বরিশালে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে ন্যাড়া ॥ গ্রেফতার-৪

প্রেমানন্দ ঘরামী ॥  যৌতুকের দাবিতে বরিশাল নগরীর কাশিপুর এলাকার দু’সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছে শ্বাশুড়ি ও ননদেরা। নির্যাতনের একপর্যায়ে গৃহবধূকে একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধূ শাহনাজ বেগমকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মঙ্গলবার রাতে শ্বাশুড়ি ও তিন ননদকে গ্রেফতার করেছে। আজ বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।

 

নির্যাতিতা গৃহবধূ শাহনাজ বেগম জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার শ্বাশুড়ি ও ননদেরা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। তার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সে কোন প্রতিবাদ করতে না পারায় নিরবেই তাকে সব নির্যাতন সহ্য করে যেতে হয়েছে। শাহনাজ আরো জানায়, শবে বরাতের দিন গভীর রাতে তাকে ঘরের মধ্যে আটক করে শ্বাশুড়ি তাসলিমা বেগম, ননদ শিল্পী বেগম, শম্পা বেগম ও জেরিন আক্তার অমানুষিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তারা রাত তিনটার দিকে জোরপূর্বক তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরবর্তীতে তাকে ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরেরদিন মঙ্গলবার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে অবরুদ্ধর হাত থেকে উদ্ধার করে। ওইদিন রাতেই গৃহবধূ শাহনাজ বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

 

বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, নোয়াখালী জেলা শহরের বাসিন্দা হাজী ক্বারী মোসলেউদ্দিনের কন্যা শাহনাজ বেগমের সাথে দীর্ঘদিন পূর্বে বিয়ে হয় নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডের কাশিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী জাহের খানের বাকপ্রতিবন্ধী পুত্র শাকিল খানের। ওসি আরো জানায়, কারনে অকারনে শাহনাজ বেগমের শ্বাশুড়ি ও ননদেরা তাকে শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো। মঙ্গলবার গৃহবধূকে উদ্ধারের পর থানায় মামলা দায়ের করা হলে ওইদিন রাতেই উল্লেখিত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও ওসি উল্লেখ করেন।