গৌরনদীতে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মঙ্গলবার দুপুরে ভূরঘাটা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বসে পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা কবির হাওলাদারের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা জাকির ফকির ও মাসুদ  ফকির। ওইদিন সন্ধ্যায় মাসুদ ফকির ও তার সমর্থকরা ৬টি মটর সাইকেলযোগে ইল্লা বাসষ্ট্যান্ডে এসে কবির হাওলাদারকে খোঁজাখুজি করে। তাকে (কবিরকে) না পেয়ে মাসুদ ও তার সমর্থকরা কবিরকে গালিগালাজ করে চলে যায়। এতে কবিরের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে নসিমন যোগে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভূরঘাটা বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কামাল ফকিরের কাছে পুরো ঘটনা জানিয়ে বিচার দাবি করেন। এ সময় মাসুদ ফকির ও তার সমর্থকরা কবির ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তোরাফ মৃধা (৩১), কবির হাওলাদার (২৮), খলিল কাজী (৩৩), জাফর প্যাদা (২৯), মাসুদ ফকিরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এনিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসি।
অপরদিকে একইদিন রাতে উপজেলার সুন্দরদী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিয়াকত সরদার ও খলিল সরদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পারভিন খানম (৩২), অন্তঃসত্তা খাদিজা বেগম (২০) সহ উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দু’জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।