ফুটবল রেফারি গৌরনদীর আহাদ ভাইয়ের স্বপ্ন

রাখলেও খেলা চলাকালীন মাঠে যেন কাউকে সে চিনেনই না। এমনকি তার সহদরকেও তিনি খেলার ত্র“টি বিচ্যুতির কারনে ফুটবল খেলার মাঠে কার্ড দেখাতে ভুল করেন না। আর এ জন্যই তিনি গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার ক্রীড়া প্রেমিদের কাছে রিতীমতো এখন সকলের প্রিয় আহাদ ভাই হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সর্বদা হাসি খুুশি থাকলেও আহাদ ভাইয়ের চোখে মুখে যেন রয়ে গেছে ক্লান্তির ছাঁপ। সেই স্কুল জীবন থেকে একটানা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্রীড়া প্রেমি আহাদ ভাই একনিষ্ঠ ভাবে গৌরনদীসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে ফুটবলের রেফারি ও ক্রিকেট টুনামেন্টের আম্পেয়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার ভাগ্য পরিচালনায় যেন সে পুরোপুরিই ব্যর্থ থেকে গেছেন। অভাবের সংসারে অর্থ ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ক্রীড়াপ্রেমি আহাদ ভাই এখনও রয়ে গেছেন অজপাড়া গাঁয়ের খেলার মাঠে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গৌরনদীর আহাদ ভাই একদিন দেশব্যাপী স্বনামধন্য ফুটবল রেফারি অথবা ক্রিকেটের আম্পেয়ার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে পারেন। আর এ জন্য তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন।
উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামের আকফাত আলী সরদারের আট সন্তানের মধ্যে আহাদদুল ইসলাম আহাদ হচ্ছেন সবার ছোট। মাত্র তিন বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। স্কুল জীবনে গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ লতিফুর রহমানের উৎসাহে তিনি প্রথম ফুটবল খেলা পরিচালনার জন্য রেফারির দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে সাত দিনের প্রশিক্ষন নিয়েই তিনি ফুটবল খেলার রেফারি ও ক্রিকেট খেলার আম্পেয়ারের গুরু দায়িত্ব নিয়ে শক্ত হাতে সততার মাঝে খেলার মাঠ পরিচালনা করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর অভাবের সংসারে ইচ্ছে থাকা সত্বেও তিনি আর বেশিদূর পড়াশুনা করতে পারেননি। এস.এস.সি পাশের পরই তাকে পড়াশুনায় সমাপ্ত টানতে হয়। বর্তমানে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়েই তার সংসার। জীবিকার তাগিদে তিনি রোমানিয়া ফুড এন্ড এভারেজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। আহাদ ভাই বলেন, ভবিষ্যতে আরো বড় ফুটবল রেফারি ও ক্রিকেটের আম্পেয়ার হতে চাই। আর এ জন্য তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন।