বুধবার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারীদের কবলে পরে সর্বস্ত্র খুঁইয়েছেন বরযাত্রীরা। এসময় ছিনতাইকারীদের হামলায় বর-কনেসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাক্ষনবাড়িয়ার বানচারামপুর গ্রামের মোবারক মিয়ার পুত্র রিপন মিয়ার সাথে সম্প্রতি গৌরনদী উপজেলার আধুনা গ্রামের শাহ আলম মৃধার কন্যা সোহানা আক্তারের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রিপন তার নিকট আত্মীয়দের সমন্ময়ে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন। গতকাল বুধবার বিকেলে কনে নিয়ে বরযাত্রীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে হোসনাবাদ লঞ্চ ঘাটের সন্নিকটে পৌঁছলে ছিনতাইকারীদের কবলে পরেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোসনাবাদ গ্রামের রেজাউল চৌকিদারের নেতৃত্বে খোকন মিস্ত্রি, রাজিব, সোহেল, বেল্লাল, সেলিম বেপারীসহ ৭/৮ জন ছিনতাইকারী সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টার দিকে বরযাত্রীদের পথরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা বরযাত্রীদের ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে তাদের সাথে থাকা নগদ অর্থ, র্স্বণালংকার, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের হামলায় বর রিপন মিয়া (৩০), কনে সোহানা বেগম (২২), বরযাত্রী আব্দুল মতিন মিয়া (২০), ফয়সাল আহম্মেদ (১৮), রাসেল শেখ (২৮), আউয়াল মিয়া (২৫), জয়নাল সিকদার (৩৫), রুনু বেগম (২৯), মর্জিনা বেগম (২০), পারুল বেগম (২৩), মোবারক হোসেন (৪০)সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আব্দুল মতিন মিয়াকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বর রিপন মিয়া বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কান্ডপাশা গ্রামের কাবুল কাজী অভিযোগ করেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ছিনতাইকারীরা হোসনাবাদ এলাকায় বসে তার পুত্র তারেক আহম্মেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্ঠা চলছে।