মুলাদী পৌরসভায় আ’লীগের তাণ্ডব : মেয়র সচিবকে মারধর

জানা গেছে, মুলাদী পৌরসভা ২৭ গ্রুপের ৮০ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ টেন্ডারের ড্রপিং আগামিকাল বুধবার হওয়ার কথা ছিল। টেন্ডারের সিডিউলে কয়েকটি বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে বলে পৌর মেয়রকে অবহিত করে আওয়ামীলীগপন্থি কয়েক ঠিকাদার। তারা সিডিউলে দুর্বলতা সংশোধন করতে বলেন। প্রকৌশলী তাদের বিষয়টি আমলে নেয়নি। আওয়ামীলীগ নেতাদের অভিযোগ তাদের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই কাজের এস্টিমেট ও সাইড সিলেকশন করা হয়েছে।

এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম মিঠুর নেতৃত্বে দুপুর ১২টায় একদল নেতা-কর্মী পৌরসভার দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। মেয়র ও সচিবের উপর চড়াও হয়ে প্রকৌশলীকে খুঁজতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রকৌশলী পৌরসভার অভ্যন্তরে পালিয়ে নিজেকে মারধর থেকে রক্ষা করেন। দুপুর ১টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে পৌরসভায় ভাংচুর চালাতে গিয়ে কাচের আঘাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম নামে এক কর্মীর অবস্থা গুরুতর।
মুলাদী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র এনামুল হক ইনু বলেন, পৌরসভার ডাকা টেন্ডারের ড্রপিংর তারিখ বুধবার নির্ধারিত ছিল। আজ মঙ্গলবার ফরম বিক্রির শেষ দিনে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা ভাংচুরের তাণ্ডব চালিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে টেন্ডার স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে হামলা-ভাংচুরের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মুলাদী থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, আওয়ামীলীগপন্থি ঠিকাদাররা পৌরসভার দরজা জানালা ভাংচুর করে। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রাঢ়ী জানান, মুলাদী পৌরসভাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে পৌর মেয়র। তিনি জানান পৌরসভা কর্তৃক ২৬টি নলকূপ বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি নলকূপ দেয়া হয়েছে বিএনপি সমর্থকদের। তিনি বলেন, পৌরসভার ডাকা টেন্ডার সংশোধনের জন্য বলে আসছিলাম। কিন্তু সে বিষয়ে পৌর মেয়র ও প্রকৌশলী কর্ণপাত করেননি। এসব কারণে দলের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।