বাকেরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সওজ’র থানায় জিডি

দানিসুর রহমান লিমন, বাকেরগঞ্জ ॥  বাকেরগঞ্জে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত জমিতে কোনো ধরণের অনমুতি না নিয়ে পৌরসভা কর্তৃক অবৈধভাবে কাঁচা বাজা (মার্কেট) ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ করায় পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক উপ-বিভাগ-২ এর উপ-সহকারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন গত শুক্রবার বাকেরগঞ্জ থানায় এ জিডিটি করেছেন।

 

জিডি সুত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কটি একটি জাতীয় মহসড়ক। উক্ত মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্বে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত পুকুরটির জমি বাকেরগঞ্জ পৌরসভা বালি দিয়ে ভরাট করে পাকা দোকানপাট তুলছে এবং বাস টার্মিনাল নির্মাণ করছে। বর্ণিত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত বালু ভরাটকৃত পুকুরটির জমি ভবিষ্যতে সড়ক উন্নয়নমূলক কাজে প্রয়োজন হবে। সেজন্য সরকারি সম্পতি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরুল ইসলাম পিপিএমকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাতে উক্ত জিডি করেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার। সওজ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাকেগঞ্জ পৌরসভা মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ইতিপূর্বে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত উক্ত পুকুরটির ১ একর ১৭ শতাংশ জমি বাস টার্মিনাল নির্মাণে লিজ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কটি চার লেন বিশিষ্ট এবং বাসস্ট্যান্ডের আরশিশি সেতুর সংযোগস্থল নির্মাণে উক্ত জমি প্রয়োজন হবে বলে মেয়রের সে আবেদন প্রত্যাখান করে সওজ। তার পরেও মেয়র নিজ ক্ষমতায় গত এক বছর পূর্বে ওই পুকুরটির জমিতে বালু ভরাট শুরু করে। এঘটনায়ও তিনি ২০১২ সালের ২৬ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও একটি সাধারণ ডায়রি করেন। সওজ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, ওই জমিতে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে তিনি ওসি বাকেরগঞ্জকে ফোনে অনুরোধ করেছেন। এবং তিনি এ বিষয়ে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অবহিত করেছেন। ওসি নূরুল ইসলাম পিপিএম সওজ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই জিডিতে খতিয়ান ও দাগ উল্লেখ না থাকায় তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে জানান।এ প্রসঙ্গে বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় জানতে গিয়ে মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে পাওয়া যায়নি।

 

ব্যাংক কর্মকর্তাদের আচারনে গ্রাহকেরা ক্ষুদ্ধ

বাকেরগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের খামখেয়ালিপনা কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। মনগড়া নিয়ম-নিতি, অশ্লীল ও বেপরোয়া আচারনে উপজেলার ১০ হাজার গ্রাহক এখন দিশেহারা। সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। গ্রাহকদের মতে ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান শূন্যের কোঠায়। অভিযোগ উঠেছে টেলিফোন বিল, এমএমএস, ডিপিএস, ইডিএস, বয়স্ক ভাতা, ৪০ দিনের কর্মসূচী, শিক্ষকদের বিতন, বিধবা ভাতা, টিয়ার কাবিখা, পেনশন, টাকা উত্তোলন বা জমা দেওয়া এমন কি সরকারী কোষাগারে জমা হবে এ রকরমের বিলের ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। শারমীন নামের এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন সকাল ১০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কয়েকজন কর্মকতার কাছে ঘুরে শেষ পর্যন্ত একটি সঞ্চয়ী স্কিম খুলতে হয়েছে। শুধু শারমিন নয়, শারমীনের মত আর অনেক গ্রাহকে পোহাতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের অশ্লীল, বেপরোয়া আচরন। সোনালী ব্যাংকের আর এক গ্রাহক নাম প্রকাশ  না করার শর্তে বলেন, সঞ্চয়ী হিসাব খুলেতে বাংক কর্মকর্তারা রাজি হয় না। কিন্তু দালালের মাধ্যমে গেলে ওনারা (ব্যাংক কর্মকতারা) সঞ্চয়ী হিসাব খুলে দেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্বে অভিযোগের যেন অন্ত নেই লাঞ্চের নামে গ্রাহকদের ২ ঘন্টা সেবা থেকে বঞ্চিত রাখেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অশ্লীল আচারনে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী গ্রাহকরা।  সদর রোডের এক ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন যেখানে বাকেরগঞ্জে ব্যবসায়ীদের টাকায় ব্যাংকের বড় লেনদেন হয় সেখানে ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তদের অশ্লীল আচারন অবাক করে ব্যবসয়ীদের। ব্যবসায়ী একটি মহল জানান, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অশ্লীল আচারনের কারেনে ব্যাংকের লেনদেন কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন অন্যত্র  ব্যাংকে লেদেন করেন। সোনালী ব্যাংক, বাকেরগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের গ্রাহকের সাথে অশ্লীল আচারনের কথা জানতে চাইলে। তিনি কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অশ্লীল, বেপরোয়া আচরনের কথা স্বীকার করে, বলেন আমরা গ্রাহকে সর্বোচ্চ ভালো ব্যাংকিং সেবা দেবার চেষ্টা করি।