আগৈলঝাড়ার বাগধা গ্রামে সৌর বিদ্যুতই একমাত্র ভরসা

বাগধা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ আহছান খান আপাং বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় দেশে অনেক সরকারই এসেছে। এ আসনের অনেকেই মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন। কিন্তু উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাগধা গ্রামের উন্নয়নকে নিয়ে কেউ কখনও ভাবেননি। বাগধা গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য অনেক এমপি, মন্ত্রির কাছে এবং স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ধর্ণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে এ আসনের এমপি ও সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বাগধা গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য অফিসিয়াল ভাবে সকল কাজ সম্পাদন করলেও সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সে সব কাগজপত্র অফিস থেকেই গায়েব হয়ে যায়। ওই গ্রামের যাত্রভিনেতা অনন্ত কুমার হালদার জানান, দীর্ঘদিনেও তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌছায় গত ৬ বছর পূর্বে সর্ব প্রথম তাদের গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ এনেছেন ডাঃ আলফ্রেড অশোক বিশ্বাস। তার দেখাদেখি পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামের চার’শ পরিবার এখন সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছেন। অধিকাংশ বাড়িতে গ্রামীণ শক্তি ও ব্রীজ নামক কোম্পানীর সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাড়ি কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ যেমন-ফ্রীজ, কালার টিভি, সিলিং ফ্যান, আয়রন ইত্যাদি সৌর বিদ্যুতে ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও সাধারন যন্ত্রাংশ যেমন-লাইট (বাতি), ছোট আকারের ফ্যান, অডিও সেট, সাদাকালো টেলিভিশন, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ব্যবহার করেই বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ব্যবসায়ী আহসান খান আরো জানান, গ্রামীণ শক্তির ৪০ ওয়ার্ডের সৌর বিদ্যুৎ খুচরা মূল্যে ২৮ হাজার ও ২০ ওয়ার্ডের ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রীজ সৌর বিদ্যুৎও একই দামে বিক্রি করা হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দারা এখন পুরোপুরিই সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছেন।