অটো রিকসা বন্ধের দাবিতে রিকসা চালকদের সড়ক অবরোধ – গৌরনদীতে হামলা-পাল্টা হামলা ও পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহত

প্রদর্শন করেছে। এসময় প্যাডেল রিকসা চালকরা কয়েকটি অটো রিকসার ওপর হামলা চালিয়ে চালকদের মারধর করে। অটোরিকসার চালকরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। হামলা-পাল্টা হামলা ও পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

বিক্ষুব্দ রিকসা চালকরা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় সহস্রাধিক রিকসা চালক দীর্ঘদিন থেকে তাদের জিবিকা নির্বাহ করছেন রিকসার চালিয়ে। সম্প্রতি ব্যাটারি চালিত অটো রিকসা বের হওয়ার পর তারা (অটোরিকসার চালকরা) ২ টাকার স্থানেও যাত্রী আনা নেয়া করেন। যার কারনে যাত্রীরা প্যাডেল রিকসায় যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এতে অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে রিকসা চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ইতোমধ্যে অটোরিকসা বন্ধের দাবিতে প্যাডেল রিকসার চালকরা একাধিকবার স্থানীয় প্রসাশনের কাছে আবেদন করেও ব্যর্থ হন। উপায়অন্তুর না পেয়ে তারা গতকাল শুক্রবার সকাল দশটা থেকে গৌরনদী   পৌরসভার বালুর মাঠে জড়ো হতে থাকে। দুপুর বারোটার দিকে গৌরনদী-সরিকল সড়কের বালুরমাঠ সংলগ্ন সড়কে প্রায় দু’শতাধিক রিকসা চালকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় অবরোধকারীদের পাশ দিয়ে কয়েকটি অটোরিকসা অতিক্রমের সময় বিক্ষুব্দরা হামলা চালায়।

এতে অটোরিকসার চালক মোশারফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম আহত হয়। এ খবর পেয়ে অটো রিকসার চালকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে আলাল সরদার, জাকির হোসেন, নাসির সরদার নামের তিন রিকসা চালক আহত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গৌরনদী থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জে ৫ রিকসা চালক আহত হয়। গৌরনদী থানার এস.আই মোঃ মিজানুল হক জানান, আইন শৃংখলা রক্ষার্থে পুলিশ মৃদ্যু লাঠিচার্জ করেছে।