স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি তোলার অভিযোগে দু’বখাটে গ্রেফতার

করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল রবিবার সকালে বরিশাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধামুড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ও ধামুড়া বন্দরের ভ্যানচালক মিজানুর রহমানের কন্যা মরিয়ম আক্তার পপি (১৪)। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাবে একই গ্রামের জাফর প্যাদার পুত্র সোহেল প্যাদা প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে আসছিলো। স্কুল ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সোহেল ক্ষিপ্ত হয়। গত তিনমাস পূর্বে ধামুড়া বন্দরের তুষার কালার স্টুডিওতে পপি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে ছবি তুলতে যায়। ওইসময় বখাটে সোহেল প্যাদা তার সহযোগী বাপ্পা হাওলাদার, আন্টু সিকদার ও সুমন ষ্টুডিওতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক পপির গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্যামেরা মোবাইল দিয়ে স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি তোলে। সামাজিক মর্যাদাহানীর ভয়ে স্কুল ছাত্রী বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি।

গত ২৪ আগস্ট সকালে স্কুল ছাত্রীর পিতা ভ্যানচালক মিজানুর রহমানকে বখাটেরা ওই নগ্ন ছবি দেখায়। ছবি দেখে মিজানুর রহমান স্কুল ম্যানের্জিং কমিটির কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান। অভিযোগের ভিত্তিত্বে ম্যানের্জিং কমিটির সদস্যরা আপোষ-মীমাংসার কথা বলে গত শনিবার বিকেলে উভয়কে ডেকে স্কুলের একটি কক্ষে বৈঠক বসে। বৈঠকে বসার পূর্বে উজিরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। বৈঠক চলাকালীন সময় উজিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বখাটে সুমন আকন ও আন্টু সিকদারকে গ্রেফতার করে। এসময় অপর বখাটে যুবক সোহেল ও বাপ্পা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম আহমেদ জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে স্কুল ছাত্রীর পিতা মিজানুর রহমান চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। নগ্ন ছবিগুলো এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। তবে নগ্ন ছবি উদ্ধারসহ পালিয়ে যাওয়া অন্য দু’বখাটে যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।