আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত – ইচ্ছেমাফিক অফিস করেন ডাক্তাররা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারশূণ্য থাকায় উপজেলার ৪ লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পরে। ফলে  উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগীরা হাসপাতালে এলেও ডাক্তারশূণ্যতার কারণে বরিশালসহ অন্যত্র যেতে বাধ্য হতেন। সারাদেশের ন্যায় সরকার  নতুন ডাক্তারদের নিয়োগ দিতে শুরু করলে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও গত পহেলা জুলাই ৭ জন ডাক্তারকে নিয়োগ দিয়েছে। যারা হলেন- ডা. মাহমুদুল মান্নান, ডা. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, ইএমও ডা. আবু বকর সিদ্দিক, ডা. সুকতারুল ইসলাম তামিম, ডা. মৃদুলা কর, ডা. মানসী বৈদ্য এবং ডা. তাসমিয়া সালসাবিল। কর্মস্থলে যোগদানের পরেও অনেকে নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন না। অনেকে বরিশাল শহর থেকে এসে ২-১ ঘন্টা থেকে দুপুরেই আবার বরিশাল চলে যান। অনেকে যোগদানের পরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যাদের ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পোস্টিং দেয়া হয়েছে তারাও মাঝেমধ্যে গেলেও অধিকাংশ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক্তারদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে থেকে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তাররা তা উপেক্ষা করছেন। তারা তাদের ইচ্ছেমাফিক কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় চিকিৎসকের ২৪টি পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৯ জন। এদের মধ্যে ৩ জন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। বাকি ১৫টি পদ এখনও শূণ্য রয়েছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের এখনও ডাক্তার সংকটের কারণে অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। ডাক্তারদের অনুপস্থিতির কোন প্রমাণ আপনারা দিতে পারলে আমি ব্যবস্থা নেব।