পুলিশে টেম্পো আটক করার প্রতিবাদে

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গৌরনদী উপজেলায় ২ শতাধিক নসিমন, দেড় শতাধিক অটো রিকশা ও টেম্পো, প্রায় অর্ধশত ট্রলারটেম্পো কয়েক বছর ধরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবৈধ ভাবে চলাচল করে আসছিল। উপজেলার মহাসড়কে সোমবার বিকেলে গৌরনদী ও বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডে গৌরনদী থানা ও গৌরনদী থানা ও হাইওয়ে থানা পুলিশ যৌথ ভাবে চেক পোস্ট বসিয়ে ৮ টি নসিমন, ৫ টি টেম্পো ও ১ টি ট্রলারটেম্পো আটক করে। গৌরনদী অটো রিকশা ও টেম্পো মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফারুক হাওলাদার জানান, পুলিশ তাদের সমিতির পাঁচটি টেম্পো আটক করার প্রতিবাদে দেড় শতাধিক অটো রিকশা ও টেম্পো চালানো বন্ধ রেখে মঙ্গলবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টি কালের জন্য অটো রিকশা ও টেম্পো ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে। আটককৃত ওই পাঁচটি টেম্পো না ছাড়া পর্যন্ত তাদের টেম্পো ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বার্র্থী নসিমন মালিক ও শ্রমিক সমিতির সদস্যরা আটককৃত নসিমন ছাড়িয়ে নিতে গৌরনদী হাইওয়ে থানায় আসে। এ সময়, মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য টেম্পো শ্রমিকরা নসিমন শ্রমিকদের দায়ী করার কারনে উভয় গ্র“পের মধ্যে বাগ বিতন্ডা হয়। তখন টেম্পো ও নসিমন শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ টি অবৈধ নসিমন ও টেম্পো আটকের কথা স্বীকার করে গৌরনদী থানার ওসি নরুল ইসলাম জানায়, সারাদেশের বাস মালিক সমিতি মহাসড়কে অবৈধ ভাবে চলা চলকারী নসিমন, টেম্পো ও ট্রলারটেম্পো বন্ধের দাবি করে আসছিল। তাই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ নসিমন, টেম্পো ও ট্রলারটেম্পো আটক করেছে।