গৌরনদীতে যুবলীগ ও যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনার তিনদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের

সভাপতি কালিয়া দমন গুহর স্ত্রী তাপসী রানী গুহ বাদি হয়ে পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেন।

রাশিদা বেগমের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে গত শুক্রবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু তার সহদর সলিল গুহ পিন্টু, সহযোগী রানা দাস, বিকাশ দাস, ঝন্টু বেপারী, রিপন সরদারসহ অজ্ঞাতনামারা হামলা চালিয়ে যুবদল নেতা কাজী জসিম, ছাত্রদল নেতা কাজী আরিফ, মাহিলাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি মিরন গোমস্তা, বার্থী ইউনিয়নের যুবদল নেতা দেলোয়ার বেপারী, টিটু সিকদার, আনোয়ার হোসেন মাষ্টার ও তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী মোশারফ হোসেনকে আহত করে।

অপরদিকে কালিয়া দমন গুহর স্ত্রী তাপসী রানী গুহ তার এজাহারে উল্লেখ করেন, যুবদল নেতা কাজী জসিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার পুত্র পিন্টুর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় চাঁদাবাজরা তার পুত্র সলিল গুহ পিন্টুর ওপর হামলা চালিয়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এস.আই শাহজালাল খলিফা জানান, ঘটনার তিনদিন পর গতকাল রবিবার সকালে যুবদল নেতা কাজী জসিমের মা রাশিদা বেগম বাদি হয়ে ৬ জনকে ও যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলুর মা তাপসী রানী গুহ বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন।