সিলেটের ন্যায় গজার মাছ গৌরনদীতেও আছে

প্রতিদিন বহু লোক মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত করে মাছের জন্য খাবার নিয়ে আসেন।
মরহুম ওয়াসেল ফকির ওরফে ওয়াসেল কারিকরের ভাই জোনাব আলী ফকির বলেন, প্রায় ৪১ বছর পূর্বে আমার ছোট ভাই হযরত শাহজালাল (রঃ) দরগার বাৎসরিক ওরশে গিয়ে একটি গজার মাছ নিজ বাড়ির পুকুরে এনে রাখার জন্য মাজারের প্রধান খাদেমের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। (ওয়াসেল ফকির ওরফে ওয়াসেল কারিকর ওই মাজারের ভক্ত ছিলেন) এ সময় খাদেম সাহেব তাকে বলেছিলেন, “এ পুকুর থেকে মাছ নেয়ার দরকার নেই, তুমি তোমার এলাকায় গিয়ে এক নিয়তে ২টি গজার মাছ কিনে তোমার পুকুরে ছেড়ে দিবে” তার কথার ওপর বিশ্বাস করে ওয়াসেল ২ টি গজার মাছ কিনে তার বাড়ির পুকুরে ছেড়ে দিলে বছর ঘুরে আসতে না আসতেই মাছ দুটো ৪/৫ ফুট লম্বা হয়। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে অসংখ্য গজার মাছে তার পুকুর সয়লাব হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ‘৮৮ ও ‘৯৮ এর বন্যার পানিতে পুকুর ডুবে গেলেও একটি মাছও অন্যত্র যায়নি। তাছাড়া মাছের কোনও সমস্যা হলে ওই বাড়ির মুরব্বীদের স্বপ্নে দেখানো হয় এবং সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।