আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সামনেই ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের হাতাহাতি

বিস্তারে নিজেদের মধ্যকার বিবাদের এ দৃশ্যে হতবাক হন উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতারাও। শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল আওয়ামীলীগের কর্ণধার সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
জানা গেছে, বেলা ১১ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশ শুরু হলে মঞ্চের আশপাশ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সিনিয়র ও জুনিয়র নেতারা হাতাহাতি শুরু করে। সিনিয়রদের মধ্যে ছিলেন-মহানগর ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহবায়ক সমর দাস সমর, তৌহিদুর রহমান ছাবিদ এবং জুনিয়রদের মধ্য ছিলেন- বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বি.এম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শুভ সেন, ছাত্রনেতা বাবলু জোমাদ্দার, বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ আলম মিরাজ ও ছাত্রনেতা জুবায়ের আলম।
ছাত্রনেতা আবদুর রাজ্জাক জানান, আমরা শৃঙ্খলভাবে ছাত্র রাজনীতি করতে চাই কিন্তু সিনিয়র কয়েকজন ছাত্রনেতা গঠনতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে আসছে। এমনকি তারা একুশে আগস্টের  গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে আধিপত্য বিস্তার করতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুর রহমান ছাবিদ জানিয়েছেন, বি.এম কলেজের জুনিয়ররা সমাবেশে হাতাহাতি করেছে। সিনিয়র ছাত্রনেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুছ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ মহাজোট নেতারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বরিশাল ছাত্রলীগে দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র-জুনিয়র গ্র“পের দ্বন্ধ চলে আসছিল। সিনিয়ররা চাচ্ছেন- তারা ফের নেতৃত্বে থাকতে কিন্তু জুনিয়রদের সাফ কথা সিনিয়রদের ছাত্রত্ব নেই, বিবাহিত। এজন্য তারা নতুন করে নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না।