মৃত মুক্তিযোদ্ধার সৎকারের টাকার অপেক্ষায় আর কতদিন…?

পর্যায়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সময়ক্ষেপন করে চরম উদাসিনতা ও যথোপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের বিধবা স্ত্রীরা স্বামীর দাফন-কাফনের টাকা আজও হাতে পায়নি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বর্তমানে একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে সরকারি নিয়মানুযায়ী ৫ থেকে ১৪ হাজার ৯’শ টাকা পর্যন্ত দাফন কিংবা সৎকারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রদান করেন। এরমধ্যে কোন মুক্তিযোদ্ধা বাড়িতে মারা গেলে ৭ হাজার, বিভাগীয় শহরে মারা গেলে ৯ হাজার এবং ঢাকার হাসপাতালে মারা গেলে ১৪ হাজার ৯’শ টাকা প্রদানের বিধান রয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলায় বিগত দশ বছরে প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। গৌরনদী উপজেলার উত্তর নাঠৈ গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীর হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী ২৪ বছর পূর্বে (১৯৮৫ সালের ৩ জানুয়ারি) রংপুর জেলার সৈয়দপুরে কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুবরন করেন। উপজেলার গেরাকুল গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাহবুব মিয়ার স্ত্রী কাজলী বেগম জানান, তার স্বামী ২০০৫ সালের ২২ আগষ্ট ঢাকায় মারা যান। একই গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিলন সরদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম জানান, তার স্বামী ২০০৬ সালের ১২ ফেব্র“য়ারি বাড়িতেই মারা যান। তারা তাদের স্বামীর দাফন কাফনের টাকা পেতে একাধিকবার তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় ও ইউএনও বরাবরে আবেদন করা সত্বেও অধ্যবর্ধি তারা তাদের স্বামীর দাফন কাফনের টাকা বা তার চেক পাননি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।