ঘরের ভিতর ঘর : জরাজীর্ন অবস্থায় গৌরনদী হাইওয়ে থানা

অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে গৌরনদী হাইওয়ে থানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে জরার্জীন অডিটোরিয়াম ভবনে। ভবনের টিন ছিদ্র, পর্যাপ্ত বিছানা না থাকা, বৈদ্যুতিক পাখা, টয়লেট না থাকায় চরম দুভোর্গের মধ্যে বসবাস করছেন ৬০ কিলোমিটার মহাসড়কের একমাত্র পাহারাদার হাইওয়ে থানার অফিসারসহ ২৩ জন পুলিশ সদস্য।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, একটু বৃষ্টি হলেই ভবনের বারান্দাসহ মেঝে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। এছাড়াও টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পরে পুলিশ সদস্যদের বিছানাপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ সদস্যরা ঘরের মধ্যে পলিথিন টাঙ্গিয়ে (ঝুঁলিয়ে মাঁচা তৈরি করে) জরার্জীন ভবনেই বসবাস করছেন। সংশ্লি¬ষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শনে এসে হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যদের এ চরম দুভোর্গ স্ব-চক্ষে দেখলেও অর্ধ্যবধি ভবনটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি।
সূত্র মতে, বরিশাল জোনের একমাত্র হাইওয়ে থানা হচ্ছে গৌরনদী। সে মতে গৌরনদী হাইওয়ে থানার জন্য একটি উন্নত মডেলের গাড়ি, দুটি মোটর সাইকেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু হাইওয়ে থানার জন্য নির্ধারিত কোনস্থানে ভবন নির্মান না করায় জরার্জীন অডিটোরিয়াম ভবনেই চলছে হাইওয়ে থানার সকল প্রকার কার্যক্রম। ভবনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন বৈদ্যুতিক পাখা। গরমের সময় ভবনের বাইরে বসেই অফিসের সকল কাজ করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও শীতের মৌসুমে শিশির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভবনের মধ্যে বিছানার ওপরে পলিথিন টাঙ্গিয়ে ঘরের মধ্যে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন এসব পুলিশ সদস্যরা।   
জানা গেছে, জরার্জীন ভবনসহ নানাবিধ সমস্যার কারনে এ হাইওয়ে থানায় কোন পুলিশ সদস্যরা এসে বেশিদিন থাকতে চাননা। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা নিজেদের ইচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এছাড়াও হাইওয়ে থানার নিরাপত্তার জন্য নেই কোন দেয়ালের ব্যবস্থা। নিজ উদ্যোগে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেড়া নির্মান করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।    
ভুক্তভোগী এসব পুলিশ সদস্যরা তাদের উল্লেখিত সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।