প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ॥ নবদম্পত্তির আত্মহত্যার হুমকি ॥ আজ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বিপ্লব

সূত্রমতে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত আহুতিবাটরা গ্রামের পুলিন হালদারের একমাত্র পুত্র কীত্তর্নীয়া দলের বংশীবাদক বিপ্লব হালদার (২৮)। প্রেমের টানে গত ২১ জুলাই একই এলাকার পিসতুতো বোন হরিচাঁদ হালদারের কন্যা শিল্পী হালদারকে (১৯) নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এরইমধ্যে গত ৬ আগস্ট সকালে বিপ্লবের পিতা পুলিন হালদার (৬৫) দুরারোগ্যব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রীকে নিয়ে বিপ্লব বাড়িতে আসেন। এসময় গ্রাম্য মোড়ল রেনুপদ হালদার, ডাঃ হরেকৃষ্ণ হালদার, সুধীর মলি¬ক, ধীরেন্দ্র নাথ বৈদ্ধ, রমেশ হালদার, মনতোষ হালদার, মোনাই হালদার ও তাদের সহযোগীরা বিপ্লব ও তার স্ত্রী শিল্পীকে বাড়িতে প্রবেশ করতে বাঁধা সৃষ্টি করে। মোড়লরা জানায়, হিন্দু ধর্মের রিতী অনুযায়ী নিকট কোন আত্মীয়কে বিয়ে করা যায় না। সেক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে বিয়ে না করায় বিপ্লব তার মৃত পিতার সৎকারে অংশগ্রহন করতে পারবে না। এনিয়ে মোড়লদের সাথে বিপ্ল¬বের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মোড়লরা তাকে (বিপ্ল¬বকে) একঘোরে করে রাখার হুমকি দেয়। উপায়অন্তুর না পেয়ে বিপ্লব আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার নন্দির সরনাপন্ন হন। অবশেষে ওসি অশোক কুমার নন্দির হস্তক্ষেপে দিনমজুর পুলিন হালদারের মৃত্যুর ৩৩ ঘন্টা পর গত ৭ আগস্ট তার পুত্র বিপ্লব হালদার পিতার লাশের সৎকার সম্পন্ন করেন। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) ছিলো মৃত পুলিন হালদারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানেও গ্রাম্য মোড়লরা বিপ্লবকে অংশগ্রহনে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং বিপ্লবের স্থলে তার কাকাতো ভাইদের দিয়ে পিন্ডদান করানো হয়। অপরদিকে গ্রাম্যমোড়লদের চাপের মুখে শিল্পীর পিতা হরিচাঁদ হালদার তার কন্যাকে মৌখিখ ভাবে ত্যেজ্য ঘোষনা করে।
বিপ্লব হালদার ও তার স্ত্রী শিল্পী হালদার আক্ষেপ করে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল দশটায় তারা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে গ্রাম্য মোড়লরা কেউ বাঁধা দিলে তারা আত্মহত্যা করবেন।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি অশোক কুমার নন্দি বলেন, ত্যেজ্য কন্যার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে বিপ্লবের আয়োজিত শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গ্রাম্য কোন মোড়লরা চাপ প্রয়োগ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।