বখাটেদের হাত থেকে শেষ রক্ষা হলোনা মেধাবী ছাত্রী বিপ্লবীর

নিজস্ব সংবাদদাতা, গৌরনদী ॥ বখাটেদের অব্যাহত উত্যক্তর কারনে অভিভাবকরা মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয় নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী বিপ্লবী আক্তারকে। এতেও বখাটেপনা বন্ধ হয়নি। উপায়অন্তুর না পেয়ে বিপ্লবী আক্তারকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভেবে তার বোনজামার বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে রেজিষ্টেশন করার জন্য একদিনের জন্য বাবার বাড়িতে এসে অপহরনের স্বীকার হয় মেধাবী ছাত্রী বিপ্লবী। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উজিরপুরের বামরাইল ইউনিয়নের দামুদারকাঠী গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের পুত্র আরিফ হোসেন গতকাল শুক্রবার বিকেলে গৌরনদী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে জানান, দামুদারকাঠী আনোয়ারা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী তার ছোট বোন বিপ্লবী আক্তার (১৪)। সে (বিপ্লবী) মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী হস্তিশুন্ড গ্রামের বখাটে যুবক আজিম হাওলাদার ও তার সহযোগী জসিম উদ্দিন, রাসেল আহম্মেদ, রফিকুল ইসলাম তার বোনকে কু-প্রস্তাবসহ নানাধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো।

এ ঘটনা বিপ্লবী তাদেরকে জানায়। বিষয়টি তিনি ও তার পিতা হাকিম হাওলাদার বখাটেদের অভিভাবকদের কাছে বিচার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা বিপ্লবী আক্তারকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। অব্যাহত হুমকির মুখে বিপ্লবীকে তারা মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার পর বখাটেরা তাদের বাড়িতে এসে বখাটেপনা শুরু করে। একপর্যায়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভেবে বিপ্লবীকে তার বোনজামাতা তুহিনের মানিগঞ্জের আরিচাস্থ বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশনের জন্য গত ১৯ জুলাই বিপ্লবীকে বাড়িতে আনা হয়। এ খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বখাটেরা মোটরসাইকেলযোগে ফিল্মি ষ্টাইলে বাড়ি থেকে বিপ্লবীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার ৫দিন পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিনি (আরিফ হোসেন) বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় একটি অপরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ.আই জামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধারের জোরপ্রচেষ্ঠা চলছে।