গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার মাদক বিক্রেতারা ভাল নেই

নেই। পূর্বে এ দু’উপজেলার ৬০ টি স্পটে মদ, গাঁজা, প্যাথোডিন, ফেনসিডিল ও মরন নেশা হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করা হলেও বর্তমানে এখানে কোন নির্ধারিত স্পট নেই। তবে ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা মাঝে মধ্যে ফেনসিডিল বিক্রি করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।   
বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে এ অঞ্চলে মাদকদ্রব্য আমদাানি করা হয় যশোর ও বেনাপোল থেকে। মাদকদ্রব্য আমদানি করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ওইসব এলাকায় একাধিক মহিলা সদস্য। গত ঈদুল ফিতরের পূর্বে (গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া থেকে বরিশালগামী তুহিন পরিবহনে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া সদর থানার বারমাইল গ্রামের সালাম মিস্ত্রির স্ত্রী মাদক সম্রাজ্ঞী জুলেখা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করে। এ সময় তার কোমরে বাঁধা এককেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর জুলেখা বেগম পুলিশকে জানিয়েছে, সে দীর্ঘদিন থেকে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছে। জুলেখা গ্রেফতারের পর থেকেই এখানকার মাদক বিক্রেতারা ঝিমিয়ে পরে। একটি সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মোঃ নুরুল ইসলাম যোগদানের পরই তিনি প্রথমে মাদক সেবন ও বিক্রির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে প্রচুর পরিমান মাদক দ্রব্যসহ একাধিক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে সাদাপোষাকে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় এখানকার মাদক বিক্রেতারা ক্রমেই ঝিমিয়ে পরেছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে আতœগোপন করেছে বলেও জানা গেছে।
গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ইতিপূর্বে উপজেলার একাধিক চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে ওইসব মাদক বিক্রেতারা কয়েকদিন কারাভোগ করে জামিনে বেড়িয়ে তারা পূণরায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান বরাবরই ব্যর্থ হতে চলছে। তিনি আরো বলেন, আমি যতদিন এ থানায় রয়েছি ততোদিনই শুধু মাদক নয়, রোমিও উৎপাত, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চরমপন্থী সর্বহারা, জঙ্গী দমনসহ যেকোন অপরাধ দমনে সাদা পোষাকে থানা পুলিশের এ বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।