বরিশালে খোলা বাজারে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥  পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে আগামীকাল রবিবার থেকে বরিশালে খোলা বাজারে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে নগরীর ২০টি স্পটে ভ্রাম্যমান ভাবে বিক্রি হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় চারটি পন্য। তবে নিম্নমানের পণ্য সরবরাহের কারণে এবারও ডিলারা পণ্য উত্তোলনে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বরিশাল টিসিবি’র কাছে ৪টি পণ্য এসে পৌঁছেছে। মজুদকৃত পন্যের মধ্যে রয়েছে- চিনি ৬৩৫টন, মসুরের ডাল ৪১৮ টন, ছোলা বুট ১১০ টন, সয়াবিন তেল ১ লাখ ৭০ হাজার লিটার ও পাম তেল ৮০ হাজার লিটার। আজ রবিবার থেকে নগরীর ২০টি স্পটে বিক্রি শুরু হবে এ চারটি পণ্য। প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমানভাবে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে ৫টি ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার কেজি চিনি, ২০০ কেজি ডাল, ২০০ কেজি ছোলা, ২০০ লিটার তেল থাকবে। এছাড়া প্রতি ডিলারের বিপরীতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি চিনি, ৫০০ থেকে ১২’শ কেজি ডাল, ৪০০ থেকে ১ হাজার লিটার খোলা তেল, ২০০ লিটার সয়াবিন তেল (ক্যান), ২০০ লিটার পাম তেল ও ১৫’শ কেজি ছোলা বরাদ্ধ করা হয়েছে। টিসিবি’র প্রতি কেজি চিনি ভোক্তারা ৪৪ টাকা দরে, মসুরের ডাল ৭০ টাকা দরে, ছোলা বুট ৬০টাকা দরে, সয়াবিন তেল প্রতিলিটার খোলা ১০৫ টাকা, ক্যান ১২১ টাকা ও পাম তেল ৭৫ টাকা দরে ক্রয় করতে পারবেন। তবে পণ্যের নিম্নমানের কারণে ডিলারা পন্য উত্তোলনে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বরিশাল নগরীর ১০ ডিলার পণ্য উত্তোলনে আগ্রহ হারিয়ে ডিলারশীপ উঠিয়ে নিয়েছে।

তাদের মধ্যে চকবাজারের হাওলাদার বানিজ্যলয়ের জাহিদুল হক বলেন, আমি নিজেই টিসিবি থেকে সরে এসেছি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রতিবারই কোন না কোন পণ্যের মান খুবই নিম্নমানের থাকে। ফলে সাধারন জনগন পণ্য নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর এ কারণে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। শুধু জাহিদুল হক ই নয় একই কারণে ডিলারশীপ তুলে নিয়েছেন মোয়াজ্জম হোসেন, তাওসিক হোসেন সাকিলসহ বরিশালের ১০ ডিলার।

এ ব্যাপারে টিসিবি’র বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল মজুমদার জানান, এবার তাদের পণ্যের গুণগত মান অনেক ভাল, দামেও সাশ্রয়ী। তিনি আরো জানান, এবছর ১০জন ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের জন্য সকল পক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।