৮৫ বছরের বৃদ্ধ হচ্ছে মিথ্যে মামলার আসামি মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রসাশনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা

গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগিদের অভিযোগে ও এলাকাবাসির সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বাকাল গ্রামের দিনমজুর পাশান মিস্ত্রি তার ঘরের সম্মুখে পৈত্রিক সম্পত্তিতে গত ৫ মে একটি রাধাকৃষ্ণের মন্দিরের ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। ঘর নির্মানের শেষ পর্যায়ে প্রতিবেশী প্রভাবশালী ধুসর কান্তি বিশ্বাস ও তার লোকজনে নির্মানাধীন মন্দিরের সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে নির্মান কাজে বাঁধা দেয়। এসময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে ধুসর কান্তি বিশ্বাস ও তার লোকজনে নির্মানাধীন মন্দিরের ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে।
পাশান মিস্ত্রি এ ঘটনার বিচার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি ও থানার অফিসার ইনচার্জ অশোক কুমার নন্দি বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার ধুসর কান্তি বিশ্বাসকে সালিশ বৈঠকের কথা বললেও সে (ধুসর) নানা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ১৭ মে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল মাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রভাবশালী ধুসর কান্তি বিশ্বাস বাদি হয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে একটি সাজানো মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ কানাই লাল মিস্ত্রি, ৭৫ বছরের বৃদ্ধা সুচিত্রা মিস্ত্রিসহ ওই বাড়ির ১০ জন নারী-পুরুষকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, ধুসরের মা সাবেক ইউপি সদস্যা খনা রানী বিশ্বাসের কারনেই তার পুত্র ধুসর এলাকায় নানা অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি অশোক কুমার নন্দি ও বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। ধুসর কান্তি বিশ্বাস ও তার মা খনা রানী বিশ্বাস এলাকার কাহারো কথা শোনেন না।
অসহায় কানাই লাল মিস্ত্রি, পাশান মিস্ত্রি মিথ্যে মামলা থেকে অব্যাহতি ও তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে মন্দির নির্মানে সহযোগীতা করার জন্য প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।