস্য নিহতের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত মধু মিয়া সুন্দরগঞ্জ দক্ষিণ শাহবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি

 

নিম্নমানের ও ভেজাল ঔষুধে সয়লাভ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হাট বাজার গুলোতে বর্তমানে ঔষুধ এর দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালিত না হওয়ায় নিম্ন মানের ও ভেজাল ঔষুধ এর ব্যবসা এখন জমজমাট। সূত্রে প্রকাশ, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পৌর বাজার, মাঠের বাজার, জুনদাহ বাজার, ঠুটিয়ে পাকুর বাজার, কালিবাড়ী বাজার, ঢোলভাঙ্গা বাজার, রমরিরহাঠ বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের ঔষুধ ব্যবসায়ীরা গত ক, মাস ধরে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট এর সন্মূখীন না হওয়ায় অসাধু ঔষুধ ব্যবসায়ীরা সরকার কতৃক বিক্রি নিষেধ ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষুধ এলাকার নিরিহ জনগনের কাছে চড়া দামে দাপটের সাথে বিক্রি করে যাচ্ছেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাধারনত কোন কিছু হলেই হাতের কাছে গজিয়ে উঠা ডাক্তারদের সরনাপর্ন  হন।সেই সময় সেসব অসাধু ডাক্তাররা কিছু ভালো উপদেশ দিয়েই সু-কৌশলে টাকার খবর জেনে পকেটে নিয়ে আসা টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন মানের অথবা ভেজাল ভিটামিনসহ ঔষুধ পত্র হতে ধরে দিয়ে থাকেন। রোগ অনুযায়ী সেসব ঔষধপএ কিনে খেয়ে বা উপদেশ শুনে যদি কিছুটা আরাম হয় তাহলে  তাহলে তো বাচঁলেন।সাধারনত সেসব ডাক্তারের ঔষুধ খেয়ে কারো কারো রোগ ভালো হওয়াতো দূরের কথা আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।তখন এমতেই রোগী অন্য ক্লিনিক বা চেম্বারে পাঠালে ডায়গনিষ্টিক টেষ্টের কমিশন,বড় ডাক্তারের ফিস এর কমিশনসহ প্রয়োজন অথবা অপ্রয়োজনে  অপারশনেরও কমিশন সেসব ডাক্তার পেয়ে থাকেন।এসব সুচিকিৎসার নামে অর্থিক তির চিকিৎসায় সমায়ের রোগী অসময়ে ভালো হলেও যেসব রোগীদের অর্থিক অবস্থা ভালো তারা আচ করতে না পারলেও যাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তারা ধার দেনা করে চিকিৎসা করে ঠিকই আচ করতে পারেন। কিন্তু তারাও নিরু উপায়।বিশিষ্ট জনেরা বলেছেন,  ব্যঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা এসব ঔষুধ এর দোকানের অনেকের ড্রাগ লাইসেন্স নাই ,কারো আবার লাইসেন্স আছে নবায়ন করা নাই,কারো আবার ভালো টেনিং নাই,অনেকেই আবার টেনিং ছাড়াই টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে ধুম ধারাক্কা ঔষুধ ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বুনে যাচ্ছেন।ও বাজারে নিম্ন মানের ও ভেজাল ঔষুধ এ বাজার সয়লাভ হয়ে যাচ্ছে। জবাব দিহিতা না থাকায় অসাধু ডাক্তারের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এছাড়াও অবৈধ্য ড্রাগ বিক্রিসহ ট্যাবলেটের গায়ে মূল্য না লেখা থাকায় অতিরিক্ত মূল্য আদায় এর অভিযোগও আছে কারো কারো বিরুদ্ধে।জনৈক্য ব্যাবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সরকারী নীতীমালা অনুসরন করে সরকারকে ট্রাক্স দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে ঔষধের ব্যাবসা করে আসছি অথচ অসংখ্য ঔষুধ ব্যাবসায়ী বীনা লাইসেন্স এ ব্যাবসা চালিয়ে প্রকৃত ব্যাবসায়ীদের সুনাম নষ্ট করছে এ ব্যাপারে কতৃপ উদাসীন।ভূক্তভোগীরা নিম্ন মানের ও ভেজাল ঔষুধ বিক্রি বন্ধে ও হাতুড়ে অসাধু ডাক্তারের দৌঁড়ত্ব রোধে প্রশাসনের দ্রুত আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

বিএনপির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপি ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের যৌথ সভা গতকাল রোববার স্থানীয় ‘মা কমিউনিটি সেন্টারে’ অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান মন্ডল। থানা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মন্ডলের সঞ্চালনায় এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সানোয়ার হোসেন দিপু, থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির আহম্মেদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ মন্ডল, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মমিরুল হাসান সিজু, থানা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মুনছুর আলী মন্ডল, হাসানুর রহমান ডিউক, রেজাউল করিম, সাজাদুর রহমান সাজু, আজাহারুল ইসলাম বাদশা, থানা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, থানা জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব প্রভাষক মতিয়ার রহমান, থানা স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা আবু হান্নান, আহসানুল হক রিপন, ছাত্রদল নেতা মোকাদ্দেম হোসেন সজল, কাজী রিপন, আব্দুল মজিদ প্রধান, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, মহিলা দল নেত্রী ফেরদৌসি বেগম ঝরনা ও বাবলী আক্তার প্রমুখ। যৌথ সভায় উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিএনপি ও সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।