ঈদের বাজার : গৌরনদীর দর্জি পাড়ার শ্রমিকেরা এখন মহাব্যস্ত

ঈদের আমেজ। ঈদে পছন্দের পোশাক তৈরি করিয়ে নিতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন দর্জির দোকানগুলোতে। আর তাই সকাল থেকে সারা রাত ব্যস্ত দর্জি পাড়ার শ্রমিকেরা। তবে দোকানগুলোতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ভিড় লক্ষনীয়। রোজা শুরুর আগ থেকেই দোকানগুলোতে ঈদের পোশাকের অর্ডার আসা শুরু করেছে। অধিকাংশ টেইলারিং দোকানে ইতোমধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কোন কোন দোকানে গত বছর ১৫ রোজা পর্যন্ত ঈদের পোশাকের অর্ডার নেয়া হলেও এ বছর ২৫ রোজা পর্যন্ত অর্ডার নেয়া হবে বলেও জানা যায়।

উপজেলার টরকী বন্দরে বেনজু টেইলারের মাস্টার সঞ্জয় মন্ডল জানান, বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারনে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের ব্যবসা অনেকটা মন্দা। ফলে অর্ডার থাকলেও তা সময়মতো ডেলিভেরি দেয়া যাচ্ছে না। তাই প্রতি কাজে চার্জ বাড়াতে তারা বাধ্য হয়েছেন। গৌরনদী থানার মোড়ের ক্লাসিক টেইলারের মালিক বঙ্কিম দাস বলেন, গত বছর আমাদের দোকানে প্রতিদিন ১০/১৫ হাজার টাকার কাজের অর্ডার এলেও এ বছর এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৫/৬ হাজার টাকার অর্ডার। এছাড়া বিদ্যুতের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের পক্ষে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। প্রতি ঘন্টায়ই বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। ফলে একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, তাদের এখানে সিল্কের স্যালোয়ার-কামিজ বানাতে মজুরি নেয়া হয় ২০০ টাকা, সুতির স্যালোয়ার-কামিজ বানাতে লাগে ১৫০ টাকা। এছাড়া ডিজাইনে বেশি কারুকাজ থাকলে দাম বেড়ে যায়। তবে গত বছরের চেয়ে এবার মজুরি ৫০ টাকা করে বেশি। তারা আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত কাজের অর্ডার নেবেন বলে জানান। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দর্জি দোকানগুলোতেও এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। বাটাজোরের সানমুন টেইলার্সে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণের প্রচণ্ড ভিড়। এখানে সুতি স্যালোয়ার-কামিজের মজুরি ১৬০ টাকা, তবে সিল্কের স্যালোয়ার-কামিজের মজুরি নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। ছেলেদের ফতুয়ার মজুরি ১৫০ টাকা। স্থানীয় মাহিলাড়া কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, দর্জির দোকানগুলো স্যালোয়ার-কামিজের অর্ডার নিতে চাইলেও ব্লাউজের অর্ডার একেবারেই নিচ্ছে না। কারন ব্লাউজ তৈরিতে নাকি পরিশ্রম বেশি হয়।