গৌরনদীতে যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

কাউন্টারের কতিপয় মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে চড়ামূল্যে ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও কতিপয় কাউন্টার মালিকদের যোগসাজসে চেয়ার কোচের কথা বলে টিকিটে এক মূল্য লেখা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে অধিক মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অন্য লাইনে চলাচল করা নিন্মমানের পরিবহন ভাড়ায় এনে যাত্রীদের ধোকা দেয়ায় কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

যাত্রী আরিফ মিয়া, বাবু শরীফসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তারা স্ব-পরিবারে কর্মস্থল ঢাকা ফেরার জন্য সাউদিয়া পরিবহনের গৌরনদীর কাউন্টার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবারের সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের গাড়িতে টিকেট ক্রয় করেন। তাদের টিকেটে ৩’শ টাকা করে লেখা হলেও তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৩’শ ৫০ টাকা। অভিযোগে আরো জানা গেছে, ৯ টা ৪৫ মিনিটের সাউদিয়া পরিবহন বেলা সাড়ে বারোটায়ও গৌরনদীতে না আসায় কাউন্টারের বুকিং মাষ্টার কাউন্টার ছেড়ে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে অসহায় যাত্রীরা স্থানীয় হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। হাইওয়ে থানা পুলিশ অনেক খোঁজাখুজির পর কাউন্টার মাস্টার জাহিদ হোসেনের সন্ধ্যান পান। জাহিদ হোসেন জানান, বরিশাল থেকে যথাসময়ে গাড়ি ছাড়ার পর পথিমধ্যে সাউদিয়া পরিবহনটি বিকল হয়ে যায়। তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সত্বেও তারা কোন সদূত্তর দেয়নি। বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, সাউদিয়া পরিবহনের মালিক আশ্রাব মিয়ার কাছ থেকে জনৈক রাজিব বাবু নামের এক ব্যক্তি ঈদ উপলক্ষে সাউদিয়া পরিবহন ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা করে শুরু করেন। রাজিব বাবুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদূত্তর না দিয়ে ফোনের লাইনটি বিছিন্ন করে দেয়। যাত্রীদের অভিযোগে আরো জানা গেছে, বুকিংকৃত টিকিটের মূল্য ফেরত চাইলেও বুকিং মাষ্টার নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের সহযোগীতায় যাত্রীরা বেলা একটার দিকে তাদের টাকা ফেরত পান।

যাত্রী রাজিয়া সুলতানা, পারুল বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, টাকা ফেরত পেয়ে কি হবে। প্রায় তিন ঘন্টা ভোগান্তির পর আমরা এখন কিভাবে ঢাকায় যাবো, এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। তারা কতিপয় পরিবহন কাউন্টারের মালিক কর্তৃক সাধারন যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় ও ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রসাশনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।