সিডরে বির্ধ্বস্ত গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড দুটি যাত্রী ছাউনি – গত ৩ বছরেও পুনঃ নির্মানের উদ্যোগ নেই সড়ক ও জনপথের – প্রতিদিন হাজার-হাজার বাস যাত্রী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে

জানা গেছে, বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের পিএমপি প্রকল্পের অর্থায়নে ২০০৩ সালে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের দক্ষিন প্রান্তে লোকাল বাসষ্ট্যান্ডে একটি এবং উত্তর প্রান্তে দুরপাল্লা বাসষ্ট্যান্ডে একটিসহ মোট দুটি টিন সেডের যাত্রী ছাউনী নির্মান করা হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় সিডরের আঘাতে ওই যাত্রী ছাউনী দু’টির টিনের চালা উড়ে যায়। সেই থেকে অধ্যবর্ধি ওই যাত্রী ছাউনী দুটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ১৯৯৮ সালে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের উত্তর প্রান্তের দুরপাল্লার বাসষ্ট্যান্ডে গৌরনদী পৌরসভার অর্থায়নে কিছুক্ষন নামে একটি পাকা ভবনের যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর সহযোগীতায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বুলডোজার দিয়ে ওই যাত্রী ছাউনীটি গুড়িয়ে দেয়। সেই থেকে গৌরনদীর দুরপাল্লার বাসষ্ট্যান্ডে এসে বাসের অপেক্ষায় বসে থাকা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর ও দক্ষিন প্রান্তে নির্মিত ঘুর্নিঝড় সিডরে বিধ্বস্ত ছোট যাত্রী ছাউনী দুটিকেও আজ পর্যন্ত পুনঃ নির্মান করা হয়নি। বরিশাল শহরতলীর নতুল্ল¬াবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ২২টি রুটে চলাচলকারী শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস গৌরনদীর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, গোপালগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, রংপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, মেহেরপুর, পাবনা রাজবাড়ী ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আসা যাওয়া করছে। এছাড়াও মাদারীপুর, ভূরঘাটা, পয়সারহাট রুটে প্রতিদিন গৌরনদীর ওপর দিয়ে গড়ে শতাধিক লোকাল বাস আসা যাওয়া করছে। ওই বাসগুলোতে যাতায়াত করতে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস যাত্রীকে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে রোদে পুড়ে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে বাসের অপেক্ষায় থাকতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যাত্রীরা পড়েন মহা দুর্ভোগে। ঝড়, বৃষ্টি শুরু হলে বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের আশ্রয় নেয়ার মত কোন আশ্রয়স্থল থাকেনা। ফলে সিডরে বির্ধ্বস্ত যাত্রী ছাউনি দুটির নিচে দাঁড়িয়েই বাস যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাত্রী ছাউনী দুটিকে পূণঃমেরামত করার জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।