গৌরনদীতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ॥ দূর্ঘটনার আশংকা

কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার-হাজার জনসাধারনের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি পূর্ণনির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থ, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল এলজিইডির অধীনে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন স্বল্প ব্যয় প্রকল্পে ১৯৮৯ সালে মাহিলাড়া ইউনিয়নের মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ফুট ব্রিজ নির্মান করা হয়। ব্রিজটি নির্মান হওয়ার পরে দীর্ঘ ২০ বছর পার হলেও ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর, ছয়গ্রাম, মিস্ত্রিপাড়া, সেরাল, বেলুহার, গৌরনদী উপজেলার শরিফাবাদ, বাঘার, পশ্চিম শরিফাবাদ, হাপানিয়া গ্রাম থেকে আসা মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজ, মাহিলাড়া এ.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাহিলাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ জনসাধারন এ ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। মাহিলাড়া কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন কবিরাজ, ছাত্র রাসেল, সুমনসহ অনেকেই জানান, ব্রিজটির ষ্ট্রাকচার দুর্বল হয়ে কাঁথ হয়ে নরবরে অবস্থায় পরে আছে। ব্রিজের ওপরের স্লাবগুলো ভেঙ্গে বড় বড় ফাঁকা হয়ে আছে। যা দিয়ে লাফিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নেকেই দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনে ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরা ব্রিজটি ওয়াটারবার, এ্যাঙ্গেল, রেলিং অজ্ঞাতনামা চোরেরা খুলে নিয়ে গেছে। ফলে ব্রিজটির শুধু মাত্র খুটির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বাজারে লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা চোরেরা রাতের বেলায় এগুলো খুলে নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কর্তৃপক্ষর কাছে ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্বেও তারা কোন নজর দেননি। এ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কাঠের চালি তৈরি করে শিক্ষার্থীসহ জনচলাচলের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা করেছেন। যা বৃষ্টির সময় পা পিছলে অনেকেই আহত হন।
এ ব্যাপারে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত তোতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিজটি অত্যন্ত জনগুরুতপূর্ণ। ব্রিজটি ষ্ট্রাকচার (রেলপোষ্ট) এতোই দুর্বল যা সংস্কার করা আরো ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজটিকে নতুন ভাবে নির্মান করার জন্য একাধিকবার প্রকল্প দাখিল করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে খুব শ্রীঘ্রই ব্রিজটি নির্মান করা হবে। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনসুর মিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, জরিপের মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু করা হবে।