এদের চিনে রাখুন,একদিন এরাই আপনাকে ছিড়ে-খুঁড়ে খাবে (প্রথম পর্ব)

সেখানে আরবী ভাষার উপর পড়ালেখা করতেন। তিনি ১৯৯৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। লন্ডনে উচ্চতর শিক্ষার জন্য আসেন,এবং বিষয় হিসেবে আইন বেছে নেন। ইউনিভার্সিটি অফ নর্দাম্বিয়া( আইকন কলেজ) থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে সিটি ল কলেজ থেকে বার এট ল ডিগ্রী লাভ করে ২০০৯ সালে। দেশে ফিরে যান ২০১০ সালের শুরুতে। এই লোক,নিশ্চিত ভাবেই জামাতে ইসলামীর অনেক বড় বড় সংগঠনের সাথে জড়িত। তার বোনের স্বামী মোমিন, লন্ডনে জামাতের একজন বড় নেতা এবং বাবার পক্ষে আইনী যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আরেক জামাতী আইঞ্জীবি ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বর্তমানে কর্মরত। বিয়ে করেছেন ইস্টলন্ডন মসজিদের ইমামের মেয়েকে। লন্ডনে থাকা কালীন লন্ডন জামাতী ইস্লামীকে শক্তিশালী করণের উদ্যোগ নেয় এই নাজিব মোমেন। কোনো রকম যোগ্যতার পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ ছাড়াই শুধু জামাতী কানেকশনের জন্য ইস্টলন্ডন মসজিদের লাইব্রেরীর দায়িত্ব দেয়া হয় নিজামীর এই তিন নাম্বার ছেলেকে। এই লোকের দিকে চোখ রাখুন। তিনি জামাতের হবু নেতা হিসেবে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্র বলাবলি করছে।

 

এর পরে যাকে উপরের ছবিতে আপ্নারা দেখতে পাচ্ছেন তার নাম হাসান ইকবাল ওয়ামী । এসএসসি ও এইচএসসি ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল ও কলেজ থেকে। ইসলামি ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া এন্ড ম্যাস কমিনিকেশনে অনার্স করেছেন, এখন মাস্টার্স শেষ করেছে। শেষ সংবাদ অনুযায়ী ওয়ামী ফ্রান্সে ছিলো। তার একটি বিশেষ পরিচয় হলো সে কুখ্যাত রাজাকার, জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামরুজ্জমানের পুত্র। একসময় ব্লগিং করতো সামহোয়্যার ইনে। মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলে সম্বোধন করাতে পুরো ব্লগ ফুঁসে ওঠে। প্রচন্ড রকমের দৌড়ানি খায় মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী ব্লগারদের কাছে। দেখুন –

এর মধ্যে খুব ইন্টারেস্টিং ঘটনাটি হচ্ছে,উত্তরাধুনিক কবি ও ধর্ষনকারী কবি সমিতির প্রধান ব্রাত্য রাইছু যিনি সকলের কাছে পৌনে পাতলুন ঢাঁইষু হিসেবে পরিচিত, তিনি এই রাজাকারের বাচ্চার এত বড় অন্যায়ের পর তার পক্ষে সাফাই গেয়ে একটি ব্লগ রচনা করেছিলেন। নীচে তার স্ক্রীন শট দেয়া হলো-

জামাতের সক্রিয় সদস্য এবং আন্তর্জাতিক ফান্ডের জন্য জামাতের অন্যতম প্রতিনিধিকারী এই ওয়ামী। ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ ইসলামিক ফান্ড নামে মধ্যপ্রাচ্যের একটি জঙ্গী সঙ্গগঠনের সরাসরি বাংলাদেশ এজেন্ট এই ওয়ামী। ওয়ামী আগে থেকেই গোপনে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো। এখন জোরে শোরে শোনা যাচ্ছে তার ২০১৩ সালে এম পি ইলেকশন করবার কথা। চিনে রাখুন এই জানোয়ার কে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন বিদেশী নারীর সাথে ঢলা-ঢলিতে মত্ত ওয়ামী। অথচ ব্লগে ও বিভিন্ন জায়গায় এই লোক ও তার রাজাকার বাপ-চাচারা আল্লাহর শাষন চেয়ে বেড়াচ্ছে। দেখে রাখুন একদিন বাংলাদেশের জনগণ, মানে আমরাই হয়ত এদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব।


 

উপরের ছবিটির এই চরিত্রের নাম ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। বিজেপি (মঞ্জুর) বর্তমান চেয়ারম্যান ও এম পি । চার দলীয় জোটের অন্যতম শরীক। ভোলা থেকে নির্বাচিত। ইংল্যান্ডের উল্ভার হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলো পার্থ। টিউশন নিয়েছে হল্বর্ন কলেজ থেকে। বার এট ল করেছে সিটি ল স্কুল থেকে। লিঙ্কন্স ইনের মেম্বার। বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জুরের শত শত কোটি দূর্নীতির টাকায় লন্ডনে শুধু মদ আর নারী নিয়ে কাটিয়েছিলো এই পার্থ। ইউনিভার্সিটির পুরোটাই এসাইন্মেন্ট বেস থাকাতে হাজার হাজার পাউন্ড দিয়ে অন্য ছাত্রকে দিয়ে এসাইনমেন্ট করিয়ে নিতো আজকের এই কেতা দূরস্ত এম্পি।

কথিত আছে তার বাবা নাজিউর, এরশাদের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছিলো। এরশাদ জেলে যাবার সময় বিশ্বাস করে এই অর্থ নাজিউরকে দিয়ে গিয়েছিলো। পার্থ বিয়ে করেছে শেখ হেলালের মেয়ে আনমনা কে। উল্লেখ্য যে শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন মানে শেখ সেলিমের বোনের সাথে বিয়ে হয়েছিলো নাজিউর রহমান মঞ্জুরের। এর মানে হচ্ছে, পার্থর খালা শেখ হাসিনা।

ঘরে অপরূপা স্ত্রী থাকার পরেও আজীবন মেয়েদের পিছনে দৌড়ে বেড়িয়েছেন আমাদের এই নেতাজী। তিনি একসময় ঢাকার ধানমন্ডিতে নিউ ক্যাসেল ল একাডেমিতে পড়াতেন। সেখানকার ছাত্রী এরিনা কে নিয়ে নিউ ক্যাসেল ল একাডেমীর দ্বিতীয় তলায় কোলে নিয়ে বসে থাকতেন। তার কিছুদিন পরে এরিনাকে নিয়ে তিনি সিঙ্গপুরে প্রোমদ ভমন করে আসেন। ছোট বেলা থেকেই মারামারিতে ওস্তাদ ছিলো এই পার্থ । পিস্তল নিয়ে একে তাকে বুকে ঠেকিয়ে রাখা তার কাছে ডাল ভাতের মত ছিলো। ২০০৩ সালে ব্যারিস্টার রাহাত খলিল কে দিনে দুপুরে পিস্তল দিয়ে সবার সামনে ভয় দেখায় তার প্রতিষ্ঠান বি এস এল এর ক্যাম্পাসে। তার গাজীপুরের বাগানবাড়ীতে প্রায় সপ্তাহেই রাজনীতি বিদদের জলযাত্রার আসর হয়ে থাকে। তবে তিনি এখন আমাদের প্রভু। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রেখে বাত-চিত করা প্রয়োজন।


 

এইবার উপরের ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি উপরে বর্ণিত পার্থ সাহেবের সবচাইতে ছোট ভাই ওয়াসেক রহমান অঞ্জনের। মানে নাজিউর রহমান মঞ্জুরের ছোট ছেলে তিনি। অঞ্জন ২০০৯ সালে ব্যারিস্টার হন কলেজ অফ ল থেকে। অনার্স করেন কুইন মেরী ইউনি থেকে। বড় ভাইয়ের মত না হলেও কম জাননা অঞ্জন সাহেব। লন্ডনে এক রাতে (২০০৯ এর সেপ্টম্বর) কোরাল বেটিং সেন্টারে ৩ হাজার পাউন্ড উড়িয়ে দেয়ার মত রেকর্ড আছে এই ধনীর দুলালের। কোনো চাকরী করার তো প্রশ্নই আসেনা । বাবার রেখে যাওয়া দূর্নীতির টাকায় মৌজ আর মাস্তি করেই সময় কেটেছে এই অঞ্জন সাহেবের। অত্যন্ত ধূর্ত এই লোকের ক্যাসিনো আর নারী ছিলো নিত্যসঙ্গী। ছাত্র হিসেবে অবশ্য অঞ্জন বেশ ভালো ছিলো। এই অঞ্জন ২০১৩ সালে ভোলা ১ অথবা দুই থেকে নির্বাচন করবে ( যে আসন থেকে তার মেঝ ভাই শান্ত নির্বাচন করেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনে) । চিনে রাখুন এই ব্যারিস্টার সাহেবকে। তিনি হতে পারেন আপনাদের এক সময়ের ভাগ্য বিধাতা।


 

এবার ছবিতে যাকে দেখছেন তার নাম সুদীপ্ত। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এম্পি ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের একমাত্র ছেলে। লন্ডনে এসেছিলো ২০০৭ সালে। বিবিএ পড়তে। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলো মেট্রোপলিটান ইউনিতে পড়বে বলে। কিন্তু ভর্তি হয়েছিলো লন্ডনের একটি ভিসা কলেজে। প্রায় তিন মাসে ১৬০০০ পাউন্ড উড়িয়ে দেয়া এই ছেলে সারাটাদিন বিভোর হয়ে থাকত গাঁজায় আর ড্রাগসে। ৩ বছর এই দেশে থেকে , কোনো পড়ালেখা শেষ না করে এই মূহূর্তে ঢাকায় আছে। রাজনীতি করবার তার খুব ইচ্ছা বলেই বন্ধু মহলে বলে থাকে। চিনে নিন এই আশু নেতাকে। তিনি গাঞ্জায় গাঞ্জায় আপনার দেশ ভরিয়ে দিতে পারবে।


 

উপরের ছবিতে যেই ধোপ দুরস্ত ভদ্রলোককে দেখছেন, তার নাম হচ্ছে নাজমুল চৌধুরী শারুন। এই ভদ্রলোকও লন্ডনে থাকেন। চট্রগ্রাম ১১ মানে পটিয়ার এম পি শামসুল চৌধুরীর পূত্র এই শারুন। অন্য সব এম্পি ও মন্ত্রী পূত্র থেকে মানের দিক থেকে খানিকটা উন্নত। কারণ অন্যসব নেতাদের ছেলেরা যেখানে মদ-গাঁজা নিয়ে পড়ে থাকে সেখানে এই শারুন সাহেব অলগেট এলাকাতে একটি মিডিয়া রিলিটেড ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে ।বর্তমানে টু-পাইস কামানোর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।

শারুন সাহেব আইন বিষয়ে স্নাতক করেছেন মেট্রোপলিটন ইউনি থেকে। ব্লু বেরী ফোন, গুচির চশমা, আরমানির জিন্স,লেকোস্টির স্নিকার, পরিহিত এই যুবিকের সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে তিনি কোনো রকমের আটকানো ছাড়া ও সংকোচ ছাড়া মিথ্যা বলে যেতে পারেন। চাপার জোর মাশাল্লাহ সাংঘাতিক।

তার বাবা চট্রগ্রাম আবাহনীর মালিক ও একাধিক গার্মেন্টসের মালিক। আশা করা যাচ্ছে যে এই শারুন সাহেব তার ধূর্ত বুদ্ধি দিয়ে বাবার এসব সম্পদ রক্ষা করতে পারবেন। ভয়ংকর ব্যাপারটি হলো, তার রাজনীতিতে ব্যাপক আগ্রহ এবং তার বাবা হয়ত ছেলের এইসব প্রতিভা দেখে তাকেই রাজনীতিতে স্থান করে দিবে। আপ্নারা চিনে রাখুন এই নেতাকে। একদিন সংসদে তিনি আমাদের ভাগ্য বিধাতা হতে পারেন।


 

উপরের ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম গালিবুর রহমান শরীফ। তার বাবা আওয়ামীলীগের একজন এম পি ও তিনবার নির্বাচিত প্রিতিনিধি। কিছুদিন আগে এই এম পি সাহেব মানে শামসুর রহমান শরীফ সাহেব ট্রেনে টিকেট না পেয়ে এক স্টেশন মাস্টারকে শারিরীক নির্যাতন করেছেন। তার দল বল দিয়ে পিটিয়েছেন। তার ছেলে গালিব আরো দুই থেকে পাঁচ কাঠি সরেস। ২০০১ সালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে দল বল সহ এই গালিব পিটিয়ে আসেন তারই আরেক বন্ধু নিজামুদ্দিন আল খশরুকে একটি মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে। এর পর ২০০২-২০০৩ সালের অর্থ বছরে ধান্মন্ডি ৩/এ সড়কের সন্ত্রাসী সম্রাট,আমিন ও জুনু গংদের হাতে বেদম মার খান এই গালিব। পরে এর প্রতিশোধ হিসেবে সম্রাটের কাজিন সোহাসকে এম্পি হোস্টেলে উঠিয়ে নিয়ে এই এম্পি পূত্র বেদম মার-ধোর করেন। পরে সোহাসের মাথায় ১৪ টি সেলাই দিতে হয়। এইসব ঝামেলার বশবর্তী হয়ে গালিব সাহেবকে তার বাবা লন্ডনে পাঠিয়ে দেন। পড়ালেখা করতে এসে গালিব সাহেব তা এখন পর্যন্ত শুরু করেন নি। আইন বিভাগে তিনি সুদীর্ঘ ৫ বছর ক্রমাগত অনুর্ত্তীর্ণ হয়েছেন বলেই একটি বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।

সবচাইতে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এই গালিব সাহেব রাজনীতিতে আসতে চান। তার জীবনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞানই হচ্ছে বাবার ইশ্বরদী-৪ এর আসনটি বগ্ল দাবা করার। যে ছেলে একটি অর্থ ধার করলে সেটি আর কোনোদিনি ফেরত দেয়নি, যে ছেলে মারা-মারি,কাটা-কাটি তার জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছে, যে ছেলে পড়ালেখা করেনি, সে ছেলেই হতে যাচ্ছে আপনাদের এম্পি। প্রিয় পাবনাবাসী, আপ্নারা চিনে রাখুন আপনাদের এই এম্পি পূত্রকে। একদিন তিনি আপনাদের বিধাতা হবেন।


 

উপরের এই ছবিটি হচ্ছে চট্রগ্রামের মেয়র এবি এম মহিউদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় সন্তান চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেলের। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সের ল এন্ড এনথ্রোপলজীর ছাত্র ছিলেন এই নওফেল সাহেব। বার এট ল করেছেন কলেজ অফ ল থেকে। একটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, তিনি জন্সমক্ষে উক্তি করেছিলেন যে, আমার বাবা চট্রগ্রামের দূর্নীতিবাজ ব্যাবসায়ী এস আলম কে ৭০০ কোটি টাকার লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও নওফেল লন্ডনে সবার কাছে বলে বেড়াত যে, তার বাবা দরিদ্র। তাদের অর্থ কড়ি নেই, কিন্তু অত্যন্ত হাস্যকর হলেও সত্য যে তিনি প্রতি বছর এক এস ই তে ১২০০০ পাউন্ড টিউশন ফি দিয়ে পড়েছেন। তিনি বলে থাকেন যে, তার এই টাকা চট্রগ্রামের ব্যাবসায়ীরা ডোনেট করেছেন। কিন্তু পাঠক আপ্নারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন, যে এস আলমের ৭০০ কোটি টাকা লোন স্যাঙ্কশন করে দেয়া আর তাকে প্রতি বছর ১২০০০ পাউন্ড শুধু টিউশন ফিস দেয়াটা একি সূত্রে গাঁথা।

নওফেল এই কথাও কয়েকমাস আগেও চাউর করেছেন যে, লন্ডনে তার অনেক টাকা ঋণ। কিন্তু তিনি বাবার নির্বাচন উপলক্ষে গত ২২ মে বাংলাদেশে ফিরে যান। তাহলে কি ধরে নেয়া যেতে পারে যে, উনি লন্ডনে তার লোন না দিয়েই চলে গেছেন?

অতি সম্প্রতি খবরের কাগজ গুলোতে এসেছে তিনি তার বাবার আসন থেকে রাজনীতি করবেন। তিনি নাকি আবার মার্ক্সবাদে বিশ্বাসী। লন্ডনের আলো বাতাসে বাবার দূর্নীতির অর্থে যিনি লেখা পড়া করেছেন। দেশের গরীব মানূষের হক মেরেছেন, তিনি বাংলাদেশে মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠা করবেন, এই তথ্য পাঠক আপ্নারা জেনে রাখুন। আর সেই সাথে চিনে রাখুন এই হবু রাজনীতিবিদকে । একদিন চট্রগ্রামের ভাগ্য এই লুটেরার সন্তান মহিবুলই হয়ত নিয়ন্ত্রণ করবে।


 

এই ছবিতে আপনারা যাকে দেখছেন, তার নাম মিস রাখি। তিনি আমাদের আওয়ামী নেতা জাহাঙীর কবির নানকের কন্যা। এই জাহাঙীর কবির নানকের দূর্নীতি আর সন্ত্রাস সম্পর্কে আপনাদের আর পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। তারপরেও শুধু এতটুকুই মনে করিয়ে দেই। এই শ্রমিক লীগ নেতা বি এন পি’র গত টার্মের শেষ দিকে গুলিস্তানে গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে, ১২ জন লোককে হত্যা করেছেন। যা আপ্নারা ইউ টিউবে শেখ সেলিমের কনফেশন-২ এ পরিষ্কার শুনতে পাবেন। তার সহযোগী হিসেবে আওয়ামীলীগের আরেক নেতা মির্জা আজমও জড়িত ছিলো।

এই রাখি লন্ডনে আসে তত্বাবাধায়ক সরকারের আমলে। লন্ডনে তাকে বিশেষ ভাবে আশ্রয় দিয়েছিলো লন্ডন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইস্ট ব্যাঙ্ক কলেজের প্রশান্ত ভূষন বড়ুয়া। আইন বিভাগে পড়তে এসে টানা চার বছর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন এই মিস রাখি। পরে প্রেম করে লন্ডনে আসিফ নামে এক ভদ্রলোকের সাথে বিয়ে হয় রাখির। ২০০৮ সালে তার বাবা মন্ত্রী হবার পর পর বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে বাংলাদেশ চলে যায়। যাবার আগে বন্ধুদের বলে যায়, এই পাঁচ বছরই হলো যা করবার সময়। বছর খানেক পর রাখি এক অজানা কারন বশত স্বামী সহ লন্ডনে আবার ফেরত আসেন। দেখুন লন্ডনে তাদের জমকালো বিবাহ বার্ষিকী পার্টির কিছু ছবি ।

দেশের সাধারণ মানুষের অর্থ আর সম্পদ লুট করে এই নানক তার কন্যা ও তার স্বামী কে পাঠান আর সেই টাকা দিয়ে উল্লাস করে বেড়ান মন্ত্রী আর এম্পির পোনা রা। এই রাখি তার বাবার আসন থেকে ২০১৩ সালে নির্বাচনে আগ্রহী বলে কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে। প্রিয় পাঠক , আপ্নারা আপনাদের এই হবু এম পি কে চিনে রাখুন। আর ভাবুন কোন কোন পদ্ধতিতে এই নানক কন্যা আপনাদের ছিড়ে ছিড়ে খাবে।


 

এবারে যে ছবিটি দেখছেন, সে ছবিটির চরিত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল হাসান তূর্য। ইনি বি এনপির নেতা ও সাবেক এম পি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বড় পূত্র । থাকেন ইংল্যান্ডে। পড়ালেখা করছেন অক্সফোর্ডে । আপ্নারা এরি মধ্যে সাবেক মাছ মন্ত্রী নোমানের দূর্নীতি নিয়ে অবশ্যই অবগত আছেন। একজন ফুলটাইম রাজনীতি বিদ এই নোমান। একজন রাজনীতি বিদের বেতন কত? কি তাদের অর্থের উতস? অথচ এই নোমানের ছেলে প্রতি বছর ২৭০০০ পাউন্ড দিয়ে পি এইচ ডি করছেন । মার্সিডিজ গাড়ি হাঁকিয়ে চলেন। কোথায় পেলেন তিনি এত টাকা? এই প্রশ্নের উত্তর কি আপনাদের কারো কাছে জানা আছে? এই তূর্য দেশের গরীব মানুষ, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডাকাতি করা টাকা দিয়ে তার শিক্ষা জীবন শেষ করে আপ্নাদেরই মন্ত্রী হবেন। আপনি চাইলে চিনে রাখতে পারেন এই হবু নেতাকে।


 

এই ছবিতে যে সু কন্যাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর কেউ নন। আমাদের বড় প্রিয় ও বিখ্যাত দূর্নীতিবাজ বি এনপি নেতা নাজমুল হুদার মেয়া শ্রাবন্তী হুদার। আইন বিষয়ে পড়ছেন স্কুল অফ আফ্রিকান স্টাডিস ( সোয়াসে)। বি এনপি ক্ষমতায় থাকা কালে ২০০৬ সালে সিগমা হুদা লম্বা সময়ের জন্য তার দুই মেয়ে অন্তরা হুদা ও শ্রাবন্তী হুদার সাথে লন্ডনে বসবাস করেন। তার মানবাধিকার সংস্থার এক অনুষ্ঠানে তিনি ওপেনলি একটি আড্ডাতে বলছিলেন যে কি করে তিনি বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্ণরকে তার চাকুরীর ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে ২০ লক্ষ টাকা আনাবার কাগজ পত্র স্যাঙ্কশন করিয়েছিলেন।

শ্রাবন্তী হুদার নামে বিট্রেনের এইচএসবিসি এবং অন্তরা হুদার নামে ব্রিটেনের নেট ওয়েস্ট ব্যাংকে একাউন্ট আছে। সিগমা হুদা এবং তার মেয়ে অন্তরা হুদার নামে যৌথভাবে ১৫৩ দ্য ওয়াটার গার্ডেনস, বুরউড প্লেস, লন্ডন ডব্লিউ২ ২ডিই-তে ২০০৩ সালে একটি বাড়ি ক্রয় করা হয়। বাড়িটি অন্তরা হুদার নামে দুই লাখ ৮৫ হাজার পাউন্ডে ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড থেকে মর্টগেজ নিয়ে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডে ক্রয় করা হয়। দুই লাখ ৫০ হাজার নগদ পাউন্ড দিয়ে ৪ হেনলি কোর্ট, ডেনহাম রোড, এগহাম, সুরে টিডব্লিউ২০ ৯কিউজেড-এ ২০০৬ সালের নভেম্বরে একটি বাড়ি ক্রয় করা হয়।নাজমুল হুদা এবং সিগমা হুদার নামে যৌথভাবে বারক্লেস ব্যাংকে দু’টি একাউন্ট আছে (হিসাব নম্বর ৭০৬৬০৯৬৫, শর্ট কোড ২০-৪৭-৪২ এবং হিসাব নম্বর ৪০০৭২০৩৬, শর্ট কোড ২০-৪৭-৪২)।


 

এই ছবিতে যেই ভদ্রমহিলাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম মেরিনা আলী। তিনি বর্তমানে ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত আলীর কন্যা। শওকত আলী আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত এম পি। মেরিনা আলী তার স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ নরদাম্ব্রিয়া থেকে ২০০৯ সালে। স্বামী জোজোর সাথে থাকতেন ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেলে। এখানেই স্বামীর ব্যাবসা রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা ছিলো জাঁকানো।কিন্তু বাঁধ সেধে বসে ২০০৮ সালের তার বাবা যখন নির্বাচিত হয় ও স্পীকার হয়। তার বাবা উক্ত পদ পাবার পরের এক সপ্তাহের মধ্যে তারা ইংল্যান্ডের সব বিক্রি করে দিয়ে চলে যায় বাংলাদেশে। উদ্দেশ্য, এই ৫ বছরেই যা কামাবার কামিয়ে নিতে হবে। ঢাকায় যেখানে হাইলি কোয়ালিফাইড ছেলে মেয়েরা চাকুরী পেতে হিম শিম খাচ্ছে সেখানে সেকেন্ড ক্লাস অনার্স সম্বল করে মেরিনা আলী ইউনাইটেড ন্যাশনের হাই অফিসিয়াল পদে চাকুরী পেয়েছে ঢাকায় যাবার কয়েকদিনের মধ্যেই। পাঠকরা কি দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাতে পারছেন না আমাকে সাহায্য করতে হবে? শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিসেস মেরিনা আলী শ্রীলংকায় একটি টুরে আছেন। এটি তার হাই প্রোফাইল চাকুরীস্থল থেকেই পাঠানো হয়েছে।

প্রথম পর্ব এখানে সমাপ্ত। এর পরের পর্বে আরো আরো চমক ও মহারথীদের নিয়ে হাজির হব শিঘ্রী। আপাতত এগুলো হজম করতে থাকেন।

 


Writer: OffsideNagorrikBlog.com