বরিশালের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হয়েও আজ সে পলাতক

পরিবারের দাবি গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হওয়ায় কারনেই মহাজোট সরকারের শুরু থেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১০টি মিথ্যে মামলা ও ৮টি জিডি। যারমধ্যে ৯ টি মামলারই বাদি একজন। ওইসব মামলা ও জিডির অভিযুক্ত আসামি হয়ে পুলিশের হয়রানী ও গ্রেফতার আতংকে চেয়ারম্যান মিলন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
চেয়ারম্যানের সহধর্মীনি খালেদা পারভীন লিখিত অভিযোগে জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ মান্নান মৃধা ও তার লোকজনে তার স্বামী বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, প্রিন্সেস ডায়না স্বর্ণ পদপ্রাপ্ত সরিকল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে ১০টি মিথ্যে মামলা ও ৮টি জিডি দায়ের করে। যারমধ্যে ৯টি মামলার বাদি হচ্ছেন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য কুরিরচর গ্রামের মনির হোসেন সরদার। ১০ বছর পূর্বের ঘটনার বিবরন দিয়ে বরিশাল আদালতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় সাজানো এসব মিথ্যে মামলা। ওই মামলায় চেয়ারম্যান মিলনকে গ্রেফতারের জন্য গৌরনদী থানা পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালায়।
সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মিলন মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ২৮ জুলাই মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানিকারী ওই চক্রটি তার বিরুদ্ধে সর্বহারা জিয়া গ্র“পের আঞ্চলিক নেতা, র্শীর্ষ সন্ত্রাসী, নারী লোভি, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, অত্যাচারী, লুটপাটকারীসহ অসংখ্য মিথ্যে অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, মহা-পরিচালক র‌্যাব, মহা-পরিচালক দুদক, ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৫ টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মিলন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সঠিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান। অন্যাথায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে জোর দাবি করেন।