গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজ সাংবাদিক জয় উদ্ধার হয়নি এক বছরে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা   গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম জয় সেখ (৩০) নিখোঁজ হওয়ার ১বৎসর অতিবাহিত হলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সূত্রে প্রকাশ, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জয় সেখ গত ২৪/০৫/১২ইং তারিখ বৃহস্পতিবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে গোবিন্দগঞ্জ টি-এনটি মোড় বাসায় যাওয়ার পথে রাত ৮টায় রাদিয়া হাসপাতাল এর সামনে তার গতি রোধ করে একদল সন্ত্রাসী। তাকে টানা হেচড়া করে মারপিট করার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়।তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় সাংবাদিকের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে গত ২৬/০৫/১২ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ সাংবাদিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিম বগুড়া থেকে উদ্ধার করে। ও জড়িত সন্দেহে শামছুল আলম সানু ও ময়নুল হক নামের দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে ।সাংবাদিক জয় সেখ নিখোঁজের ১বৎসর পার হলেও উদ্ধার না হওয়ায় গ্রেফতারকৃত দুই ব্যাক্তি ঘটনায় জড়িত ছিলো কি না? নাকি অন্য কোন ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন সাংবাদিক জয় শেখ? নাকি যে সংবাদ এর জন্য তাকে টানা হেচড়া বা মারপিট করেছিলো সন্ত্রাসীরা সেই সংবাদে নাকি সেই সুযোগে  অন্য সংবাদের জন্য নিখোঁজ হয়েছেন সাংবাদিক জয় শেখ? এমন প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের মনে।সুষ্ঠ তদন্তের  মাধ্যমে নিখোঁজ সাংবাদিক জয় সেখকে উদ্ধারে পুলিশের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কমনা করছেন সচেতন মহল।

 

আসামিদের তান্ডবে বাদি পরিবার ঘর ছাড়া

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জব্বার হত্যা মামলার বাদী পরিবারের উপর আসামীদের সন্ত্রাসী তান্ডব অব্যাহত থাকায় বাদী পরিবার অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের আঃ জব্বার হত্যা মামলার আসামী আবুল হোসেন ও ওয়াহেদ আলীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করায় আসামীপক্ষ গত ১৮ জুন মঙ্গলবার বাদী মমিনার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট, ভাংচুর, লুটপাট ও বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও আসামীপক্ষ হামলা চালায়। এতে জয়নাল (৫৫), মোকলেছুর (৩২), আবু সাঈদ (২০), মোস্তফা (২৮),মমিনা বেগম (৪০), আবুল হোসেন (৪৫), আঃ ওয়াহেদ (৪০) আহত হয়। এক পর্যায়ে আসামী পক্ষ মমিনার বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগে করলে ৫টি ঘর ও ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র ভস্মিভূত হয়। আহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে আসামী আবুলসহ অন্যান্যরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য মমিনার উপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনকি প্রতিনিয়তই মমিনার পরিবারে হামলা ও তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। অপরদিকে আসামী পক্ষ মমিনার ভাশুর  ভাতিজা ও ছেলেকে মারপিট, বসত বাড়িতে হামলা করে। এক পর্যায়ে বিজ্ঞ আদালত ১১ জুন জব্বার হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করায় আসামী পক্ষ ওই দিন সকালে বাদী পরিবারের উপর বেপরোয়া হামলা চালায়। এব্যাপরে মমিনা বাদী হয়ে গতকাল ২২ জুন থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাদী পরিবার এলাকা ছাড়া হয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে বলে জানা গেছে।

 

কথা বললেন বিশ্ব মিডিয়ার আলোচিত রেশমা

সাভারের রানা প্লাজার ধবংস স্তুপ থেকে ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া আলোচিত গার্মেন্ট কন্যা রেশমা এখন তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কশিগাড়ীতে অবস্থান করছেন। স্থানীয় প্রশাসন মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে দেয়নি তাকে। পরে রেশমা নিজ ইচ্ছায় কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। রেশমার উদ্ধারের প্রায় দেড় মাস হতে চলেছে। ঢাকা পাঁচ তারা হোটেল ওয়েষ্টিনের জেনারেল ম্যানেজার আজিম শাহ্ ও নির্বাহী সেক্রেটারী হেলেন সহ আরও ২জন পাজরো গাড়ীতে করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রামের বাড়িতে রেশমাকে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা বেগম সিদ্দীকা ও ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষনিক এক ভ্যান পুলিশ নিয়ে রেশমার বাড়িতে হাজির।রেশমাকে মিডিয়ার সামনে মূখ খুলতে নিষেধ করে তাকে। ৯ ঘন্টা থাকার পর পাঁচতারা হোটেল ওয়েষ্টিনের ম্যানেজার ও নির্বাহী সেক্রেটারী ফিরে যান ঢাকাতে।

 

 

এদিকে রেশমা আসার খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্ব-চোখে তাকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুঁটে আসছে অসংখ্য মানুষ। কেউ দেখতে পাচ্ছে, কেউ বা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অবস্থান করছে সেখানে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, লেখা-পড়া শিখে সে বড় হতে চান। হোটেল ওয়েষ্টিনে বাংলা ও ইংরেজি’র কোচিং করছেন বলে তিনি জানান।দিকে রেশমা আসার খবর ছড়িয়ে পড়ায় তার সাক্ষৎকার নেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুঁটে আসছে সংবাদকর্মীরা। রেশমা আর ক’দিন বাড়ীতে থাকবে তা বলছেনা কেউ। তবে রেশমার বড় বোন ফাতেমা জানিয়েছেন, সে থাকতে চাইলে থাকবে। এদিকে পাল্টে গেছে রেশমার বাড়ি ও আশ-পাশের চিত্র। রেশমার বাড়ির সামনের মহা-সড়কের ধারে স্থান পেয়েছে তার ছবি সম্বলিত বিশাল সাইন বোর্ড। অনেকে এখন সাহায্য-সহযোগিতা করছে রেশমার পরিবারকে। এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহামান। কিন্তু শুরু থেকেই মিডিয়ার কারো কারো সন্দেহ হতে থাকে রেশমার পরনের কাপড়, আঙ্গুলের ছোট নখ, স্বাভাবিক দৃষ্টি ও তাকে বেশ ফ্রেশ থাকায়।এরপর রেশমাকে সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর বিলাসবহুল হোটেল ওয়েস্টিনে চাকরি দেয়া হয়। সেই রেশমা এখন তার গ্রামের বাড়ি গেলেও তার চারপাশে সর্ব্বোচ্চ সতর্কতা রয়েছে যেন কোনো সাংবাদিক তার সঙ্গে কথা বলতে না পারে। গত ৬ জুন ওয়েস্টিন আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রেশমাকে জিজ্ঞেস করা হয় রানা প্লাজা ধসের পর তিনি লাইনম্যান এনামুলের সঙ্গে বের হয়ে আসার পর তিনি এনাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কী না। এ প্রশ্নে চমকে যেয়ে রেশমা চিৎকার করে  বলেন, কী বললেন? আবার তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি যে গার্মেন্টে কাজ করতেন, ওই গার্মেন্টের লাইনম্যান এনামুলকে তো আপনি চেনেন, তা-ই না? জবাবে ‘হ্যা’ অথবা ‘না’ কোনো কিছুই না বলে প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে রেশমা বলেন, ‘ আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে আপনি ছিলেন না। তাই আমার যে কী কষ্ট হয়েছে, আপনি জানেন না। আপনি ভুল কথা বলছেন।’ এরপর ওয়েস্টিন কর্তৃপকক্ষ রেশমাকে কোনো ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে নিষেধ করে। রেশমাকে পুরো পরিবারসহ আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে যান এবং রেশমার চিকিৎসায় যাতে কোনো রকম ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সে জন্যে সাংবাদিকদের তার সঙ্গে কথা না বলার অনুরোধ করেন। রেশমা উদ্ধার হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান। তবে সাংবাদিক মুন্নি সাহা তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ওকে (রেশমা) এত ফ্রেশ লাগছে কেন? যদি রেশমাকে উদ্ধারের বিষয়টি সাজানো ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে এর দায়ভার কার? সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া সারাবিশ্বে মিডিয়ায় রেশমাকে নিয়ে যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল এখন তা মিথ্যে হলে এধরনের আয়োজনের জন্যে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে নি:সন্দেহে। একটি জীবনের ‘জয়গানে’ তারা ভুলে যায় ১১২৭টি তাজা প্রাণের লাশ হয়ে যাওয়ার দুঃখ! সর্বত্র চলে হই-হুল্লোড়। 

 

 

 

মাত্র চারটি বিস্কিট ও এক বোতল পানি খেয়ে রেশমার দিনের পর দিন বেঁচে থাকা এবং পরিপাটি নতুন পোশাকে উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক রহস্য সৃষ্টি হয়। বিনিময়ে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন দিন আনে দিন খাওয়া রেশমাকে তার হতাশাপূর্ণ জীবনের অধ্যায় শেষ করে আমেরিকা যাওয়া অথবা দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পছন্দের একটিতে ৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়েছে এবং এরই মধ্যে তাকে লোভনীয় বেতনে একটি পাঁচতারা হোটেলে চাকরি দেয়া হয়েছে।এধরনের এমন অনেক প্রশ্ন তোলপাড় সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মনে।  গত ১০ মে রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ থেকে রেশমাকে উদ্ধারের দাবি করা হয়। এ ঘটনা সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তাৎক্ষণিকভাবে এমন ‘অলৌকিক ঘটনা’য় বাংলাদেশসহ পুরো দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ বিমোহিত হয়ে পড়েন। ২৪ এপ্রিলই রানা প্লাজা থেকে এনামুলের সঙ্গে বের হয়ে আসেন রেশমা : রেশমা তিনতলার যে কোম্পানিতে (নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেড) কাজ করতেন, ওই প্রতিষ্ঠানেরই ‘লাইনম্যান’ হিসেবে কাজ করতেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার এনামুল। এনামুল জানান, এ ঘটনার পর থেকেই বাড়িওয়ালার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তবে ভবন ধসে পড়ার পর সে কিছুটা আহত অবস্থায় বের হয়ে আসে। দু’দিন এনাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সে গাইবান্ধায় চলে যায়। ১০ মে রেশমা ‘উদ্ধার’ ঘটনার পরে ভেতরে থাকা রহস্যের ব্যাপারে জানার জন্য বহু চেষ্টা করেও এনামুল এর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন মোবাইল থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। এনামুল স্বীকার করেন, এ রেশমা ২৪ এপ্রিল ভবন ধসের ঘটনার সময় তার পেছন পেছন বের হয়ে আসেন। এ সময় রেশমাও আহত অবস্থায় এনাম হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত এনামুল দুদিন পরে হাসপাতাল ছাড়ার সময় আর রেশমাকে খুঁজে পায়নি। এরপর তার সঙ্গে রেশমার বাড়িওয়ালার যোগাযোগ হয়। বাড়িওয়ালা ফোনে রেশমাকে হাসপাতালে পেয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন এনামুলকে।

 

 

এনামুলের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি জানান, দুদিন রেশমা এনাম মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন। তারপর ওখান থেকে ক্যান্টমেনটে চলে যায় বলে শুনেছি। এরপর আর রেশমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।রেশমা উদ্ধারের তিনদিন আগে রানা প্লাজার তিনদিকে ছিল অঘোষিত ‘কারফিউ’: রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনার তিনদিন আগে থেকে ছিল অঘোষিত কারফিউ। ওই তিনদিনে রানা প্লাজার চারপাশে কাউকে ঘেঁষতে দেয়া হয়নি।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি সদস্য এবং সেনাসদস্য ওই এলাকা ঘিরে রাখে। রানা প্লাজার চারপাশের বাড়িঘরের সামনে গেটে নক করে সন্ধ্যার আগেই বন্ধ করা এবং কোনোভাবেই বের না হওয়ার জন্য হুশিয়ার করে দেয় তারা।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, একাধিকবার জামা পরিবর্তন করেছেন রেশমা। এমনকি রেশমার দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী তিনি যখন প্রথম তিনতলায় আটকে ছিলেন তখন তার সামনে মাত্র ১০ ইঞ্চি ফাঁকা ছিল। ওই ফাঁকার মধ্যে রেশমার ম্যাচিং করা ড্রেস পড়া অসম্ভব। তাছাড়া তিনতলায় কোনো দোকান ছিল না। ছিল শুধু গার্মেন্ট, যেখানে এ ধরনের পোশাক তৈরি হয় না।শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রেশমাকে গুদামঘর থেকে ঢোকানো হয়েছে। উদ্ধার দেখিয়ে আরএস টাওয়ার থেকে বের করা হয়েছে। রেশমাকে যাতে কেউ না দেখে সেজন্য সবার দৃষ্টির আড়ালে আগেভাগেই তারা নাটকের মঞ্চ তৈরি করে রাখেন।এসব ঘটনার সময়ে কোনো সাংবাদিককে রানা প্লাজার ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেয়া হয়নি। দূর থেকে ফুটেজ ও ছবি নিতে হতো।রেশমাকে উদ্ধারের পর স্থানীয় অনেকে এই প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য করেছেন, শাহীনাকে উদ্ধারের ব্যর্থতা ভোলাতে নিরাপত্তা বাহিনী রেশমাকে ‘উদ্ধার’ করেছে।রেশমা নাটক গোপনে মঞ্চায়নের জন্য অঘোষিত রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ঠিক কী হয়েছিল, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না। তবে তার জানামতে, অঘোষিত রেড অ্যালার্ট দেয়া হয়েছিল টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার জন্য।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাধারণ উদ্ধারকারী দল চেয়েছিল গর্ত তৈরি করে উদ্ধার অভিযান চালাবে, যা তাদের জন্যই বিপদের কারণ হতে পারে। তাই ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানের জন্য রেড আ্য্যলার্ট দেয়া হয়েছিল। সেখানে অনেকে বাড়াবাড়ি করেছে ।

 

 

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা জেসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগে উৎকোচ গ্রহন করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দিন দিন বিদ্যালয়ে ছাত্রী উপস্থিতি সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলেও অফিস সহকারী পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচএম মাহাবুবুল ইসলাম।

অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার নলডাঙ্গা জেসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকেই তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে একের পর এক নানা অনিয়ম দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা করেই চলেছে। প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজসে সহঃপ্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক সহ ৪জন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে উৎকোচ গ্রহন করে ভাগাভাগি করে নেন। কমিটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে হওয়ায় তরিঘরি করে অফিস সহকারী পদে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়। গত ১৭ এপ্রিল অফিস সহকারী পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন হলে অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল ১৬ এপ্রিল স্কুলে গিয়ে উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের চাপ প্রয়োগ করলে এতে প্রধান শিক্ষকের সাথে অভিভাবকের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আবারও প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটি যোগসাজস করে তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে শুধু পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র বিতরন করে পুনরায় ২৪ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষার দিন নির্ধারন করেন। বিষয়টি প্রার্থী গাজিয়ার রহমান, গোলাম রহমান ও ছানারুল ইসলাম প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় গত ২৪-০৪-১৩ইং তারিখে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমানের ছাত্রী না থাকা সত্বেও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে পর পর দুই জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়াও  ওই দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তার নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যেতে তিনি একের পর এক সেকশন খুলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগ গুলো বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্তধীন রয়েছে। এ দিকে ওই তদন্তের বিষয়টি নিজে বাঁচার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচএম মাহাবুবুল ইসলাম ইচ্ছে করে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট তদন্তভার অর্পন করায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম মাহাবুবুল ইসলামের ভুমিকা নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচএম মাহাবুবুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন ইতো মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে নিয়োগ সম্পূর্ন হয়েছে। তাই আমি অভিযোগের তদন্তভার জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট হস্তান্তর করেছি।  ওই প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, ওই বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচএম মাহাবুবুল ইসলামের যোগ সাজসে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তরিঘরি করে অদক্ষ ব্যক্তিকে অফিস সহকারী পদে গোপনে নিয়োগ দেওয়ায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

 

ফেন্সিডিলসহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার পল¬ীতে র‌্যাব-৫ অভিযান চালিয়ে ৩৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জানাগেছে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দিকে জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের এ.এস.আই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামের তারা বাবুর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৬)এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ এর এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।

 

আলোচিত ভূতের বাড়ির বাসিন্দা রিতা-মিতা বগুড়া থেকে উদ্ধার

ঢাকার মিরপুরের বহুল আলোচিত ভূতের বাড়ির বাসিন্দা সিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দুই বোন রিতা মিতা কে বগুড়ার একটি আাবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রিতা ও মিতা দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস পূর্বে ২০ ফেব্রয়ারী বগুড়ায় এসে শহরের কেন্দ্রস্থল আকবরিয়া আবাসিকের ২১ নাম্বার কক্ষ ভাড়া নেয়। সেই থেকেই তারা আকবরিয়া আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। আকবরিয়া হোটেলের ম্যনেজার এবিনিউজকে জানান, আবাসিকে থাকার সময় তারা ঘর থেকে বের হতেন না । খাওয়া দাওয়াও ঠিক মত করতেন না। এদের মধ্যে এক বোন শুধুমাত্র খাবার সংগ্রহ করতে হোটেল থেকে বের হতেন। নিয়মিতভাবে তারা আকবরিয়া আবাসিকের ভাড়াও পরিশোধ করেন। এর মধ্যে ৫/৬ দিনের ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। এসময় তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। আবাসিক কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ হোটেলে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে তারা নারী সংগঠনকে খবর দেন । বগুড়ার মহিলা আইনজীবী সমিতির সহায়তায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন  কেন্দ্রে বগুড়ায় হস্থান্তর করেন।আকবরিয় আবাসিকে তারা তাদের ঠিকানা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন নূরূন নাহার (৪৫) ,প্রকৌশলী, এবং আইনুর নাহার (৪৯),ডাক্তার। পিতা মৃত শরফুদ্দিন, গ্রাম মন্ডল পাড়া, নাসির নগর, ব্রাক্ষনবাড়িয়া। তারা দু’জনই সালোয়ার কামিজ পড়তেন। তবে বড় ওড়না দিয়ে সব সময় মুখ ঢেকে রাখতেন। বগুড়া সদর থানার এস এই আনোয়ার জানান, উদ্ধারকৃতদের বিবরন এবং আচরণ দেখে বোঝা যায় তারা দুজন ঢাকার আলোচিত সেই রিতা মিতা দুই বোন।উল্লেখ্য রিতা মিতা নামের আলেচিত দুই বোন ঢাকার মিরপুরে তাদের বসবাস া সিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত ডাক্তার  ও  ইঞ্জিনিয়ার দুই বোন রিতা মিত কে মানবধিকার কর্মীরা উদ্ধার করেছিল। তাদের বাড়িতে কেউ যাতায়াত করতোনা এবং বাড়ির বাহিরে বের হতেন না। সেই সময় থেকেই তাদের বাড়িটি ভুতের বাড়ি হিসাবেই পরিচিতি পায়।

 

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ইউনিয়ন সমাজ সভা

দরিদ্র জনগোষ্ঠি বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অবৈধ তালাক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ সকালে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির উদ্যোগে ইউনিয়ন সমাজ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউপি সদস্য আয়নাল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সরকার সুজা। অন্যান্যের মধ্যে ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ, ইউপি সচিব সুলতান আহম্মেদ মন্ডল, পলাশবাড়ী ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক অর্চনা রায়। এ ইউনিয়ন সমাজ সভায় নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজ সভায় তাদের স্থায়ী উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে নারীদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক পল্লী সংগঠন তৈরি করে সমাজে কার্যকর ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করে।

 

এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা

গাইবান্ধা নাহিদ ফাউে শনের উদ্যোগে গতকাল ২০১৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর আফজাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডশনের সভাপতি আবুল হাসানাত বুলু। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি গোবিন্দলাল দাস, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ওয়াজিউর রহমান র‌্যাফেল, ফাউে শনের সেক্রেটারি শহীদ্জ্জুামান শহীদ প্রমুখ।

 

ঘোড়াঘাট পৌরসভার বাজেট ঘোষণা

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঘোড়াঘাট পৌরসভার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পৌর ভবনে এক সুধী সমাবেশে পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার মিলন ১৪ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৫১৬ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১১৪ টাকা। রাজস্ব খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ লাখ টাকা। উন্নয়ন সহায়তা খাতে আয় ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ব্যয় ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। পৌর সচিব সাখাওয়াত হোসেন বাজেটের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় সুধী সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্যে পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার মিলন বলেন, মাত্র ৮ বছরের এই পৌরসভার পুঞ্জীভূত সমস্যা সহসায় নিরসন সম্ভব নয়। বিগত সময়ে নির্বাহী প্রধানগণ তাদের সার্বিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে প্রয়াস চালিয়েছে বটে, কিন্তু সময় ও যুগের ধারাবাহিকতায় তার চেয়ে আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।আমাদের চিন্তা চেতনা, সমাজ সচেতনতা নিরীহ নিপীড়িত জনগোষ্ঠীসহ সকলের একান্ত আপনজন হিসেবে এই পরিষদ সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে গণমুখী একটি সুন্দর বাজেট পৌরবাসীর জন্য উপহার দিচ্ছে। সুধী সমাবেশের মধ্যে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আব্দুল কাদের মিয়া, কাউন্সিলর ফারুক-ই-আজম, আনোয়ার হোসেন, আহসান আহম্মেদ, সোবহান মিয়া ও কোষাধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন প্রমুখ।

 

ব্যবস্থাপক ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে কৃষক হয়রানির অভিযোগ

সোনালী ব্যাংক লি. পলাশবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে কৃষককে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ফরকান্দাপুর গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে আনারুল ইসলাম গত ২৬/১১/৯৮ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক লি. পলাশবাড়ী শাখায় জমির দলিল জমা দিয়ে ৩ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে। যার হিসাব নং-৫/২৬৩, লেজার নং-৩১/২২৫। পরবর্তীতে ওই ঋণ কয়েকবার রিকভারী হয়। আনারুল ইসলামের সংসারে স্বচ্ছলতা আসায় প্রায় ৩ মাস পূর্বে ঋণের টাকা পরিশোধ করে দলিল ফেরৎ চায়। কিন্তু ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও সুপারভাইজার সেকেন্দার আলী ঋণের টাকা না নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৫ জুন/১৩ বিকাল ৩টার দিকে আনারুল ব্যাংকে গেলে সুপারভাইজার সেকেন্দারের সাথে দেখা করে টাকা পরিশোধ করতে চাইলে, সেকেন্দার টাকা জমা না নিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক একটি কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণের চেষ্টা করে। আনারুল ইসলাম কৌশলে নিজেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ১৩ জুন/১৩ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনার বিবরণ ব্যবস্থাপককে জানালেও তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে কৃষক আনারুল ইসলাম পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানাসহ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সমস্যা সমাধানে ঋণগ্রহীতা আনারুলের কাছে সাত দিনের সময় নেয়া হয়েছে।