আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুপার মেরিট ক্লাবের যাত্রা শুরু

গতকাল বৃহস্পতিবার আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈর সভাপতিত্বে বিকেলে স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক সুমীর চন্দ্র বাড়ৈ, সহকারি শিক্ষক আব্দুল জলিল, ডলি বিশ্বাস, দিপ্তী কনা জয়ধর, ছালেহা শিরিন, সত্য রঞ্জন সরকার, দেবতোষ বরাল, সোমনাথ রায়, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সরদার হারুন রানা, আগৈলঝাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান স্বপন, কালের কন্ঠ শুভ সংঘের গৌরনদী উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা ও কালের কন্ঠের গৌরনদী প্রতিনিধি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়াসহ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা সুপার মেরিট ক্লাবের লক্ষ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রস্তাপনা উপস্থাপন করেন । মেরিট ক্লাবের উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও প্রস্তাপনার উত্তর দেন কালের কন্ঠের গৌরনদী প্রতিনিধি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া। শিক্ষার্থী মালিহা আইরিন বলেন, শিক্ষকদের অনেক পড়াই আমরা সরাসরি বুঝতে পারিনা। এ জন্য কোন শিক্ষার্থীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস এ ক্লাবের মাধ্যমে সে সমস্যার সমাধান হবে। আরেক শিক্ষার্থী দিব্যাদুৎতি ইরা  বলেন, পরীক্ষার আগে মেধাবী সহপাঠীদের কাছ থেকে আমরা কোন সহযোগিতা পাই না। আমরা চাই সহপাঠীরা আমাদের সহযোগিতা করুক। কারন পরীক্ষায় প্রথম স্থান কিংবা দ্বিতীয় স্থান লাভ করাই শেষ নয়, আগামীতে আমরাই দেশ পরিচালনায় অংশ নেব। তাই এখন থেকেই আমাদের উদার হতে হবে। স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সুনীল চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, আমরা যে পদ্ধতিতে পাঠদান করি তাতে সব শিক্ষার্থী পড়াশোনার কৌশল ভাল ভাবে আয়ত্ব করতে পারে না।

শুভসংঘের কাছে দাবি যাতে তারা শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ বলেন, শ্রেনী কক্ষে পাঠ দানের সময় সব শিক্ষার্থী সমান বুঝতে পারে না। মেধাবী শিক্ষার্থীরাও সহপাঠীদের সঙ্গে পাঠদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না। শুভসংঘের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে কম মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। মান্যেজিং কমিটির সদস্য সরদার হারুন রানা বলেন, কালের কন্ঠের শুভ সংঘের এ উদ্যোগ স্কুলের কম মেধাবী ও অমনোযগী ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটাবে। পরে সুপারমেরিট ক্লাবের সদস্যরা স্কুল প্রাঙ্গনে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।