আগৈলঝাড়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঐতিহ্যবাহী গৈলা মনসা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত

এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। মন্দির চত্বরসহ গোটা গৈলা এলাকায় দিনব্যাপী মেলা বসে। অর্ধ লক্ষাধিক ভক্তরা দুধ, কলা, মিষ্টি নিয়ে দেবীর চরণে পূজা দেবার জন্য ভিড় করেছেন। পূণ্যের আশায় দর্শণার্থীরা মন্দির সংলগ্ন দীঘিতে স্নান করেছেন। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ভক্ত ও পূজারীবৃন্দ মনসা মন্দিরে এসে দেবীর তুষ্টি অর্জনের জন্য মানত ও পূজা দেন। ইতিহাস, মন্দির পরিচালনা কমিটি ও প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, ৬ শতাধিক বছর পূর্বে কবি বিজয় গুপ্ত মন্দির স্থাপন করেন। তার বহু বছর পরে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের মা গৈলার কন্যা কবি কামিনী রায় একবার এ মন্দিরটির সংস্কার করেন। এরপর বিভিন্ন সময় সংস্কার করা হলেও ২০০৫ সালের শেষেরদিকে ঐতিহ্যবাহী মনসা মন্দিরে নতুন করে পিতলের দেবীমূর্তি স্থাপিত হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মূল দেবীমূর্তি চুরি হয়ে গিয়েছিল। পরে বিভিন্ন অনুদানের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দির নির্মাণ, দীঘির ঘাটলা, স্নানঘর, আটচালা নির্মাণ কাজ চলছে।
এছাড়া উপজেলার রাজিহার গ্রামের চলাইরপাড় নামক স্থানে মনসা পূজা উপলক্ষে বেহুলার অগ্নি পরীক্ষার অনুকরণে সুখদেব বিশ্বাস স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০ হাত দৈর্ঘ্য অগ্নিকুন্ড জ্বালিয়ে তিনি তার ভিতর দিয়ে তার হাতে আরোগ্য লাভকারী এক ভক্তকে কোলে নিয়ে ৫ বার প্রদক্ষিণ করেছেন। সেখানেও দশ সহস্রাধিক লোকের সমাগম ঘটেছে। জনসমক্ষে অলৌকিক ঘটনায়  সর্বত্র অগ্নিকুন্ডের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এছাড়াও ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে সাড়ম্বরে মনসা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।