কচুরিপানা ফেলনা নয়

কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে বিদেশে রফতানি কর হয়। ফলে অর্জিত হয় প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। ১৯৯৩ সালের ৫২ শতাংশ জমির ওপর বিবর্তন (কালুরপাড়) প্রকল্পটি গড়ে উঠে। এ প্রকল্পের ব্যবহৃত মূল উপকরন হচ্ছে আশপাশের ডোবা মজা পুকুরের কচুরিপানা। এখানে প্রায় দেড়’শ শ্রমিক নিয়মিত ও দুই’শ জন অনিয়মিত দুঃস্থ মহিলা শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তারা দৈনিক ৮ ঘন্টা করে কাজ করেন। এখানে তৈরি সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ছবির ফ্রেম, গিফট বক্স, নোট বই, কার্ড, খাম, রাইটিং প্যাড, টেলিফোন ইনডেক্স বিলাস ও শৌখিন দ্রব্যাদি, এসব সামগ্রীর শতকরা ৯০ ভাগই ইউএসএ, কানাডা, ইংল্যান্ড, ইতালি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, উত্তর আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। এমসিসির এমনই এক উদ্যোগই প্রমাণ করেছে আসলে কচুরিপানা ফেলনা নয়।