উনি আসছেন…

আর দায়বদ্বতা অবমুক্তির তাগাদা হতে হোক, প্রধানমন্ত্রী সোহেল তাজকে মন্ত্রী সভায় ঠাঁই দিয়েছিলেন একজন নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে, যা নিয়ে অতিরিক্ত বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। কিন্তূ সোহেল তাজকে নিয়ে বিতর্ক অন্য জায়গায়। তিনি প্রবাসী এবং বিদেশী স্ত্রী সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন অনেকদিন ধরে। সাংবিধানিক সীমাবদ্বতা দূর করতে উনি কি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা না নাগরিক এটাও জাতির সামনে পরিস্কার করা হয়নি।

কাকে মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই দেবেন ব্যাপারটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। একটা বাস্তবতা হয়ত আমাদের নেতা-নেত্রীরা ভুলে যান, মন্ত্রী পরিষদ দায়বদ্বতা অবমুক্তির প্লাটফর্ম নয়, এ হচ্ছে সরকারের আর্থ-সামাজিক কার্য্যক্রম বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার। সোহেল তাজের মন্ত্রিত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত এবং পরিবারিক মান অভিমানের যে সার্কাস জাতিকে উপহার দেয়া হয়েছে তা আবারও প্রমান করে আমাদের রাজনীতি কতটা নেত্রী ও পরিবার মূখী।