বাকেরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে অশ্লীল আচরণ

দানিসুর রহমান লিমন, বাকেরগঞ্জ ॥   সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাকেরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে ক্যাশিয়ার পরিতোষের অশ্লীল আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বরিশালের বিভিন্ন দৈনিকে সোনালী ব্যাংক বাকেরগঞ্জ শাখার অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের খারাপ আচরণ করার অভিযোগ ফুটে ওঠে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পরিতোষ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, ওইদিন যারা টাকা তুলতে যায় তাদেরকে বিনা কারনে বসিয়ে রাখা হয়। যারা ক্যাশিয়ার পরিতোষের এমন আচরণের প্রতিবাদ করেন তাদের সাথে তিনি অশ্লীল আচলন করেন। ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়ে গ্রাহকরা অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বাকেরগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর খামখেয়ালিপনা ও আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। মনগড়া নিয়ম-নিতি ও খারাপ আচরণে উপজেলার কয়েক হাজার গ্রাহক এখন দিশেহারা। সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। গ্রাহকদের মতে ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান এখন শূন্যের কোঠায়। অভিযোগ রয়েছে টেলিফোন বিল, এমএমএস, ডিপিএস, ইডিএস, বয়স্ক ভাতা, শিক্ষকদের বেতন, বিধবা ভাতা, টিয়ার-কাবিখা, পেনশনের টাকা উত্তোলন বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব খুলেতে বাংক কর্মকর্তারা রাজি হয় না। কিন্তু দালালের মাধ্যমে গেলে তারা (ব্যাংক কর্মকতারা) ঠিকই সঞ্চয়ী হিসাব খুলে দেন। উপজেলার ব্যবসায়ী মহল জানান, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অশ্লীল আচারনের কারনে ব্যাংকের লেনদেন কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন অন্যন্যা ব্যাংকে লেনদেন করছেন। এ বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

 

 

বাকেরগঞ্জের দু’শিক্ষকের বদলী দাবি

বাকেরগঞ্জের আউলিয়াপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’সহকারি শিক্ষকের বদলীর দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা । এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষে ৩৮ জন অভিভাবক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আউলিয়াপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন শিক্ষার নামে প্রতারণা করে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিচ্ছেন। উক্ত শিক্ষকদ্বয় ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর নামে পরীক্ষার পূর্বে শিক্ষার্থীদের নিকট প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাদের পাশ করিয়ে দেয়। তদন্ত করলে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলবে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। যে কারনে বহু শিক্ষার্থী প্রাইমারি ছেড়ে মাধ্যমিক স্তরে গিয়ে ফেল করে। উক্ত শিক্ষকদ্বয় ক্লাসে গিয়ে সঠিকমত পাঠদান না করে অযথা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোনে কথা বলেন। অভিভাবকদের অভিযোগ একই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থাকার কারনে তারা এ অপকর্ম করছেন। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিকট এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকরা সহকারি শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন ও গিয়াস উদ্দিনের অপসারনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক কবির হোসেন ও গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।