মুক্তিযোদ্ধা করম আলীর বোবা কান্না

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। করম আলী এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীরা করম আলীর স্ত্রী সন্তানদের অমানুষিক নির্যাতন করে। থানায় মামলা করলে বাড়ি ঘর সহ করম আলীর স্ব-পরিবারে আগুনে পুড়ে মারা হবে বলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়। হুমকির মুখে অসহায় করম আলী থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। আর এ কারনেই তার বোবা কান্না কেউ দেখেন না।
করম আলী জানান, একই গ্রামের ছলেমান সরদার ছিলেন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার। তার পুত্র এককালের সর্বহারা জিয়া গ্র“পের দুর্ধর্ষ ক্যাডার রবিউল সরদার, আলী সরদার ও অলিউল্লাহ জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একাধিকবার গায়ের জোরে মুক্তিযোদ্ধা করম আলী ও তার পরিবারের ওপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। 
এক পর্যায়ে উপায়অন্তুর না পেয়ে করমআলী সু-বিচারের আশায় আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বরাবরে লিখিত আবেদ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান আবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যতিন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর নিকট সুপারিশ করেন। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীরা এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওপর চালায় অমানুষিখ নির্যাতন। উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠকের জন্য দিনক্ষন ও তারিখ নির্ধারন করে রবিউল গংদের লিখিত ভাবে নোটিশ পাঠান। লিখিত নোটিশ পাঠানোর পরেও ওই সস্ত্রাসীরা সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে মুক্তিযোদ্ধা করম আলীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতীসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মুখে থানায় মামলা দায়েরতো দুরের কথা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অসহায় মুক্তিযোদ্ধা করম আলী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের  সহযোগীতা কামনা করছেন।