প্রেমানন্দ ঘরামী ॥ বিড়ির ওপর শুল্ক হার কমানোসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ রবিবার সকাল থেকে বরিশালে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিড়ি শ্রমিকেরা। নগরীর সোহেল চত্ত্বরে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আমরণ অনশনে নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা অবস্থান করছেন।
আমরণ অনশন চলাকালে বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, বিড়ি শিল্পে কাজ করে দেশের হাজার হাজার অসহায় গরিব মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে হাতে তৈরী বিড়িতে শুল্কের হার শতকরা ৬০.১৬ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান বাজেটে অতিমাত্রায় সম্পুরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় এ শিল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ মেশিনে তৈরী সিগারেটের ওপর সেই পরিমান শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বক্তারা বিড়ির ওপর অযৌক্তিক কর প্রত্যাহারের দাবি করেন। শ্রমিক নেতারা বলেন, বিড়ি ও সিগারেটের শুল্ক এক। এ কারণে বিড়ি সিগারেটের দাম এক হয়ে গেছে। তাই বিড়ির দামে সিগারেট পাওয়ায় ধুমপায়ীরা বিড়ি ছেড়ে দিয়েছে। যে কারণে দেশীয় প্রযুক্তির কুটির শিল্প (বিড়ি শিল্প) ধ্বংস হয়ে বেকার হয়ে পড়বে লাখ লাখ শ্রমিকেরা। তারা হতদরিদ্র নারী ও অপসহায় পঙ্গু প্রতিবন্ধী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিড়ির ওপর সবধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেন। একই সাথে বিড়ি সিগারেটের স্বার্থে প্রতি দশ সিগারেটের মূল্য কমপক্ষে ৫০ টাকা নির্ধারণ ও বিড়ি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী বোর্ড গঠন করে প্রতি হাজার বিড়িতে ৫২ টাকা ঘোষণা করে কারখানা আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।
আমরণ অনশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লোকমান হাকিম, বরিশাল কারিকর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম হাওলাদার, সাবেক সভাপতি আঃ জলিল জমাদ্দার, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার প্রমুখ। এরপূর্বে গত বৃহস্পতিবার একই দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছেন।