মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে…

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥  ঝালকাঠিতে মিথ্যা ও সাজানো নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে নাবালকসহ তিনটি পরিবারকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে সম্প্রতি আসামীসহ শশ এলাকাবাসি বরিশাল পুলিশের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, ঝালকাঠি পুলিশ সুপার, মানবাধিকার কমিশন ও ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম বরাবরে আবেদন করেছে। কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন পাঞ্জিপুঁথিপাড়া আবাসন প্রকল্পে গত ১৩মে সংঘটিত একটি ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে এ মামলাটি সৃষ্টি হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে। এদিকে বাদীর মানিত বেশীরভাগ স্বাক্ষী মিথ্যা স্বাক্ষী দিবেনা বলেও বাদীকে জানিয়ে দেন।

মামলার স্বাক্ষীসহ অর্ধশতাধিক জনগন অভিযোগে স্বাক্ষর করে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে নাবালক নয়নসহ অপর আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এলাকাবাসি জানায়, একটি প্রতিপক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদী পাখি বেগম (২৮) ঝালকাঠি সদর থানায়  ধর্ষনের চেষ্টা, মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে ১৬ মে একটি মামলা ( ০৮/৯৫) দায়ের করে। যার ধারা ২০০০ এর ১০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬ দন্ডবিধি। এ মামলায় নাবালক নয়নসহ তার আপন মামা সাইদুল ও আফজাল হোসেনকেও আসামী করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাদীর পুত্রের সাথে মামলার ৩নং আসামী দশ বছর বয়সী নয়নের সাথে পারুল বেগমের একই বয়সী রানী নামের কন্যাকে কটুক্তি করে। এ ঘটনায় নয়ন প্রতিবাদ করে বাদী পাখি বেগমের কাছে নালিশ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জুতাপেটায় উদ্যত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্ধ সৃষ্টি হলে তৃতীয় একটি পক্ষ উপস্থিত হয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায়। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের উচ্চমহল থেকে তদ্বির করিয়ে মামলার এক নং আসামী সাইদুলকে তার গ্রাম থেকে গ্রেফতার করায়। সে ২৪দিন হাজতবাস করে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। আবাসন এলাকার লোকজন জানায়, যদি এভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়, তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়। তারা পুলিশের বরিশাল ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুপার মনিটরিং করছেন।