মানব প্রকৃতি ও পরিবেশের উপকারে এক যাদুকারি ভেষজ উদ্ভিদ নিম

উপকারে এর কোন বিকল্প নেই। বহুগুন সম্পন্ন বৃক্ষটি বহু প্রাচিনকাল থেকেই ঔষধার্তে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের প্রকৃতিতে এক সময়কার সাধারন উদ্ভিদ হলেও বর্তমানে এটি ক্রমহৃাসমান একটি ভেষজ উদ্ভিদ। নিম গাছের ঔষধি গুনের শেষ নেই। খোস-পাঁচরা, চর্ম রোগ থেকে শুরো করে ডেঙ্গু রোগের জীবানুবাহি এডিস মশা তাড়ানো পর্যন্ত নিম গাছের ফুল, ফল ও পাতা দিয়ে সম্ভব। নিম গাছের ব্যাপক উপকারিতার কারনেই দু-দশক আগেও নতুন বাড়িতে নিম গাছ লাগানোর রেওয়াজ ছিল। চার ধরনের নিম গাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। (১) মহানিম বা ঘোড়া নিম, (২) কার্পাক নিম, (৩) ভূই নিম, (৪) সাধারন নিম। নিম মেলিয়াসি জাতীয় বৃক্ষ। ঔষধার্থে গাছের পাতা, ছাল, ফুল ও কাঠ ব্যবহার হয়ে থাকে। ৯৫ বছরের জয়গু নেছা বলেন মোঘল আমলের রাজা বাদশাহরা রোগাক্রান্ত শরীরের প্রশান্তি আনতে নিম কাঠের খাট আর মেহেদী ফুলের বালিশে ঘুমাতো সম্পূর্ন আরোগ্যলাভের জন্য।