রেশমা ঘোড়াঘাটের বাড়িতে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  সাভার ট্রাজেডির বহুল আলোচিত, সমালোচিত দেশ বিদেশের মিডিয়া কাপানো সেই রেশমা এখন ঘোড়াঘাটের কশীগাড়ীর জীর্ন কুটিরে। বৃহস্পতিবার একটি পাজেরো জিপে করে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে রাত প্রায় দেড়টায় তার বাড়ীতে পৌছায়। সঙ্গে তার হোটেল ওয়েষ্টিন এর এক কর্মকর্তা সহ দুই জন সফর সঙ্গী। সকালে খবর পেয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা বেগম সিদ্দিকা ও থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন এক ভ্যান পুলিশ নিয়ে রেশমার বাড়ীতে ছুটে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফ জানিয়ে দিলেন কোন মিডিয়া রেশমার সাক্ষাৎকার নিতে পারবে না। এমনকি মিডিয়ার লোক তার সাথে( রেশমা) একটি কথাও বলতে পারবেনা। শুধু মাত্র লাইফ ছবি নিতে পারবে। তিনি পরিবারের ভাই,বোন,মাসহ অন্যান্যদের সতর্ক করে দিলেন কোন সাংবাদিককে যেন রেশমার সাথে কথা বলতে দেওয়া না হয়।এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি রেশমার শারীরীক অসুস্থ্যতার করা উল্লেখ করেন এবং আরো যোগ করেন যে, যেহেতু ব্যপারটি প্রধানমন্ত্রি পর্যন্তগড়িয়েছে।অথচ রেশমাকে দেখে একেবারে সুস্থ্য বলে মনে হয়েছে। রেশমার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেছে। যে কারনে হোটেল ওয়েষ্টিনের কর্মকর্তাদেরকে শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই রেশমাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বার বার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। অথচ বিধিবাম রেশমা আরো ৫/৬দিন তার জন্মস্থানে থাকতে চায়। তাকে জোর করে ঢাকায় পাঠাতে চাইলে এক সময় সে কেঁদে ফেলে।রেশমার বাড়ী ফেরার খবর প্রকাশ হয়ে পড়লে দলে দলে লোকজন তার বাড়ীর দিকে ছুটতে থাকে তাকে এক নজর দেখার জন্য। সাভার ট্রাজেডির সেই রেশমাকে নিয়ে লুকোচুরী চলছেই। অসুস্থ্যতার কথা বলে মিডিয়া থেকে কেন তাকে দুরে রাখা হচ্ছে। তার ১৭দিনের নির্মম!অভিজ্ঞতার কথা জনগন শুনতেই পারে।

 

চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধণ

সাঘাটায় চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। সাঘাটা বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে গতকাল শুক্রবার এ উপলক্ষে মোনাজাত ও গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রটির পরিচালক ডাঃ আব্দুর রউফ, সাঘাটা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ছাইদুর রহমান, সাংবাদিক আবু সাঈদ মন্ডল, সাংবাদিক আবু তাহের,  জাকিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

সড়ক পাকা করণ কাজ মাঝ পথে বন্ধ

সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কে উল্টে খাদে পড়ে গেছে। এ সময় সৌভাগ্যক্রমে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার বেঁচে গেছেন। গতকাল দিনভর চেষ্টা করেও ট্রাকটি রাস্তায় তোলা সম্ভব হয় নি। বৃহস্পতিবার সাঘাটা বাজার থেকে গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাকটি ঝাড়াবর্ষা গ্রামের শেষে ব্রিজের সন্নিকোটে পৌছিলে একটি ভ্যান গাড়ীকে সাইট দিতে গিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। সড়কটি অতি অপ্রসস্ত হওয়ায় কয়েকদিন পর পরই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানালেন পরিবহন ড্রাইভার ও এলাকার ব্যবসায়ীরা। একটি বোঝাই গাড়ীকে সাইট দিতে গিয়ে অন্যটি পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। সড়কটির সাঘাটা বাজার পার হয়ে তিন মাথা থেকে কচুয়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে মাটি না থাকায় খাড়া হওয়ায় সড়কের পাশে যে কোন যানবাহন গেলেই উল্টে নিচে পড়ে যায় বলে জানালেন এলাকাবাসী। এ ধরনের দুর্ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটছে বলে জানালেন তারা। এদিকে বোনারপাড়া-নাকাইহাট সড়কটির পাকা করণের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে পরে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিগত দু বছর পূর্বে সড়কটির সাঘাটা উপজেলা অংশের দুর্গাপুর শেষ সীমানা থেকে শিবের বাজারে সন্নিকট পর্যন্ত পাকা করণের কাজ শুরু হয়ে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ইটের তৈরি  খোয়া বিছিয়ে রাস্তায় তা এলোমেলো হয়ে অনেক অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ছোট খাটো যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলে পড়ছে। বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় প্রতিদিন কাদামাটি ও পানি ছিটকে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে রেখে যাওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু বা সম্পন্ন করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

 

ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধণ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কাঁইয়াগঞ্জ দি ফ্রেন্ডস্ ক্লাব এ্যন্ড লাইব্রেরীর উদ্দ্যেগে ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।এ উপলক্ষে গত ২১ জুন বিকাল ৪টার দিকে কাঁইয়াগঞ্জ ফুটবল মাঠে ইউ,সি,সি,এ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান রুহুল হাসান (চপল) এর সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথী উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ,বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর আরোফিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুহুল আরা আজাদ (জুসি) উপজেলা আঃলীগ নেতা মুকিতুর রহমান( রাফি) ছাত্রলীগের আহবায়ক শাকিল আহম্মেদ (বুলবুল) রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক,ফজলুল হক, রাজিব চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন (আশরাফুল) প্রমুখ। ফজলুল হক মুন্ত্রী/এনামুলহক (আকিজ সিমেন্ট) এর বার্সেলোনা ও আনোয়ার হোসেন আশরাফুলের নেপলির খেলা দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

ভারতীয় জিরা আটকের পর…

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা সদরের ডিগ্রী কলেজ চৌমাথা মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ১৬ কেজি ভারতীয় জিরাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের সাজু মিয়া একটি বস্তায় ১৬ কেজি ভারতীয় (প্রতিটি এক কেজি করে ১৬ টি প্যাকেট) জিরা সাদুল্যাপুর সদরে জনৈক এক ব্যক্তির দোকানে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছিলেন। গোপন সুত্রে সংবাদ পেয়ে এএসআই মাসুম বিল্লাহ জিরার বস্তাসহ তাকে ওই স্থানে আটক করে। পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন মহলের তদবীর ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে ওই জিরাসহ ছেড়ে দেয়া হয়।  সাদুল্যাপুর থানার ওসি মজনুর রহমান ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, এটা ছোট খাট ব্যাপার। তাই ভ্রাম্যমান আদালতে ওই ব্যক্তির এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে আটক জিরাসহ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 

ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানা পুলিশের আটককৃত হেরোইনসেবী শাহ আলম চেংটু (২৩) কে ভ্রাম্যমান আদালত এক বছরের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছে। থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নানা স্থানে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল ছাড়াও অন্যান্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের চিহ্নিত স্পটে অভিযান, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া বন্ধসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা রোধে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম পিপিএম-এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ গতকাল রাতে সন্ধ্যায় ঢোলভাঙ্গার চিহ্নিত একটি হেরোইন স্পটে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ সাদুল্যাপুর উপজেলার বড় গোপালপুর গ্রামের মৃত নজরুলের পুত্র হেরোইনসেবী চেংটুকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে এক বছরের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে পলাশবাড়ী থানা হতে ৩শ’গজ দুরে মিতালী হোটেলের পাশ্বে নওশার চায়ের দোকানের পিছনে ও ৫শ’গজ দুরে গাইবান্ধা পলাশবাড়ী মহাসড়কের পাশ্বে হাট মান্নানের বাড়ীতে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া ও নেশা বিক্রী হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই ২ স্থান থেকে পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মাসিক মোটা অংকের মাসহারা পায়।