গাইবান্ধায় শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. রাজ-৪৯৪) সাধারণ সভা গতকাল শনিবার সংগঠনের পলাশবাড়ীস্থ প্রধান কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার প্রথম পর্বে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতাপাঠ, সংগঠনের মৃত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নিবরতা পালন এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ ও অনুমোদন করা হয়।

পরে সংগঠনের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা সুরুজ হক লিটন, রেজানুর রহমান ডিপটি, গোলাম সরোয়ার বিপ্লব, আবুল কালাম আজাদ (সাবু), রাজা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান, সাইফুল ইসলাম লাজু, আরিফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, শহিদুল ইসলাম ও শফিকুল কবির মিন্টু প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে সংবিধানের ২৪ ধারা মোতাবেক উপস্থিত সাধারণ শ্রমিকদের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নামে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে অত্র সংগঠনের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও শ্রমিক সদস্য আ. কাদেরকে চেয়ারম্যান, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জের কাবিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ড্রাইভারকে ভাইস-চেয়ারম্যান ও যথাক্রমে এখলাছ মিয়া, মশিউর রহমান লেপটু, উত্তম কুমার ড্রাইভার, মোয়াজ্জেম হোসেন সুজা ও হায়দার আলীকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

অপরদিকে, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোফাজ্জল হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম পিপিএম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনকে সদস্য করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়।  

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

গাইবান্ধা-৩ পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন সাদুল্লাপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এম.এ. ওয়াহেদ মিয়া।রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও আ’লীগের কতিপয় নেতাকর্মী তার সাথে ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় আওয়ামী লীগের সমর্থন সাপেক্ষে এম.এ ওয়াহেদ মিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার এই প্রার্থীতার ঘোষণা প্রদান করছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধান মন্ত্রী গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তবে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোটাররা তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

একজন আইনজীবি ও সফল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তার জনপ্রিয়তা এবং এই নির্বাচনী এলাকার ২টি উপজেলার মাঝামাঝি পর্যায়ে তার বাড়ীর অবস্থান হওয়ায় সংসদ নির্বাচনে তার অবস্থান সর্বাধিক অনুকুলে রয়েছে। এম.এ. ওয়াহেদ মিয়া উল্লেখ করেন ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচন পেতে ব্যর্থ হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ স্বাক্ষরিত পত্রে পরবর্তী সময়ের জন্য ধৈয্যধারণ করার পরামর্শসহ সান্তনা দেন। যে কারণে তিনি এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পেলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত এই এলাকার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাব্বী সাহান পলাশ, নয়ন সাহা, মোজাহার আলী, শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।

 

অপ্রতিরোধ্য গাঁজা, মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পুরো উপজেলায় মাদকের অবাধ বিস্তার। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বিভাগ কিংবা স্থাণীয় পুলিশ প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। ফলে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েই চলছে মাদকসেবীর সংখ্যা। এতে অভিভাবক ও সচেতন মহল চরম উদ্বিগ্ন হলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না মর্মে অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরই নির্বিগ্নে ভারতীয় ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যবলেট, দেশীয় চোলাই মদ ও গাাঁজা বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সদরের থানা সংলগ্ন লাইলীর বাড়ি রংপুর বাসষ্টান, মাদকখ্যাত রাইগ্রাম রাজুর নেতৃত্বে  চোয়ানী দেশীয় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রি এবং ঢোলভাঙ্গা এলাকায় ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।এছাড়াও উপজেলার জামালপুর,উদায়সাগর গ্রামে প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বিগ্ন বিক্রি করছে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট।

অন্যদিকে উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লীতে ছোট ছোট বাজারের আশপাশের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মরণজাতীয় নেশা মাদকদ্রব্য। বলা চলে উপজেলায় নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য এখন সহজ লভ্য। অবাধে মাদক বিক্রি আর মাদক সেবনের কারণে মাদকাসক্তরা সংগঠিত হয়ে মটর সাইকেল ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্তরা এতটাই সংগঠিত যে তাদের কে মাদকের ব্যাপরে কেউ কথা বললেই তাদেরকে হতে হয় অপমাণিত ও লাঞ্চীত বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান বেশ কয়েকজন স্থানীয় সচেতন মহলের লোকজন। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। মাদক বিক্রেতাদের সাথে থানা পুলিশের মাসোহারার ভিত্তিতে সখ্যতা গড়ে উঠায় মাদক বিক্রেতারা অনেকটাই দাম্ভিকতার সাথেই এ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে মর্মে ওই সব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের জানা গেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম পিপিএম বলেন’ উপজেলার যেখানেই মাদক বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান চালানো হচ্ছে।

পলাশবাড়ীর সঙ্গে হিলি সংযোগ রাস্তা গুলি থানার মাধ্যমে প্রতি মাসে অলিখিত ভাবে ডাক হয়। আর সেই লাইন নেয় সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতা । যে কারণে কেহ প্রতিবাদ বা মুখ খুলতে শাহস পায়। এই প্রভাবে এবং থানার সহযোগিতায় অবাধে পলাশবাড়ীতে প্রবেশ করছে নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদক দ্রব্য।