পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার বিকালে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বিক্ষোভ মিছিলটি স্থানীয় পোষ্ট অফিস সামন থেকে বগুড়া বাসষ্টানে গিয়ে পৌর বিএনপি’র আহবায়ক জিয়াউর হক জুয়েলের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীদের মুক্তি ও নিরপেক্ষ তত্বাবাধয়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বক্তব্য রাখেন পৌর যুগ্ম-আহবায়ক ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ও পলাশবাড়ী থানা যুবদলের সভাপতি ফরিদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মোশফেকুর রহমান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুল আকন্দ, থানা কৃষকদল আহবায়ক আনারুল কবির, পৌর কৃষকদল আহবায়ক শাহ-আলম, পৌর যুবদল আহবায়ক মনজুরুল আলম মুরাদ, যুগ্ম-আহবায়ক মিলন, যুবনেতা ইউছুফ আলী টিপু,সাদা, গোলাপ, জুয়েল, নুরুজ্জামান প্রমুখ।

 

 

গাইবান্ধায় বর্নাঢ্য র‌্যালী

আর্ন্তজাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে  শনিবার গাইবান্ধা জেলা ক্রিড়া স্স্থংার উদ্দ্যোগে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিক ডে  উদযাপনে গাইবান্ধার  প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়ানুরাগী জনগনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে  বর্নাঢ্য র‌্যালীর   আয়োজন করা হয় । জেলা প্রসাশক ড. কাজী আনোয়ারুল হক এর নেতৃত্বে স্থানীয় স্বাধীনতা প্রাঙ্গন থেকে এই বর্নাঢ্য র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে  শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। বর্নাঢ্য  র‌্যালীতে ক্রিড়াসংস্থার কর্মকর্তা , ক্রিড়া সংগঠক ,খেলোয়ার ও ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করে । র‌্যালী পূর্ব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রসাশক ড. কাজী আনোয়ারুল হক , পুলিশ সুপার সাজিদ হোসেন , ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক এ্যাড : শাহ মাছুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন , সংগঠক  মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু  সহ ক্রিড়া সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ।

 

পিয়ন নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি

 

পীরগঞ্জের সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে দীর্ঘ ৬ মাসেও উপজেলার ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী কাম পিয়ন নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ঝুলে আছে পুরো বিষয়টি। এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের সংশি¬ষ্ট নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছে নতুন করে আবারও বিশ হাজার করে টাকা নেয়া হচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়োগ বোর্ডের উপদেষ্টা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সবগুলো নিয়োগের ফাইল আটকে দিয়েছেন। দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ এ সমস্যার সমাধান হয়নি।স¤প্রতি একটি মহল ঝুলে থাকা ওই বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন। গত মাসে ৩৭ জন প্রধান শিক্ষক নতুন করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ৩৭ টি বিদ্যালয়ের আটক ওই ফাইল পার করে দেয়ার জন্য বিশ হাজার করে মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদানের চুক্তি করেন। ইতিমধ্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও একজন ব্রকার শিক্ষক মোজাফ্ফর হোসেন ২৮টি বিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলন করেছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বিদ্যালয় গুলোর টাকা জমা হবে। এর পরপরই ওই নিয়োগ সম্পন্ন হবে। স্মরনযোগ্য যে, বিগত ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিদ্যালয় গুলোতে নিয়োগের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাসের ১৯ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।সংশি¬ষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সংশি¬ষ্ট ক্লাস্টারের এটিওসহ তিন সদস্যের নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হলে এরা সম্মিলিতভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের কাছে ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ কোন কোন ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে প্রার্থী নিয়োগ চূড়ান্ত করেন। প্রার্থী নিয়োগের সরকারি নীতিমালায় উলে¬খ ছিল কোন চিহ্নিত অপরাধী,দাগী সন্ত্রাসী চরিত্রহীন কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। অথচ মোটা অংক হাতিয়ে নেয়ার কারনে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে যে প্রার্থীর কাছে টাকা নেয়া হয়েছে তাকে ১ নম্বরে রেখে মোট তিন জনের নামের তালিকা দাখিল করেন তিন সদস্যের ওই কমিটি। যে কারনে মোট ১৭ টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়। পরে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই এর মতো একজন এটিওর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ পাশের ক্লাস্টারের এটিও তদন্ত করেন। ফলে সবগুলো অভিযোগ  যথারীতি ধামা চাপা পড়ে যায়। যে কারনে নিয়োগ প্রদানকারি কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ১নং তালিকাভুক্তদের নিয়োগ প্রদান করেন। সর্বশেষে উপদেষ্টাদ্বয়ের পালা আসে। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ওই তালিকাভুক্তদের মধ্যে ১ নং প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দিলেও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোনসেফা পারভীন সবগুলো ফাইল আটকে দেন। ফাইল আটক দেয়ার পেছনে তিনি পুর্বের উত্থাপিত অভিযোগ গুলোই উলে¬খ করেন। ফলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার লাল ফিতায় আবদ্ধ হয়ে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া। বর্তমানে সাত লাখ ৪০ হাজার টাকায় যা নিস্পত্তি হতে চলেছে। এদিকে নিম্নবিত্ত ওই চাকুরী প্রত্যাশীরা আবারও নতুন করে বিশ হাজার  টাকা দিতে গিয়ে  হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকের জন্যই এটা হয়েছে মরার উপর খাড়ার ঘা!

ভূয়া নিবন্ধন নিয়োগের হিড়িক

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভূয়া নিবন্ধনে চাকরি দেয়ার হিড়িক পড়েছে। ভূয়া নিবন্ধন যাচাইয়ের তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা না বিষয়টি বিতর্কিতই থেকে যাচ্ছে  বরাবর। অভিযোগ রয়েছে,গত তিন বছরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাধিক শিক্ষক নিযোগ হয়েছে যার বেশীরভাগ নিবন্ধনই ভুয়া।।  ইতিমধ্যে উপজেলার পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত ৪ জন প্রার্থীর নিবন্ধন ভূয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে সদরা কুতুবপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় একটি ও মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় তিনটি ভূয়া নিবন্ধণধারী নিয়োগ রয়েছে। মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসার তিনটি বিতর্কিত নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে গত বছরের ২৪ এপ্রিল রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার এর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ(এন টি আর সি এ)’র কাছে বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ গত বছরের ১৮ মে তারিখে,বেশিনিক/পরীক্ষা-১/প্রত্যয়ন তথ্য/২০/২০০৫/২৭৫ নং স্মারকে অভিযুক্ত তিন জনের নিবন্ধনকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করে পত্র প্রেরন করে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে প্রেরিত উক্ত পত্রে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়। পীরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করে মামলা রুজু করে। পরে এটি দুদুকের আওতাভুক্ত মর্মে উলে¬খ করে পুলিশ মুখ ফিরিয়ে নেয়। যে কারনে এরপর মামলার আর কোন অগ্রগতিই নেই। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে,পীরগঞ্জ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যে আবুল কালাম আজাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে মনোনয়ন প্রাপ্ত উপজেলার মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি,মাদারগঞ্জ কলেজের নির্দেশক আরিফুল হক হেলাল উক্ত মাদ্রাসায় নগদ দু’লাখ টাকা নিয়ে ভুয়া নিবন্ধনধারী এক ব্যক্তিকে নিয়োগের পর আবারও  নতুন করে দুজন সহকারি শিক্ষিকা নিয়োগের নামে প্রার্থীর বাবার কাছে ৭ শতক জমি লিখে নেনে। এর আগে আরিফুল হক হেলাল মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হবার সুবাদে নগদ দু’লাখ টাকার বিনিময়ে উক্ত মাদ্রাসায় কমর্রত অফিস সহকারি সহিদুর রহমানকে ওই মাদ্রাসায় ইংরেজী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে অভিন্ন কৌশলে উক্ত মাদ্রাসায় ভুয়া নিবন্ধনধারী দু জন মহিলাকে নিয়োগ দেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে বাধ্য হয়ে সহিদুর রহমান কে পুনরায় পুর্বেরপদ অফিস সহকারি পদে বহাল করেন। এর মধ্যে-তাহেরা নাজনিন নামের এক প্রার্থীনীকে নিয়োগের জন্য নগদ টাকার পরিবর্তে তার বাবা তোফাজ্জল হাসেনের কাছে সোয়া ৭ শতক মুল্যবান জমি লিখে নেন হেলাল। একবারপুর পুর্বপাড়া  গ্রামের মৃতঃ  বছির উদ্দিনের পুত্র তোফাজ্জল হোসেন  গত বছরের ১৯ মে একই গ্রামের নুরুল হুদার পুত্র আরিফুল হক হেলাল এর নামে পৃথক দুই দাগে মোট সোয়া ৭ শতক ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। অপর প্রার্থীনী তফসির হোসেন এর কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস এর কাছে নগদ দু লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। উক্ত দু প্রার্থীনী সহ সহিদুর রহমানের দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদ গুলো প্রথম থেকেই ভুয়া দাবি করা হলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরিফুল হক হেলাল দাপট  দেখিয়ে ওই তিনটি নিয়োগ সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে নিবন্ধণগুলো ভূয়া হিসেবে চিহ্নিত হলে উক্ত ধুরন্ধর সভাপতি আরিফুল হক হেলাল বিপাকে পড়ে যান। নিয়োগের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের পর তাহেরা নাজনিন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস এর নিবন্ধন সনদ দুটিও ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় এ দুটি নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। চাকরী দেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া টাকা জমি কোনটাই ফেরত দেননি। এর আগে সদরা কুতুবপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান হিসেবে কাশিমপুর গ্রামের হাজী নায়েব উদ্দিন এর পুত্র ভূয়া নিবন্ধনধারী আয়ুব আলীকে ঘটা  করে নিয়োগ দেয়া হয়। ভূয়া নিবন্ধনে নিয়োগ লাভ করায় পরবর্তীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় আরও তিনটি ভূয়া নিবন্ধনের আমদানি ঘটে। চান্দের বাজার দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়েও তিনজন ভুয়া নিবন্ধনধারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তা যাচাই করা হলে ঘটনা সত্য প্রমানিত হয়। পরে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ(এন টি আর সি এ)’র নির্দেশে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলেও বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে আছে। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র দাবি করেছে গোটা উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধ শতাধিক ভূয়া নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গত ছ’মাসের ব্যাবধানে। সুত্র মতে পিএসসির অধীন নিয়োগের সরকারি ঘোষনার পর পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্য ও সৃষ্ট পদে নিয়োগের হিড়িক পড়ে যায়। তড়িঘড়ি করে এবং অর্থ বানিজ্যেরর মাধ্যমে নিয়োগ করতে গিয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের নিবন্ধনগুলো যাচাই করা হয়নি। যে কারনে ভুয়া নিবন্ধনধারী অনেকেই নিয়োগ লাভের পর এখন দিব্যি চাকরী করছেন। একটি সুত্র জানায়,গত তিন বছরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেসব  শিক্ষক নিয়োগলাভ করেছেন তাদের নিবন্ধগুলো যাচাই করা হলে আরও অনেক চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসবে।

 

উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৪নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকালে পরিষদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও জিসিএ, সেভ দ্যা জেনেসিস (ং.ঃ.ম) এবং স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলাপমেন্ট এর সহযোগীতায় বাজেট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মওলা। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্যা জেনেসিস সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন মাষ্টার, আনজারুল ইসলাম মন্ডল, নুরজাহান বেগম, আ.  রশিদ, মানু মিয়া, ইউপি সচিব মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী, আব্দুল খালেক, আবুল কালাম আজাদ ও ফোকাল পার্সন আব্দুস ছালাম মিয়া। অত্র ইউনিয়নে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য ৪০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা বাজেট নির্ধারন করা হয়েছে।

পেশাজীবি ফোরামের সমন্বয় সভা

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা পেশাজীবি ফোরামের মাসিক সমন্বয় সভা গতকাল শনিবার সকালে ফোরামের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেশাজীবি ফোরামের সভাপতি নুরুন্নবী সরকার তারার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আরডিআরএস বাংলাদেশের মাঠ সমন্বয়কারী পোরসিয়া রহমান, নারী অধিকার ইউনিটের সিনিয়র কর্মকর্তা শমসে আরা বিলকিস, ইউনিয়ন সুপার ভাইজার জিল¬ুর রহমান, উপজেলা পেশাজীবি ফোরামের সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম হারুন, নবীন পল¬ী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ছামছুল হক মধু, শামছুল হুদা রানু, ফরিদপুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি জমসেদ আলী, বনগ্রাম সভাপতি বিরেন্দ্রনাথ মন্ডল, জামালপুর সভাপতি হাফিজার রহমান প্রমুখ।   

 

যুবদলের গভীর শোক

গাইবান্ধার সাঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা শাহিনুর ইসলাম শাহিনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট-হিলি সড়কে বৃহস্পতিবার মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি  হন। বুক ও মাথার নিচে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শুক্রবার রাত মারা যায়। গতকাল বিকাল ৪টায় তার নিজ বাড়ী কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।  জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রিটু যুগ্ম-আহবায়ক ও পলাশবাড়ী যুবদলের সভাপতি ফরিদুল হক রুবেল, রাগিব চৌধরীসহ জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ শাহিনের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এক সপ্তাহে চার জনের আত্মহত্যা

রংপুরের পীরগঞ্জে স্ত্রীর উপর অভিমান করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে ঘর জামাতা সাখাওয়াত হোসেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার রসুলপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের ছহির উদ্দিনের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন একই ইউপির রসুলপুর গ্রামের কোব্বাছ উদ্দিনের মেয়ে লিপি বেগমকে বিয়ে করে ১০ বছর ধরে ঘরজামাতা হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। গত শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ হলে রাতেই সে স্ত্রীর উপর অভিমান করে কীটনাশক পান করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে সাখাওয়াত মারা যায়। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উল্লেখ্য, এ নিয়ে গত ১ সপ্তাহে পীরগঞ্জে ৪ জন আত্মহত্যা করল।

 

জামায়াত-শিবির কর্মী আটক

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আব্দুল জলিল (৫০) ও শাহাদৎ হোসেন শাহীন (২৪) নামে দুই জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত কর্মী আব্দুল জলিল পূর্ব বেলকা গ্রামের মৃত খেতাব উদ্দিনের ছেলে এবং শিবির কর্মী শাহাদৎ হোসেন শাহীন উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারী গ্রামের জামায়াত নেতা আইউব আলীর ছেলে।সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়ছার আলী খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ২৮ ফেব্র“য়ারি পুলিশ হত্যাসহ নারকীয় তা-বের মামলার আসামি।

চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

শিশুর প্রতিভা বিকাশে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ পীরগঞ্জ এডিপির উদ্যোগে গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন কেজি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৮জন কোমলমতি শিশু ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে ১০ জন বিজয়ী প্রতিযোগী ছাড়াও অংশগ্রহনকারি সকল প্রতিযোগিদের মাঝে শান্তনা পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার রাশেদুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এটিএম মাজহারুল আলম মিলন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের স্পনসরশীপ প্রজেক্ট ম্যানেজার বনি হালদার, শিশু কল্যাণ প্রকল্প ম্যানেজার বাদল সাংমা, সুহৃদ সদস্য সেলিম মিয়া, সাগর প্রমুখ।

 

 

মহিলাসহ ৪ জন আটক

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিলাসহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।মাদকের মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলো: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান বোচাগাড়ী চামারের ভিটা গ্রামের নন্দনাল বর্মন’র স্ত্রী  মালতী রানী (৩৭) ও খোকা বর্মন রবিদাস’র স্ত্রী ফেলানী রানী (৩৫)।ডাকাতির মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলো: পলাশবাড়ী উপজেলার সাপধীন মরিচাপাড়া গ্রামের মৃত মকশেদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৮) ও একই উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে পাপুল মিয়া (২০)।সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওছার আলী খান জানান, গ্রেফতারকৃতরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের জুমারঘর এলাকায় হত্যার সাথে জড়িত থাকায় দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা ১৫ জুন গাছ কেটে সড়কে বেরিকেট দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়।এ সময় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে ট্রাকচালক মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহিন (৪৩) নিহত হয়।

 

 

প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতি

 

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়নে গোবিন্দরায় দেবত্তর নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ডিও’র স্বাক্ষর জাল সহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগে প্রকাশ, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বিগত ‘৯৯’ সাল থেকে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে স্কুল ত্যাগ করেন, যা তিনি প্রায় ১৪ বছর থেকে করে আসছেন। এছাড়া গত ২৪ ডিসেম্বর/১২ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও প্রধান শিক্ষক কোন নির্বাচন না দিয়ে একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে। কিন্তু এলাকাবাসী ছাত্রী/অভিভাবক অন্যান্য সদস্যরা সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাছাড়া ওই প্রধান শিক্ষক সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক হতে শিক্ষকদের বিল উত্তোলন করছেন। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের মোর্শেদা বেগম (যার ইনডেক্স নং-১০৭৩৩৯১) তিনি শরীরচর্চা শিক্ষক হিসাবে ব্যানবেইস জেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাঠানো হয় এবং তিনি শরীরচর্চা শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। কিন্তু তাকে প্রধান শিক্ষক কোন এক অজ্ঞাত রহস্যজনক কারণে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসাবে এমপিও ভুক্ত করেছেন। একইভাবে শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম (যার ইনডেক্স নং-১০৭৩৩৯২) কে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না। এলাকাবাসীসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এ নিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানেন না এবং তিনি স্কুলে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন না। এছাড়া ধূরন্দর প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জেলা শিক্ষা অফিসারের সই স্বাক্ষর জাল করে অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যানবেইস প্রেরন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অপরদিকে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত ১’শ ১৫ জন ছাত্রী খাতা কলমে দেখালেও পরীক্ষা দিচ্ছে অর্ধেকেরও কম ছাত্রী। এসব কিছু ছাড়াও ধূর্ত্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কোন কাগজপত্র অফিসে না রেখে তার নিজ বাড়ীতে রেখেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। এছাড়া ওই প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিতে চেয়ে অনেকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। নানামুখী অনিয়ম, দূর্নীতির ফলে প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপে এলাকাবাসী, ছাত্রী অভিভাবক সহ সচেতনবাসী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনাসহ দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। এসব নানামুখী অনিয়মের ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য সাজু মিয়া ইতিমধ্যেই জেলা শিক্ষা অফিস সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ১ ঘন্টা পড়ে কথা বলবেন বলে জানায়, পরে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে ধূরন্দর প্রধান শিক্ষক মোবাইল সেটটি বন্ধ করে রাখেন।

 

সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বাস্তবায়িত হয়নি

একটি নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণ কাজ মুখ থুবড়ে পড়ায় দীর্ঘ ১৭ বছরেও গাইবান্ধা জেলার সাথে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে না। ফলে ঘুর পথে পলাশবাড়ী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে গাইবান্ধার অন্যান্য ৬টি উপজেলা সদরের সাথে জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ সরাসরি যোগাযোগ সড়কের নাকাইহাটে কাটাখালি নদীতে গুরুত্বপূর্ণ বড়দহ সেতু নির্মাণের কাজ গত ১৭ বছরেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় এই বিপত্তি আজও কাটেনি। বহুল আলোচিত বড়দহ সেতু নির্মাণ শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ১৯ জানুয়ারি। ৪ স্প্যানবিশিষ্ট ১৪৮ দশমিক ৬৮ মিটার দীর্ঘ ওয়েল ফাউে শনেরওপর নির্মাণাধীন ওই সেতুর কাজে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ৩ বছরে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ইতোমধ্যে কাটাখালী নদীর তীব্র ভাঙনে সেতুর দু’পাশ থেকে তীরের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় নদীর উভয় তীরে স্প্যান বৃদ্ধির প্রয়োজন দেখা দেয়। এ পর্যায়ে স্প্যান সংখ্যা ৭টিতে বৃদ্ধি করে সেতুটির দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ২৫৩ দশমিক ৫৬ মিটার। এ জন্য সেতুটি দ্রুত নির্মাণে ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলেও সেতুটি নির্মাণে ১৭ বছর ধরে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।